Tag Archives: SC East Bengal

SC East Bengal, Ananta Tamang: আইএসএলে শেষ দুই ম্যাচের আগে নেপালের ডিফেন্ডার নিয়ে এল এস সি ইস্টবেঙ্গল

#গোয়া: মরণকালে হরির নাম। আর কিভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে এই ব্যাপারটাকে? সমর্থকদের একরাশ লজ্জা ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ইনভেস্টর কম্পানি। ক্লাবের ঐতিহ্য সম্পর্কে বিন্দুমাত্র বিচলিত ছিলেন না তারা। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। আইএসএল-এ আর বাকি দু’টি ম্যাচ। তার আগে নতুন ফুটবলার সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। নেপালের তরুণ ডিফেন্ডার অনন্ত তামাংকে সই করাল লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়া টিমের তরফ থেকে এই ফুটবলারকে সই করানোর কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন – Wanindu Hasaranga covid : করোনায় ভারতের বিরুদ্ধে ছিটকে গেলেন আইপিএলে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার

বুধবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের মিডিয়ায় টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো এই ফুটবলার বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। সব রকম ভাবে ক্লাবকে সাহায্য করার চেষ্টা করব আমি। এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। ২০২০ সালে ২৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার এ ডিভিশনের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন।

শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ দলেই নয়, নেপালের সিনিয়র দলের হয়েও খেলেছেন তিনি। ২০১৫ সালে ভারতের বিরুদ্ধে নেপালের জার্সিতে অভিষেক হয় অনন্ত তামাং-এর। চলতি আইএসএল-এ আর মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই দুইটি ম্যাচ লাল-হলুদ ব্রিগেড খেলবে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে। কোচ মারিও রিভেরাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ইস্টবেঙ্গল দলটা ১০ হাত কাপড়ের মত। মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে আসে।

লড়াই করেও হার। এটাই এখন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের রোজকার রুটিন। সর্মথকরা বেশি কিছু আশা করেন না। গোলের মুখ খুলতে পারছে না দল। ১৮ ম্যাচ খেলে ৩৪টি গোল হজম করে বসে রয়েছে। একের পর এক ম্যাচ হারছে। তার পরেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা মনে করেন, তাঁর দলের জেতার ক্ষমতা রয়েছে।

পরের দুটো ম্যাচেও এই ফর্ম ধরে রাখতে হবে। ছেলেরা প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই প্রমাণ করছে, তাদের ম্যাচ জেতার ক্ষমতা আছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি অবশ্য এর বাইরে কি বলতে পারেন? ব্যর্থতার নিরিখে গতবারের খারাপ রেকর্ড ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে এস সি ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের চোখের জল বোঝার দায়িত্ব নেই ইনভেস্টরদের।

SC East Bengal vs Mumbai city FC: কার্ড সমস্যাই নেই হীরা মণ্ডল! মুম্বইকে আটকানো আজ কঠিন চ্যালেঞ্জ ইস্টবেঙ্গলের

#গোয়া: আইএসএলে নিজেদের প্রিয় দল ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে এখন আর চিন্তা করেন না লাল-হলুদ সমর্থকরা। দল গঠন যখন ঠিকঠাক হয়নি, তখন এই দল সাফল্য পাবে না সেটাই ছিল দস্তুর। ফুটবল বিজ্ঞানে তাই এই দলের ব্যর্থতার কারণ অদ্ভুত কিছু নয়। যা হওয়ার তাই হয়েছে। মাঝপথে স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা এসে এফসি গোয়াকে হারিয়ে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। মঙ্গলবার মুম্বই সিটি এফসি’র মুখোমুখি এসসি ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ম্যাচটি স্রেফ নিয়মরক্ষার (১৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে একাদশ স্থানে)। কিন্তু মুম্বইয়ের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন – Gavaskar on Rohit Sharma: আগামী দু’মাসে অধিনায়ক রোহিত শর্মার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী? বলে দিলেন গাভাসকার

এই মুহূর্তে তারা লিগ টেবিলে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে। ১৬ ম্যাচে সংগ্রহ ২৫ পয়েন্ট। নক-আউটে যেতে হলে জিততেই হবে মুম্বইকে। বাণিজ্যনগরীর দলটির কোচ ডেস বাকিংহাম তিন পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। পক্ষান্তরে, কার্ড সমস্যায় হীরা মণ্ডল না থাকায় রক্ষণ আরও অবিন্যস্ত হওয়ার কথা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। পরিসংখ্যান বলছে, ১৭ ম্যাচে ৩৩ গোল হজম করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।

ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরার মুখে সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি। বলছেন, গত ম্যাচের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে খেলতে নামবে ছেলেরা। তবে হীরা না থাকায় রক্ষণ নিয়ে সমস্যা বাড়বে। পাশাপাশি প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না ফুটবলাররা। আসলে কোনও লক্ষ্য না থাকায় ছেলেরা মোটিভেট হতে পারছে না। তবে মঙ্গলবার পেরোসেভিচরা যথাসাধ্য লড়বে।

