পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Snake: কালাচ.., কেউটে.., গোখরো.., চন্দ্রবোড়া..! গরমকালে সাপে কামড়ালে কী করবেন? কী করবেন না? জানালেন বিশেষজ্ঞ Gallery May 13, 2024 Bangla Digital Desk গ্রীষ্মকাল থেকে বর্ষাকাল। সাপের উপদ্রব বাড়তে থাকে বছরের এই সময়। প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসে সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন সাপের কামড়ানো এড়ানো যায় কিছু বিশেষ উপায়ে। শুধু তাই নয়, সাপ কামড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে সঠিক চিকিৎসা দ্বারা রোগীকে প্রাণে বাঁচানো পর্যন্ত সম্ভব। দুঃখজনক হল, সচেতনতা কম ও অজ্ঞতার কারণে আজও এ রাজ্যে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সর্পদংশন আটকাতে কী করা উচিত বা সাপ কামড়ানোর ঠিক পর মুহূর্তের পদক্ষেপ কী হবে? জেনে নেওয়া যাক কী বলছেন চিকিৎসক দয়ালবন্ধু মজুমদার। কালাচ, চন্দ্রবোড়া, কেউটে, গোখরো। গ্রাম বাংলায় এই মহা-চারের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকে মানুষ। এদের থেকেও বিষাক্ত সাপ আছে। শঙ্খচুড়, শাঁখামুটি। এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ইয়েলো বেলি সি স্নেকের আতঙ্ক। দিঘায় সমুদ্র সৈকতে সম্প্রতি এই সাপ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এই সব সাপের কামড় এড়াতে নেওয়া যায় কিছু উপায়। সাপের কামড় এড়াতে কী করবেন? দেখে নিন বিশেষ কয়েকটি উপায়:বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙিয়ে শোবেন। (মেঝেতে ঘুমালে মশারি বাধ্যতামূলক) অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না, একান্তই বাধ্য হলে হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে হাঁটুন।সাপ দেখলে হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই।জুতো পরার আগে তা ঝেড়ে নিন।মাটির বাড়িতে কোনও ইঁদুর গর্ত থাকলে তা আজই বুজিয়ে ফেলুন। সাপের কামড়ের পরেও বাঁচিয়ে নেওয়া যায় রোগীকে। শুধু উপযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে:একে এক কথায় বলা হয়, Do R_I_G_H_T R- Reassurance :সাপে কামড়ানোর রোগীকে আশ্বস্ত করুন। কারণ এক্ষেত্রে রোগী খুবই আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। আতঙ্কও মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। রোগীকে বোঝান, সাপের কামড়ে আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিৎসায় বেঁচে উঠেছেন, আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন। I – Immobilizationযত কম নড়াচড়া হবে তত কম হারে বিষ সারা শরীরে ছড়াবে। স্কেল বা বাঁশের টুকরো সহ হাতে/ পায়ে (যে অংশে কামড়াবে) কাপড় দিয়ে হাল্কা করে বেঁধে দিন। হাত বা পা (কামড়ের নিকটতম স্থান) যাতে তিনি ভাঁজ করতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা । GH – Go To Hospitalদ্রুত ফোন করে জেনে নিন আপনার নিকটতম হাসপাতাল কোনটি : যেখানে A.V.S নিওস্টিগমিন, অ্যাট্রোপিন এবং অ্যাড্রিনালিন আছে সেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মাথায় রাখবেন সাপের কামড়ের সম্পূর্ণ চিকিৎসা একটি ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারেই সম্ভব। T- Tell Doctor for Treatmentহাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে সাপের কামড়ের চিকিৎসা করতে বলুন। রোগীর কথার মধ্যে কোনও অসঙ্গতি (যেমন কথা জড়িয়ে আসা, নাকি সুরে কথা বলা খেয়াল করলে তা পরিষ্কার করে, যেমন কতক্ষণ আগে শুরু হল তা চিকিৎসককে জানান। সাপের কামড়ের RULE OF 100 :বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার (১০ ভায়াল) AVS শরীরে প্রবেশ করলে রোগীর বেঁচে যাবার সম্ভাবনা ১০০%। সাপের কামড়ে বিষক্রিয়ার লক্ষণ-দু’ চোখের পাতা পড়ে আসা।কামড়ের স্থানে অসম্ভব জ্বালা-যন্ত্রণা (ফণাধর সাপের ক্ষেত্রে)।ক্রমবর্ধমান ফোলা।শরীরের নানা স্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে আসবে।ঢোক গিলতে অসুবিধে হতে পারে। ঝাপসা দেখা।জিভ জড়িয়ে যাওয়া।ঝিমিয়ে পড়া।চিকিৎসায় দেরি হলে শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু। যদিও এশিয়ার বিষাক্ততম সাপ কালাচের কামড়ে কোনও জ্বালা-যন্ত্রণা থাকে না, দংশন স্থানে কোনও চিহ্ন পাওয়া প্রায় যায়ই না। পেটে ব্যথা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, খিঁচুনি কিংবা শুধুমাত্র দুর্বলতা অনুভব করার লক্ষণের সঙ্গে দু’চোখের পাতা পড়ে আসা নিশ্চিত কালাচের কামড়ের লক্ষণ।