SC East Bengal, Ananta Tamang: আইএসএলে শেষ দুই ম্যাচের আগে নেপালের ডিফেন্ডার নিয়ে এল এস সি ইস্টবেঙ্গল

#গোয়া: মরণকালে হরির নাম। আর কিভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে এই ব্যাপারটাকে? সমর্থকদের একরাশ লজ্জা ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ইনভেস্টর কম্পানি। ক্লাবের ঐতিহ্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র বিচলিত ছিলেন না তারা। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। আইএসএল-এ আর বাকি দু’টি ম্যাচ। তার আগে নতুন ফুটবলার সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নেপালের তরুণ ডিফেন্ডার অনন্ত তামাংকে সই করাল লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া টিমের তরফ থেকে এই ফুটবলারকে সই করানোর কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন – Wanindu Hasaranga covid : করোনায় ভারতের বিরুদ্ধে ছিটকে গেলেন আইপিএলে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার

বুধবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়ায় টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো এই ফুটবলার বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। সব রকম ভাবে ক্লাবকে সাহায্য করার চেষ্টা করব আমি। এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। ২০২০ সালে ২৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার এ ডিভিশনের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন।

শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ দলেই নয়, নেপালের সিনিয়র দলের হয়েও খেলেছেন তিনি। ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের জার্সিতে অভিষেক হয় অনন্ত তামাং-এর। চলতি আইএসএল-এ আর মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই দুইটি ম্যাচ লাল-হলুদ ব্রিগেড খেলবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে। কোচ মারিও রিভেরাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ইস্টবেঙ্গল দলটা ১০ হাত কাপড়ের মত। মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে আসে।

লড়াই করেও হার। এটাই এখন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের রোজকার রুটিন। সর্মথকরা বেশি কিছু আশা করেন না। গোলের মুখ খুলতে পারছে না দল। ১৮ ম্যাচ খেলে ৩৪টি গোল হজম করে বসে রয়েছে। একের পর এক ম্যাচ হারছে। তার পরেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা মনে করেন, তাঁর দলের জেতার ক্ষমতা রয়েছে।

পরের দুটো ম্যাচেও এই ফর্ম ধরে রাখতে হবে। ছেলেরা প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই প্রমাণ করছে, তাদের ম্যাচ জেতার ক্ষমতা আছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি অবশ্য এর বাইরে কি বলতে পারেন? ব্যর্থতার নিরিখে গতবারের খারাপ রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে এস সি ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের চোখের জল বোঝার দায়িত্ব নেই ইনভেস্টরদের।