আইএসএলে দ্বিতীয় জয় কবে আসবে? রিভেরার কাছে সদুত্তর নেই। মুম্বই সিটি এফসির কোচ ডেস বাকিংহাম জানিয়েছেন,আগের ম্যাচে আমরা জামশেদপুর এফসি’র কাছে হেরেছিলাম। আহমেদ জাহু চলে যাওয়ার পর দলের খেলায় বাঁধুনি ছিল না। মাঝমাঠে ও আমাদের দলের স্তম্ভ। মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও জাহু অনিশ্চিত। জানি, এসসি ইস্টবেঙ্গল লিগ টেবিলের সবার নীচে। তা সত্ত্বেও খাটো করে দেখা উচিত নয় প্রতিপক্ষকে।

মনে রাখবেন, নর্থইস্ট কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসি’র মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, ২০ মিনিটের মধ্যে গোল তুলে নেওয়া। লাল হলুদ জার্সি গায়ে হানামতে, জ্যাকিচাঁদ, মহেশ সিং, সিডল, আদিল খানরা আজ মুম্বইকে আটকে দিতে পারেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে ফুটবল প্রেমীদের। অন্যদিকে বিপিন সিং, চাংতে, ইগর, ক্যাসিওরা শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ঝড় তোলার চেষ্টা করবেন। তবে ইস্টবেঙ্গল দল হীরা মণ্ডলকে মিস করবে তাতে সন্দেহ নেই।

SC East Bengal vs Kerala Blasters, ISL: পুষ্পা ডান্স দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে! কেরলের জয়ের নায়ক সিপোভিচ

কেরালা ব্লাস্টার্স -১
এস সি ইস্টবেঙ্গল -০

গোয়া: ইস্টবেঙ্গল নিজেদের চেনা জগতে আবার ফিরে এসেছে। মাঝে বেশ কিছু ম্যাচ লড়াই করে অন্তত ড্র করতে দেখা গিয়েছিল লাল হলুদকে। কিন্তু এখন আবার ইস্টবেঙ্গল হারের সঙ্গে ঘর করছে। হতাশার কানা গলিতে আবার ঢুকে গেছে দলটা। শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। আজ কেরল ব্লাস্টার্স দলের কাছে মাত্র এক গোলে হেরে লিগ টেবিলে দশ নম্বরে থাকলে লাল হলুদ।আইএসএল-এ এর আগে তিন বারের সাক্ষাতে তাদের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল লাল-হলুদ বাহিনী।

আরও পড়ুন – Shakib Al Hasan wife, IPL Auction : আইপিএল খেলতে গেলে নাকি দেশদ্রোহী হতেন সাকিব! বলছেন স্ত্রী শিশির

কিন্তু সোমবার আবার হারতে হল তাদের। এনেস সিপোভিচের একমাত্র গোলে এসসি ইস্টবেঙ্গল হারল ০-১ ব্যবধানে। সোমবার প্রথম থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলকে একটু নড়বড়ে লাগছিল। সে ভাবে কোনও আক্রমণ তুলতেই পারছিল না তারা। উল্টে কেরল কিন্তু বেশ কিছু পজিটিভ আক্রমণ করেছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার শঙ্কর রায়ের দক্ষতায় বেঁচে যায় তারা। ২৯ মিনিটের মাথায় সুযোগ তৈরি করেছিলেন আদ্রিয়ান লুনা।

তাঁর মুভ আটকে দেন হীরা মন্ডল। বল যায় সাহাল সামাদের কাছে। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে বল নিয়ে স্টেপ ওভার করে কেরলের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পাস বাড়ান। কিন্তু রাহুল পাসোয়ান বলে পা ছোঁয়াতেই পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় কেরল। পটিয়ার কর্নার থেকে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের টপকে হেডে গোল করেন এনেস সিপোভিচ।

সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ‘পুষ্পা ডান্স’ দেখা যায়। দক্ষিণী সিনেমার নাচের অনবদ্য অনুকরণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডারদের তখন নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। কারণ সিপোভিচকে অন্তত দু’-তিন জন ডিফেন্ডার মার্ক করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে টপকে গোল করে যান বসনিয়ার সিপোভিচ।

হতাশ করলেন ফ্রান সোতা। এমনিতে তাঁকে নেওয়ার সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেক সমর্থক থেকে ফুটবল বিশেষজ্ঞ। ৮২ মিনিটে তাঁর সামনে নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল। একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। সামনে শুধু ছিলেন গোলকিপার।

কিন্তু বারের বেশ কিছুটা দূর দিয়ে শট উড়ে যায়। সাইডলাইনের ধারে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন কোচ মারিয়ো রিভেরাও। হাতে বাকি রইল আর তিনটি ম্যাচ। দেখা যাক অন্তত একটি জিতে শেষ করতে পারে কিনা লাল-হলুদ বাহিনী।

SC East Bengal vs Odisha FC result : ফের অন্ধকারে ইস্টবেঙ্গল, ওড়িশার কাছে লড়ে হারল লাল হলুদ !

