রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯৮% সিসিটিভি, ওয়াশরুম, রেস্টরুম, অতিরিক্ত লাইটের কাজ আগামিকালকের মধ্যেই হয়ে যাবে। গাড়িতে যাওয়ার সময় নিউজ ১৮ বাংলাকে জানালেন মুখ্য সচিব।জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি ছিল, তার মধ্যে সাত দফা দাবির কাজ ইতিমধ্যেই হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্য সচিব। তাঁর মতে, সাত দফা দাবির মধ্যে কিছু কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে সেগুলো হয়ে যাবে।বৈঠকে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে বিষয়েও আলোকপাত করেন মুখ্য সচিব। তাঁর কথায়, বাকি যে দাবিগুলি রয়েছে সেগুলি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। তাই এগুলোর কোনও টাইমলাইন দেওয়া যাবে না।মুখ্য সচিব অনুরোধ জানান সিনিয়র ডাক্তারদের, জুনিয়র চিকিৎসকরা যেন অনশন তুলে নেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার, এমনই জানান।অনশন মঞ্চে যাওয়ার আহ্বান নিয়েও এর পর মুখ খোলেন মুখ্য সচিব। তাঁর কথায়, “আমরা যাব কি যাব না, সেটা এখন এইভাবে বলা যায় না। দ্রোহ কার্নিভ্যাল আমরা প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছি। আশা করব তাঁরা প্রত্যাহার করবেন।”সোমবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-সহ চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হল স্বাস্থ্য ভবনে। সেখানেই মুখ্য সচিবকে অনশন মঞ্চ যাওয়ার আবেদন জানান চিকিৎসকরা।চিকিৎসকরা দ্রোহ কার্নিভ্যালেও মুখ্য সচিবকে আবেদন জানিয়েছেন আসার জন্য। থ্রেট কালচার, প্রতি পদক্ষেপে জুনিয়র ডক্টরদের অনশন মঞ্চ তৈরির জন্য বাধা- সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা এই বৈঠকে।বৈঠক শেষে মুখ্য সচিবের আশ্বাস মিলেছে বলেই জানালেন চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, “আশা করছি রাজ্য সরকার সদর্থক পদক্ষেপ করবে। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন তিনি দেখছেন।” গোটা বিষয়টি আলোচনা স্তরে রয়েছে বলেই দাবি সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের।বৈঠকে পাল্টা রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের দাবি, জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মতো একাধিক আধিকারিকদের সরানো হয়েছে, বদলি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বৈঠক করেছেন। তারপর কেন মনে করছেন রাজ্যের সদিচ্ছা নেই?
