প্রতীকী ছবি

Hathras: গর্ত খুঁড়তেই চক্ষু চড়কগাছ! ৩০ বছর পর পাওয়া গেল মৃতের কঙ্কাল, শিরোনামে ফের হাথরস!

হাথরস: আবারও শিরোনামে হাথরস, মৃত্যুর ৩০ বছরের পর পাওয়া গেল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। অভিযোগ, ৩০ বছর আগে তাঁকে তাঁর দুই ছেলে হত্যা করে তার পরে কেটে গেছে বহুযুগ, এতদিন বাদে হঠাৎ বেরিয়ে এল ওই মৃত ব্যক্তির দেহ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই মৃতদেহটি ফরেনসিকের জন্য পাঠিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির দুই ছেলে প্রদীপ কুমার এবং মুকেশ কুমারে উপর। এছাড়াও তাঁদের মা এবং আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম জানা গিয়েছে বুদ্ধ রাম। তাঁর সবথেকে ছোট ছেলে পাঞ্জাবি সিং এই বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন।
ওই অঞ্চলের গিলোন্ডপুর গ্রামের বাসিন্দা পাঞ্জাবি সিং ওই ঘটনার সময় মাত্র নয় বছরের বালক ছিলেন, তিনি সেই দিনের কথা বলতে গিয়ে জানান, “আমি সবসময় বাবার সঙ্গেই ঘুমতাম, কিন্তু সেইদিন আমার দুই বড় দাদা আমাকে অন্য ঘরে শুতে বলল। আমি সারারাত ঘুমোতে পারিনি। মাঝরাতে আমি শুনি আমার দুই দাদার সঙ্গে বাবার তুমুল হাতাহাতি হচ্ছে। আমি ভয়ে ঘরের এক কোনায় লুকিয়ে পড়ি। “

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! ট্রাকের সঙ্গে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত অন্তত ৯
পরের দিন পাঞ্জাবি জানান তিনি উঠোনে একটি বিশাল বড় গর্ত লক্ষ্য করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখি উঠোনে বিশাল বড় একটা গর্ত হয়ে রয়েছে। আমি মাকে জিজ্ঞেস করি বাবা কোথায়? কিন্তু উত্তরে মা বলে বাবা কোথাও চলে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন: ভোট মরসুমে তপ্ত কাশ্মীর, অভিযানে সেনা! খতম এক জঙ্গি
তাঁর বাবাকে খুঁজতে এরপর কেটে গিয়েছে ৮ বছর। ৮ বছর বাদে তিনি পুলিশেও অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ জমি বিবাদ বলে তা উড়িয়ে দেয়। এরপরেই তাঁরা ঠিক করেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে এই বিষয়ে জানাবেন। সেই মাফিক গত মাসে তাঁরা অভিযোগ জানান। গত বৃহস্পতিবার, একটি পুলিশের টিম এসে গর্ত খুঁড়ে প্রায় ৩০ বছর উদ্ধার করে সেই মৃত ব্যক্তির কঙ্কাল। পৈতৃক ভিটেতেই এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ফলে এত বছর বাদে দোষীদের আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন মৃতের সর্ব কনিষ্ঠ ছেলে।