এস সি ইস্টবেঙ্গল – ১

ওড়িশা এফসি – ২

#গোয়া: সোমবার ওড়িশার বিরুদ্ধে যেকোনো মূল্যে তিনটে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া ছিল ইস্টবেঙ্গলের একমাত্র লক্ষ্য। এসসি ইস্টবেঙ্গল কার্যত সেরা চারের দৌড় থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় দলের ছেলেদের উজ্জীবিত রাখছেন কী ভাবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মারিয়ো জানিয়েছিলেন, ফুটবলাররা সবাই পেশাদার। ওরা সব ম্যাচেই জিততে চায়। সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রমাণ করতে চায় নিজেদের। লিগ তালিকায় এখন যে অবস্থানে রয়েছি আমরা, সেটা ওদের সঠিক জায়গা নয়। পরের ম্যাচে জয়ের খিদে নিয়েই নামবে ওরা।

আরও পড়ুন – Andy Flower IPL auction : পিএসএলকে দশ গোল আইপিএলের! মাঝপথেই দায়িত্ব ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে কোচ ফ্লাওয়ার

এটাই ওদের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আমার কাজটা হচ্ছে ওদের পথ দেখানো। প্রথম পর্বের সাক্ষাতে ৬ গোল খাওয়ার ক্ষত এখনও দগদগে। দ্বিতীয় পর্বে ওড়িশা এফসি-র মুখোমুখি হওয়ার আগে ভুলত্রুটি শুধরে নামতে চেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ মারিয়ো রিভেরা আগের ম্যাচের ভিডিয়ো দেখেছেন। একই ভুল দু’বার করতে চাইবেন না তিনি জানা ছিল।

আরও পড়ুন – PR Sreejesh targets World Cup: টোকিওর পর প্যারিসে দেশকে আবার গর্বিত করবে হকি, বলছেন শ্রীজেশ

২৩ মিনিটে গোল হজম করতে হল লাল হলুদকে। রক্ষণের ভুল। ডানদিক থেকে অনায়াসে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বল বাড়ালেন জাভি। চলতি বলে গোল জোনাথাসের। নওচা সিং এদিন প্রথম নামলেন ইস্টবেঙ্গলের লেফট ব্যাক পজিশনে। প্রথমার্ধে ওই একটা ভুল ছাড়া নজর কাড়লেন এই ছেলেটি। ইস্টবেঙ্গল সুযোগ পেলে আক্রমণ করছিল। পেরসোভিচ, আঙ্গুসানা, মার্সেলো, মহেশ আক্রমণ তুলে আনলেও ফিনিশিং করতে পারলেন না।

দেখার ছিল বিরতির পর ইস্টবেঙ্গল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা?৬০ মিনিটে তিনটি পরিবর্তন নিলেন মারিও রিভেরা। হানামতে, ফ্রান্সিস্কো এবং রাজু একসঙ্গে মাঠে নামলেন। ৬৪ মিনিটে গোল গোল শোধ করে দিল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রানজ তলা থেকে একটা দুরন্ত বল বাড়ালেন। পেরসোভিচ বাঁদিক থেকে দুরন্ত ফিনিশ করেন। মনে হয়েছিল এরপর হয়তো জয়সূচক গোল তুলে নেবে ইস্টবেঙ্গল।

কিন্তু মুহূর্তের ভুলে আমার হজম করতে হল দ্বিতীয় গোল। ৭৫ মিনিটে জনাথস থেকে বল পেয়ে জাভি হার্নান্দেজ ডান পায়ে শট নিলেন। একজন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারর পায়ে লেগে বল জড়িয়ে গেল জালে। ফ্রান্সিস্কো এবং মার্সেলো শেষ পর্যন্ত থেকেও কিছু করতে পারলেন না। গোল করে এবং করিয়ে ম্যাচের সেরা ওড়িশার জাভি হার্নান্দেজ। ১৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল থাকল দশ নম্বরে।

SC East Bengal vs Chennaiyin FC : আজ চেন্নাই এক্সপ্রেস থামিয়ে সম্মানের ম্যাচে তিন পয়েন্ট টার্গেট ইস্টবেঙ্গলের

#গোয়া: আপাতত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও আর প্রিয় দলের খেলা নিয়ে আগ্রহ নেই। কোনমতে আইএসএল শেষ হতে পারলে তারা স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারে। নতুন করে আর কিছু পাওয়ার নেই। লিগ টেবিলের সর্বশেষ স্থান থেকে কয়েক ধাপ উঠতে পারলেই আংশিক সম্মানরক্ষা। আর তার জন্য চাই জয়। বুধবার আইএসএলে চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে তাই যে কোনও মূল্যে তিন পয়েন্ট পেতে মরিয়া এসসি ইস্ট বেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা।

আরও পড়ুন – Argentina vs Colombia : গোল করে নায়ক মার্টিনেজ, আর্জেন্টিনা মেসি ছাড়াই হারাল কলম্বিয়াকে

