শিখা শ্রেয়া, রাঁচি: অনেক সময়ই ব্রহ্ম মুহূর্তে অর্থাৎ ভোর ৩-৪ টের সময় আচমকাই ঘুম ভেঙে যায়। এমনকী কেউ তাঁদের ঘুম থেকে ডেকে দেন না কিংবা কোনও অ্যালার্মও বাজে না। হামেশাই যদি কারও সঙ্গে এমনটা ঘটে, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং শুনলে হয়তো খুশি হবেন যে, এটা বেশ ভাল। কারণ জ্যোতিষশাস্ত্রে এই বিষয়টাকে খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে (রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতিষশাস্ত্রে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত) Local 18-এর কাছে বলেন যে, ভোর ৩টে থেকে ৪টে পর্যন্ত সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্রহ্ম মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসাবে গণ্য হয়। আসলে এই সময়ে বেশ কিছু শক্তি আমাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করে। Representational Imageসন্তোষ কুমারের ব্যাখ্যা, যদি ভোর ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, প্রকৃতি কোনও বার্তা দিতে চাইছে। আসলে প্রকৃতিই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা উচিত এবং এই সময়টার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা উচিত। কারণ এই সময়ে ইতিবাচক এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। যার সদ্ব্যবহার করে নিজের জীবনকে অনেক সুন্দর করে তোলা সম্ভব।ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এইসব কাজ করা আবশ্যক: জ্যোতিষী আরও বলেন যে, এই সময়ে ঘুম থেকে উঠে নিজের ইষ্টদেবতার নাম করতে হবে। কিংবা যদি কোনও সাধনা করার পরামর্শ পেয়ে থাকেন, সেটাই করা উচিত। এতে ৫ গুণ বেশি লাভ করতে সক্ষম হবেন। তবে এই সময় যদি কিছু বুঝতে সক্ষম না হন, তাহলে চুপচাপ শান্ত হয়ে বসে নিজের ইষ্টদেবতার নাম জপ করতে হবে। কারণ এটিও সমান ভাবে ফলদায়ক হতে চলেছে। Representative Imageঅলৌকিক পরিবর্তন ঘটবে জীবনে: সন্তোষ কুমার বলেন, অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই অনিদ্রার রোগীদের যদি এভাবে আচমকা ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। Representational Imageতবে যদি কোনও সমস্যা ছাড়াই ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, প্রকৃতি সংযোগ স্থাপন করতে চাইছে। যদি এই সময়টাকে ভাল ভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে জীবনে অলৌকিক পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আসলে জীবনে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে উন্নতি, সম্মান এবং প্রতিপত্তিও বাড়বে। Representational Image