লাইফস্টাইল Healthy Fruit Piyal: বন্য ফল বলে তুচ্ছ করবেন না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, পিত্ত ঠান্ডা করে Gallery May 17, 2024 Bangla Digital Desk বন-জঙ্গলে পাওয়া পিয়াল ফল আজকাল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। আর মজার বিষয় হল, পিয়াল নামের এই ফলটি পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা এলাকার বাজারগুলিতে ভালবাসার মিষ্টি নামেই বিকোচ্ছে।বনবাদাড়ে পাওয়া ছোট্ট আকারের বেগুনি ও কালচে রঙের পিয়াল ফল আজকাল মানুষ বেশ পছন্দ করছে। ফলে হাট-বাজার সর্বত্রই এর দেখা মিলছে। আসলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ আশপাশের জঙ্গল থেকে তুলে এনে এই ফল বাজারে বিক্রি করছেন। এমনকী প্রচণ্ড গরমে এই বন্য ফলের চাহিদাও বেশ তুঙ্গে। কারণ এই ফলের গুণাগুণ অতুলনীয়। কারণ পিয়াল ফল সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় বলে মত অনেকের। মহুয়ার মরশুম শেষ হতে না হতেই পিয়াল, করমচা (যাকে কানুদা অথবা করোন্দা বলেও ডাকা হয়), কাঁঠাল এবং জঙ্গলের অন্যান্য ফল বাজারে একেবারে ছেয়ে যায়। আর আজকাল বিশেষ করে চতরার আঞ্চলিক বাজারে পিয়াল, করমচা ও কাঁঠালের দেখা মিলছে। বনাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে এই সব ফল পাওয়া যায়। পত্থলগড়া, নাওয়াডিহ, গাঙ্গুলী, মেরাল, দ্বারী এবং অন্যান্য বাজারে পিয়াল ফল এবং কাঁঠাল উভয়ই পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। চতরা-বালুমাথ, চতরা-হাজারীবাগ হয়ে কটকামসান্দি, চতরা-ডোবি পথ, চাতরা-সিমারিয়া-সহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে শিশু ও গ্রামবাসীদের পিয়াল ও কাঁঠাল বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। এই পিয়াল ফল লাভলং, কুন্ডা এবং অন্যান্য ব্লকেও সহজেই পাওয়া যায়। পত্থলগড়া, সিমারিয়া ও কটকামসান্দির সীমানা এলাকার বনাঞ্চলে পার্সিমন, পিয়াল, কাঁঠাল, করমচা ও অন্যান্য ফলের গাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। গ্রামবাসীরা বন থেকে এই সব ফল সংগ্রহ করে সাপ্তাহিক বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। আর এই ফলগুলি বাজারে পৌঁছনো মাত্রই তা বিক্রি হয়ে যায় সহজে। ফলে এই সব ফল থেকে অনেকেরই কর্মসংস্থানও হচ্ছে।পিয়াল ফল স্বাদে মিষ্টি এবং অনন্য। ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে পাওয়া পিয়াল ফলের থেকে ভোজ্য বীজও আহরণ করা হয়। পত্থলগড়া স্থানীয় বনাঞ্চলে প্রাপ্ত পিয়াল ফল, কাঁঠাল, করমচা এবং অন্যান্য ফল খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি আসলে প্রকৃতির এক অনন্য উপহার, যা সহজেই পাওয়া যায়। আর দামেও বেশ সস্তা। শুধু তা-ই নয়, এই বন্য ফল অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানও করেছে।