মঙ্গলবার বিকেলে গোয়ায় প্র্যাকটিসে মূলত ফরোয়ার্ডদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ, চেন্নাইয়ান এফসি’র রক্ষণ যথেষ্ট শক্তিশালী। লিগ টেবিলে থাকা শেষ আটটি দলের মধ্যে সবচেয়ে কম গোল (১৭) খেয়েছেন নারায়ণ-সাজিদরা। সেই দলের বিরুদ্ধে আপফ্রন্টে মার্সেলো-পেরোসেভিচের উপরই ভরসা রাখছেন লাল-হলুদের হেডস্যার।

আরও পড়ুন – Brazil vs Paraguay : কোয়ালিফায়ারে রাফিনা, কুটিনহোদের দাপটে প্যারাগুয়েকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল

এদিন রিভেরা বলেন, মার্সেলো ইংরেজি বলতে পারে না। ফলে ভাষা সমস্যা তো রয়েইছে। তবে ফুটবলের পরিভাষায় ওকে আমার চাহিদা বুঝিয়ে দিচ্ছি। অনুশীলনের মাধ্যমেই পেরোসেভিচের সঙ্গে মার্সেলোর বোঝাপড়া ক্রমশ বাড়ছে। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে দু’জন একসঙ্গে খেললে সত্যিই ভালে হত। ডার্বি হারের ধাক্কা কাটিয়ে ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলাররা এদিন অনুশীলনে বেশ চনমনে ছিলেন।

মোহন বাগান ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়েছেন মারিও। তাঁর কথায়, গত ম্যাচে আমরা হারার মতো খেলিনি। তবে ফল তো মেনে নিতেই হবে। ওই ম্যাচ থেকে কয়েকটি ইতিবাচক বিষয় নোট করেছি। বেশ কয়েকটি ভুলত্রুটি শুধরে নিতে পারলে পারফরম্যান্স অবশ্যই ভালে হবে। চেন্নাইয়ান এফসি শক্তিশালী দল। তবে তিন পয়েন্টই লক্ষ্য।

দুর্গ আগলানোর জন্য ডিফেন্ডারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। ফুটবলারদের বলেছি, অতীত নিয়ে ভেবো না। নতুন একটা ম্যাচ খেলার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকো। তবে এটা ঠিক যে, ডার্বি জিতলে ফুটবলারদের আরও ভালোভাবে উজ্জীবিত করা যেত।

সোমবার দলে যোগ দেওয়া নাওচা সিংকে তৈরি রাখছেন লাল-হলুদ কোচ। মিডফিল্ডার সোতাকে অনুশীলনে আলাদা সময় দিয়েছেন তিনি। তরুণ স্ট্রাইকার রাহুল পাসোয়ানকে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন মারিও রিভেরা। প্রথম লেগের সাক্ষাৎকারে অবশ্য ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারেনি চেন্নাই।

Kiyan Nassiri: হ্যাটট্রিকের পর ড্রেসিংরুমে কী করলেন কিয়ান নাসিরি, দেখুন ভাইরাল ভিডিও

#মারগাঁও: শনিবাসরীয় ডার্বি (Derby)৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal) প্রথম লেগের ম্যাচে হেরেছিল, দ্বিতীয় লেগে তাদের বদলার গেম৷ ফ্যানদের আশা বাড়িয়ে ফিরতি আইএসএল (ISL) ডার্বিতে (Derby) প্রথমার্ধ গোল শূন্য থাকলেও, দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal vs ATK MB)৷ এটিকে মোহনবাগানের (ATK MB) একের পর এক ডার্বি ম্যাচের নায়ক রয় কৃষ্ণা বেঞ্চে৷ কিন্তু এক তরুণ একেবারে অন্যভাবে ম্যাচের ছবিটাই বদলে দিলেন৷ শনিবারের পর মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল ফ্যানদের মনে একেবার নিজের নামের দাগ কেটে দিলেন কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri)৷ এক গোল নয়, একেবারে তিন গোল – ডার্বি ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমে হ্যাটট্রিক৷

রিজার্ভ বেঞ্চে রয় কৃষ্ণ তখন শিশুর মত লাফাচ্ছেন। কোচ হুয়ান আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না। কিয়ান ততক্ষণে স্পর্শ করে ফেলেছেন বাইচুং ভুটিয়া এবং এডে চিডিকে। আরো অতীতের কথা বললে অমিয় দেবের হ্যাটট্রিক রয়েছে ডার্বিতে। এই কিংবদন্তিদের তালিকায় মাত্র কয়েকটা মিনিটে ব্যবধানে নিজের নাম খোদাই করে দিলেন জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri)।

ডার্বি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারকার জন্ম দেয়৷ ২০২২-র জানুয়ারির ডার্বিরও মঞ্চও এক উঠতি তারকাকে চিনিয়ে দিল৷ কিয়ান নাসিরি (Kiyan Nassiri) স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত৷ তবে তাঁর মাটিতেই পা৷ তাই হ্যাটট্রিক করা ম্যাচে -র পর ড্রেসিংরুমে তিনি তাঁর পারফরম্যান্সের জন্য ক্রেডিট দিয়েছেন তাঁর সবুজ-মেরুণ সতীর্থদের৷

