লাইফস্টাইল Smartphone side Effects: ঘণ্টার পর ঘণ্টা আপনার সন্তান স্মার্টফোন নিয়ে বসে থাকে! কত বড় ক্ষতি করছেন জানেন? Gallery October 17, 2024 Bangla Digital Desk নিউ দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান ডাঃ জিসি খিলনানি, নিউজ 18-এর সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছিলেন যে, ১২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ল্যানসেট জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীরা মনকে প্রভাবিত করছে। যুবকদের এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতে অদ্ভুত রিল তৈরির প্রভাবশালীরা শুধু যুবকদের সঙ্গেই নয়, ছোট বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও খেলছে। ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী যুবকদের মধ্যে মানসিক রোগের গ্রাফ দ্রুত বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল ও বিজ্ঞাপনের কারণে ভ্যাপিং, ধূমপান, জুয়ার আসক্তি, ফাস্টফুডের আসক্তি, অ্যালকোহল আসক্তি ইত্যাদিও বাড়ছে। ফোনের কারণে পরিবার, বন্ধুবান্ধব, এমনকি খাবার টেবিলে বসা মানুষের মধ্যেও কথাবার্তার অভাব রয়েছে। তারা সবাই একসাথে ফোন ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে শিশুদের শুধু শারীরিক বিকাশই নয়, মানসিক বিকাশ ও চিন্তার মাত্রাও নষ্ট হচ্ছে। এটা বন্ধ না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ডক্টর জিসি খিলনানি বলছেন, শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্মার্টফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা না হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। অনেক কিশোর এবং শিশু ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মতো সমস্যায় ভুগবেন৷ ঘরে ঘরে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ডিভাইসের ব্যবহার কমাতে হবে। এর জন্য কিছুটা হলেও অভিভাবকরা অনেকাংশে দায়ী। অভিভাবকদের তাদের ছোট বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখতে ফোন ধরার অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন না হলে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ফোন দেবেন না। শিশুরা যদি গভীর রাত পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করে তাহলে তাদের দিকে নজর রাখুন। আপনি বুঝতেও পারবেন না যে শিশুরা সামাজিক নির্যাতনের শিকার হবে। বুঝুন ফোন আপনার সন্তানদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি ঘরোয়া টোটকা, কোনও চিকিৎসা বা ওষুধের বিকল্প নয়, ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যিক ৷