সম্প্রতি মাতৃ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে নাতনি সারা আলি খানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বি-টাউনের এভারগ্রিন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। সেখানেই প্রথম বার মা হওয়ার অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। তাঁর প্রথম সন্তান পুত্র সইফ আলি খান। আর যখন সইফের জন্ম হয়েছিল, তখন অভিনেত্রীর ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। ফলে সেভাবে প্রথম সন্তানকে সময় দিতে পারেননি বলেও আক্ষেপ তাঁর।
যদিও এরপর শর্মিলা ঠাকুরের আরও দুই সন্তান জন্মায় – সাবা পতৌদি এবং সোহা আলি খান। তবে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অভিনেত্রী একজন মা হিসেবে দুই কন্যাকে সময় দিয়েছিলেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস শর্মিলা ঠাকুরের বক্তব্য তুলে ধরেছে। অভিনেত্রীর কথায়, “যখন আমার কোলে সইফ আসে, তখন আমি প্রচণ্ড ব্যস্ত ছিলাম। আমি সেই সময় দুই শিফটে কাজ করতাম। এমনকী ওর ৬ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত আমি প্রায় ওর সঙ্গে থাকতেই পারিনি। আমার যা করার ছিল, আমি সেটুকুই করেছি। আমি পেরেন্ট-টিচার মিটিংয়ে যোগ দিতাম এবং ওর নাটকও দেখতে যেতাম। কিন্তু আমার মনে হয় না যে, আমি একজন ফুল-টাইম মা ছিলাম। আমার স্বামী (মনসুর আলি খান পতৌদি) অবশ্য থাকতেন, কিন্তু আমি থাকতে পারতাম না। এরপর আমি একটা সময়ে এক অতিরিক্ত উৎসাহী মা হয়ে উঠেছিলাম। ফলে ওকে আমি খাইয়ে দিতাম, স্নান করাতাম এবং সব কিছু করে দিতাম। আসলে সেটা ছিল পেন্ডুলামের অন্য পিঠ। সত্যি বলতে কী আমি কিছু ভুল করেছি।”
আরও পড়ুন: দীপিকার হবু সন্তানের ছবি দেখেছেন? নেটদুনিয়ায় ফাঁস হতেই তোলপাড়! আসল সত্যিটা জানলে রাতের ঘুম উড়বে
আরও পড়ুন: অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক…! বাড়ছে দুশ্চিন্তা, ঠিক কী হয়েছে রাখির? প্রার্থনার আর্জি প্রাক্তন স্বামীর
এখানেই শেষ নয়, শর্মিলা বলে চলেন, “কিন্তু ও ঠিকঠাক ভাবেই মানুষ হয়েছে। আমার স্বামী তো ছিলেনই। এমনকী আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের সাহায্যও পেয়েছি। ওর এক স্কুলের শিক্ষিকা মুম্বইয়ের অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন। তিনি এবং তাঁর স্বামী সইফকে খুব ভাল ভাবে দেখভাল করেছেন … তবে মেয়েদের জন্য আমিই ছিলাম।”
প্রসঙ্গত, কাজের দিক থেকে দেখতে গেলে সইফ আলি খান ‘দেবারা’ ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে জুনিয়র এনটিআর-কে। আবার এই ছবির হাত ধরে দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় পা রাখতে চলেছেন শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কাপুর। তেলুগু এই ছবিতে এক পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে শর্মিলা-পুত্র সইফকে।