আরও পড়ুন – West Medinipur News: হনুমানের মৃত্যুতে মাথা ন্যাড়া, পুরোহিত ও নাপিত ডেকে শ্রাদ্ধ

দেখে নিন ড্রেসিংরুমে তিনি ঠিক কি বলেছিলেন, আর কি করছিলেন, দেখে নিন এটিকে মোহনবাগান ড্রেসিংরুমে কিয়ান নাসিরির  (Kiyan Nassiri) ভাইরাল ভিডিও (Viral Video)৷

বিখ্যাত বাবার ছেলে সব সময় বিখ্যাত হয় এমন উদাহরন কম। হাতে গোনা কিছু আছে অবশ্য। বছর একুশের ছেলেটা যখন সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের মাঠে অনুশীলন করত, খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন প্রাক্তন ডিফেন্ডার অনিত ঘোষ। ছেলেটা বাকি চারজন সমবয়সীর থেকে আলাদা বোঝা গিয়েছিল। বাবা ৮ এর দর্শকের কলকাতা ময়দান কাঁপানো ইরানিয়ান সুপারস্টার জামশিদ নাসিরি অবশ্য ছেলেকে চাপ দেননি। বেড়ে উঠতে দিয়েছেন নিজের মতো করে।

আরও পড়ুন – Extramarital Affair: দু’ বছর ধরে বৌদির সঙ্গে প্রেম, হঠাৎই মুখ ঘোরাল বৌদি, তারপর

২০০০ কিলোমিটার দূরের মারগাও নেহেরু স্টেডিয়ামে সবুজ মেরুনকে কাঙ্খিত ডার্বি জিতিয়েছেন কিয়ান নাসিরি। সারা বিশ্বে সবুজ মেরুন সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন বছর একুশের ছেলেটা। বাবা এবং প্রাক্তন ময়দান কাঁপানো বিখ্যাত ইরানি স্ট্রাইকার জামশিদ নাসিরি এক কথায় মেনে নিলেন ছেলের নায়ক হয়ে ওঠার পেছনে প্রাক্তন মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনার অবদান রয়েছে।

ATKMB vs SCEB : নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি, ডার্বি হ্যাটট্রিকে জেতালেন এটিকে মোহনবাগানকে

এটিকে মোহনবাগান -৩
এস সি ইস্টবেঙ্গল -১

#গোয়া: শনিবার কলকাতা ডার্বিতে চোটের জন্য প্রথম একাদশে রাখা হয়নি রয় কৃষ্ণকে। মোহনবাগানে ফেরা সন্দেশও রিজার্ভ বেঞ্চে। প্রথম ১০ মিনিটে ম্যাচের প্রাধান্য মোহনবাগানেরই। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করে যাচ্ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণও দারুণ খেলল তাদের। প্রথম লেগের মত এবার ইস্টবেঙ্গলকে সহজে হারানো যাবে না বোঝা যাচ্ছিল। মারিও রিভেরা যে নিখুঁত অঙ্ক করে নেমেছেন স্পষ্ট ছিল।

আরও পড়ুন – Australian Open 2022: ৪৪ বছর পর অজি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব অ্যাশলে বার্টির

মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে উঠে গেলেন ইস্টবেঙ্গল রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। তার জায়গায় নামা অমরজিৎ কিয়াম দুরন্ত ফুটবল খেলছিলেন। এটিকে মোহনবাগানের বাঁদিক থেকে লিস্টন কোলাসো অন্যদিন যে পরিমাণ ঝড় তোলেন, সেটা অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই মনিপুরী। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে আদিল খান, হীরা এবং ফ্রানজ দুরন্ত লড়াই করেন।

এটিকে মোহনবাগানের পাস এবং দাপট বেশি থাকলেও বক্সের মধ্যে ফাইনাল পাসের ক্ষেত্রে সেভাবে সাফল্য পাচ্ছিল না তারা। হুগো বুমু, ডেভিড উইলিয়ামস বারবার কম্বিনেশন প্লে করে ভাঙার চেষ্টা করছিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্সকে। বাঁদিক থেকে শুভাশীষ বসু ওভারল্যাপ করছিলেন। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের ডান প্রান্তে মনবীর এবং প্রবীর দাস সেভাবে ডানা মেলতে পারছিলেন না।

এর অনেকটাই কৃতিত্ব হীরা মণ্ডল এবং অঙ্গুর। ভাগ্য ভাল থাকলে ২৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তিরির ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান মার্সেলো। কিন্তু সামনে অমরিন্দর একা থাকা সত্ত্বেও বাইরে মেরে বসেন তিনি। হতাশায় মারিও রিভেরাকে মাথায় হাত দিতে দেখা যায়। ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ছিল ডিফেন্সে ফাঁকা জায়গা না দিয়ে সুযোগ পেলে কাউন্টার আক্রমণ করা।

প্রথমার্ধে নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে সম্পূর্ণ সফল লাল হলুদ। মনিপুরি মহেশ সিং ও চাপ তৈরির চেষ্টা করছিলেন সবুজ মেরুন রক্ষণে। হতাশা বাড়ছিল হুয়ান ফেরান্ডোর। ৫৬ মিনিটে পেরোসেভিচের কর্নার থেকে সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। বুদ্ধিদীপ্ত গোল করলেন ডাচ ফুটবলার। এরপর দীপককে তুলে নিয়ে কিয়ানকে নামালেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। মাঠে নেমেই গোল করলেন কিয়ান নাসিরি। খেলায় সমতা ফিরল।

ডানদিক থেকে প্রবীর বল বাড়ালে সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে আদিল খানের গায়ে লাগে চলে আসে ফাঁকা জায়গায়। চলতি বলেই শট নিয়ে গোল করেন প্রাক্তন ফুটবলার জামশেদ নাসিরির ছেলে। দু মিনিটের মধ্যেই এটিকে মোহনবাগানকে পেনাল্টি আদায় করে দেন লিসটন কোলাসো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বল উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস।

এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষ দুই মিনিটে নাটক জমা ছিল। আরো দুটো গোল করলেন কিয়ান। আজকের রাতের বাদশা এই তরুণ ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের এক নতুন তারার জন্ম হল বলা যায়। বিখ্যাত বাবার ছেলে নতুন স্বপ্ন দেখালেন।

ISL SC East Bengal: কলকাতা ডার্বিতে মার্সেলো – সোতা জুটিতে বাজিমাতের চেষ্টায় এস সি ইস্টবেঙ্গল

#গোয়া: হাতে বড়জোর রয়েছে দুটো পুরো দিন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দুটো বা তিনটে প্রাক্টিস সেশন পাবে এস সি ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যেই যাবতীয় ভুলভ্রান্তির দড়ি টানাটানি শেষ করতে হবে স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরাকে। দায়িত্ব নিয়ে গোয়ার বিরুদ্ধে জিতে চমক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ম্যাচে লজ্জার হার আবার ইস্টবেঙ্গলকে কয়েক কদম পিছিয়ে দিয়েছে। হায়দারাবাদ ম্যাচের পারফরম্যান্স রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে সমর্থকদের।

আরও পড়ুন – KL Rahul captaincy criticism : দক্ষিণ আফ্রিকায় লজ্জার হার ভুলে কে এল রাহুলের মুখে এখন থেকেই আইপিএলের স্তুতি !

আসলে এই দলটা ১১ হাত কাপড়ের মত। মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যায়। তবুও সমর্থকদের অভয় দিচ্ছেন মারিও রিভেরা। কলকাতা ডার্বি সম্পূর্ণ অন্য লড়াই বলছেন তিনি। মাঝ মরসুমে ফের বিদেশি বদল এসসি ইস্টবেঙ্গলে। আমির ডার্বিসভিচের পরিবর্তে কার্যকরী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্রান্সিস্কো হোসে সোতা’কে সই আগেই করিয়েছে লাল-হলুদ।

জানুয়ারিতে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোয় প্রথমে ড্যানিয়েল চিমা চুকুর পরিবর্তে সই কারানো হয় ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্তোসকে।  ওসাসুনার যুব দলের হয়ে কেরিয়ার শুরু করেন সোতা। দীর্ঘদিন স্প্যানিশ লোয়ার ডিভিশনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। ইস্টবেঙ্গলের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করার আগে তিনি খেলেছেন পেনা স্পোর্টস এফসি, সিডি ভারিয়া, এসডি লগরোনেস, এসডি লিওয়া এবং সিডি ত্রপেজনে।

মূলত মাঝমাঠের ফুটবলার হলেও ফরোয়ার্ড হিসেবেও খেলতে পারেন সোতা। রাইট উইং এবং লেফট উইং দুদিক থেকেই পাস বাড়াতে পারেন সোতা একই সঙ্গে বক্সের মধ্যে থেকেও স্ট্রাইকারদের জন্য সাজাতে পারেন গোলের বল। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সই করার পর তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলে সই করতে পেরে ভাল লাগছে। ভারতের অন্যতম বড় ক্লাব এটা এবং আমি এই ক্লাবের ইতিহাস এবং ফ্যানবেস সম্পর্কে বেশ ভাল মতো অবগত।

দলকে নিজের ক্ষমতা মতো সাহায্য করার চেষ্টা করব। সোতাকে সই করানোর প্রসঙ্গে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ মারিও রিভেরা বলেছেন, দুর্দান্ত ফুটবলার সোতা। স্পেনে একাধিক ভাল দলে খেলেছে ও। ওর আসার ফলে মিডফিল্ডে হাতে অপশান বাড়ল। দলের মধ্যে ওকে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।

ইস্টবেঙ্গলের এই পরিবর্তন কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ মরসুম প্রায় শেষ ইস্টবেঙ্গলের জন্য। সেক্ষেত্রে নতুন করে লিগের শেষ মুহূর্তে কীভাবে দলের সঙ্গে তিনি মানাতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইএসএল-এ আর মাত্র সাতটি ম্যাচ আর বাকি রয়েছে লাল-হলুদের।

চলতি আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গল জয় পেয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। ড্র করেছে ছয়টি ম্যাচ, হেরেছে ছয়টি ম্যাচে।

লাল-হলুদের পক্ষে গোল ১৩টি এবং তারা হজম করেছে ২৫টি গোল। ১৩ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের অন্তিম স্থানে অবস্থান এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও, হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লাল-হলুদ।

মারিও রিভেরা জানেন ফিরতি ডার্বিতে যদি তিনি চাকা ঘোরাতে পারেন তাহলে সমর্থকদের মন জয় করতে পারবেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের মুশকিল হল সোতা প্রথম নামবেন ডার্বিতেই। এমনকি ব্রাজিলীয় ফুটবলার মার্সেলো গত ম্যাচে খেললেও তিনিও ভারতীয় ফুটবলে নতুন। তাই বোঝাপড়া গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নতুন দুই বিদেশি কতটা দিতে পারবেন প্রশ্ন থাকছে।

SC East Bengal vs Hyderabad FC : ডার্বির আগে ছন্দপতন! হায়দরবাদের আগুনে ছারখাড় হল ইস্টবেঙ্গল

এস সি ইস্টবেঙ্গল -০
হায়দারাবাদ এফসি -৪

#গোয়া: কলকাতা ডার্বি আগামী শনিবার। ২৯ জানুয়ারি আসতে হাতে রয়েছে মাত্র চার দিন। তার আগে হায়দারাবাদ এফসির কাছে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল ইস্টবেঙ্গলকে। স্কোরলাইন বলছে ইস্টবেঙ্গল হেরেছে ৪ গোলে। লজ্জা আরও বাড়তেই পারত। শেষ ম্যাচে দায়িত্ব নিয়ে গোয়াকে হারিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ মারিও রিভেরা। আশা করা গিয়েছিল এবার বোধহয় চাকা ঘুরবে লাল-হলুদের। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের সেই পুরনো হতশ্রী পারফরম্যান্স আবার ফিরে এল।

আরও পড়ুন – Imran Khan on ICC awards: আইসিসি পুরস্কারে পাকিস্তানের জয়জয়কার! বাবর, শাহিনদের বিশেষ বার্তা ইমরান খানের

৪-৪-২ ছকে দল নামিয়েছিলেন মারিও। প্রথম একাদশে ফ্রানজ, পেরসোভিচ এবং সিডল – তিন বিদেশি ছিল। ডিফেন্সে ছিলেন আদিল খান, অঙ্কিত, অমরজিৎ। মাঝখানে সৌরভ। আক্রমণভাগে মহেশ, রফিক এবং হাওকিপ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে গোল পেল হায়দারাবাদ। সৌভিকের কর্নার থেকে ওগবেচের হেড অরিন্দম অদ্ভুতভাবে গলিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন – IND vs SA: সিরিজ হেরে আবেগঘন পোস্ট কেএল রাহুল, ভালবাসা উজাড় করলেন আথিয়া শেট্টি

এবার দুই মিনিটের মধ্যে আরো দুটো গোল হজম করল ইস্টবেঙ্গল। দুজন লাল-হলুদ ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে সেই ওগবেচে ছিটকে বেরিয়ে অরিন্দমকে কাটিয়ে ২-০ করলেন। বাঁদিক থেকে অনিকেত যাদব কাট করে ভেতরে ঢুকে নিচু শটে অরিন্দমকে পরাস্ত করলেন। ৭৫ মিনিটে জোরালো শটে ৪-০ করলেন সেই নাইজেরিয়ান ওগবেচে। তরুণ স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সিভেইর সহজ সুযোগ মিস না করলে হাফ ডজন গোলের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হত ইস্টবেঙ্গলকে।

অবশ্যই কলকাতা ডার্বির আগে এই ফল বিশাল ধাক্কা দিয়ে গেল লাল হলুদ শিবিরকে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলোকে নামানো হয়। তিনি একটি পেনাল্টি আদায় করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রানজ মিস করেন। হায়দারাবাদ তিলক ময়দানে এদিন রাতে সবদিক থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে ছাপিয়ে গেল। আক্রমণের ঝড়ে মশাল নিভে গেল।

হায়দরবাদের নতুন নিজাম ওগবেচে। ১৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে ইস্টবেঙ্গল। শীর্ষে উঠে এল হায়দারাবাদ। ডার্বির আগে অশনিসংকেত লাল-হলুদে। মাঝের কয়েকটা দিনে মারিও রিভেরা কিভাবে দলকে প্রস্তুত করেন সেটাই দেখার। তবে এমন হতশ্রী পারফরমেন্স দেখার পর ইস্টবেঙ্গল সর্মথকরা শঙ্কিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক।

অদ্ভুতভাবে এদিন লাল-হলুদ ডিফেন্সর জমাট ভাবটা উধাও হয়ে গেল। লড়াকু আদিল খান এদিন যেন অত্যন্ত সাদামাটা। মাঝখানে ব্যর্থ সৌরভ। যেটুকু ছটফটানি দেখা গেল সেই পেরসোভিচের মধ্যে। সাসপেনশন কাটিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু এই ইস্টবেঙ্গল দলটা এতটাই খারাপ, পেরসোভিচের মত স্কিলফুল ফুটবলারও এখানে ব্যর্থ হবেন। ম্যাচের সেরা হ্যাটট্রিক করা ওগবেচে।

ISL SC East Bengal : আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম জয়ের নায়ক মহেশ সিং যেন স্বপ্নের ঘোরে আছেন !

#গোয়া: অবশেষে আইএসএলে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে এস সি ইস্টবেঙ্গল। বুধবার এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে পরাজিত করে সমর্থকদের কিছুটা গর্ব করার রাস্তা দিয়েছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। অনেক অপমান, ব্যর্থতা, বিবাদ নিয়ে পথ চলতে হচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলকে। দলটা যেন শুধু হারার লক্ষ্যেই মাঠে নামে। কবে জয় আসবে, আদৌ আসবে কিনা? সন্দিহান ছিলেন প্রাক্তন স্পানিশ ম্যানেজার মানলো ডিয়াজ। তিনি বিদায় নেওয়ার পর রেনেডি সিং প্রথম বোঝাতে পেয়েছিলেন এই দল নিয়ে লড়াই করা যায়।

আরও পড়ুন – Allan Donald on Virat Kohli : বিরাটের শতরান আর বেশি দূরে নেই! একদম নিশ্চিত অ্যালান ডোনাল্ড

শেষ ম্যাচে একদম শেষ লগ্নে জামশেদপুর এর কাছে হেরে গেলেও আগের দুটো ম্যাচে লড়াই করে ড্র করেছিল রেনেডির ইস্টবেঙ্গল। ফুটবলাররা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন চাকা ঘোরানো সম্ভব। অবশেষে নতুন স্প্যানিশ ম্যানেজার মারিও রিভেরা প্রমাণ করে দিলেন এই দল নিয়ে জয় পাওয়াও সম্ভব। গোয়ার মাঠে মরিয়া লড়াই, তার সঙ্গে কিছুটা সৌভাগ্য ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট এনে দিল।

আরও পড়ুন – ICC Men’s ODI team 2021: টি টোয়েন্টির পর আইসিসির একদিনের ক্রিকেটের সেরা দলেও নেই কোনও ভারতীয়

জোড়া গোল করে লাল হলুদের নতুন নায়ক মহেশ সিং। ২২ বছরের মনিপুরী ফুটবলারটি যেন স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে আছেন। চিমটি কেটে দেখছেন যা ঘটেছে, তা সত্যি কিনা। ম্যাচ শেষে মহেশকে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া দলের সঙ্গে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ মহম্মদ রফিক। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন রফিক। মহেশ সিং জানান দুটো গোল করতে পেরে তিনি খুশি। সবচেয়ে আনন্দ পেয়েছেন দল প্রথম জয় পেয়েছে বলে।

এতদিন গোলের কাছে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতেন। রেনেডি এবং নতুন কোচ মারিও অনুশীলনে দেখিয়ে দিয়েছেন বক্সের ভেতর কিভাবে ফিনিশ করতে হবে। তাড়াহুড়ো নয়, বক্সের ভেতর মাথা ঠান্ডা রাখার আসল শিখিয়েছেন মারিও। তাই প্রথম গোল করার ক্ষেত্রে আনোয়ারকে শরীরে আড়াল করে বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি। আর দ্বিতীয় গোলটা একটু দূর থেকে বাপায়ের শট নেন। বল জালে না জড়ালেও লাইন অতিক্রম করে গিয়েছিল।

মহেশ বলেন রফিক সিনিয়র হিসেবে মোটিভেট করছিলেন তাঁকে। প্রয়োজনে নীচে নেমে দলকে সাহায্য করেছেন। হাতে রয়েছে বাকি ৮টি ম্যাচ। এভাবেই লড়ে যেতে চান কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে লোনে ইস্টবেঙ্গলে আসা ফুটবলারটি। জুনিয়র ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল লাজং এফসি – তে। তারপর শেষবার খেলেছিলেন দিল্লির সুদেবা এফসি – তে।

বড় ক্লাবের জার্সি বলতে ইস্টবেঙ্গল প্রথম। রফিক বলছেন একটা জয় পাওয়া প্রয়োজন ছিল। পুরো দল মুখিয়ে ছিল একটা জয়ের জন্য। আজ রাতে প্রথম শান্তিতে ঘুমোবেন। তবে সবচেয়ে খুশি সমর্থকদের কিছুটা আনন্দ দিতে পেরে। সোমবার ইস্টবেঙ্গলের লড়াই হায়দারাবাদের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলো এবং স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সোটাকে পাওয়ার কথা লাল হলুদের।