সোনু নিগমকে নিয়ে শোরগোল

Sonu Nigam: বিজেপি-কে সমর্থন না দেওয়ায় কি অযোধ্যার ভোটারদের উপর চটলেন সোনু নিগম? জানুন আসল সত্যিটা

নয়াদিল্লি: নামের জটে বিপাকে বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সোনু নিগম! অযোধ্যায় বিজেপিকে সমর্থন না দেওয়ায় উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সোনু, এই ভেবে নেটিজেনরা তীব্র আক্রমণ করে বসেন বি-টাউনের এই তারকাকে। পরে সত্যটা সামনে এনে সংবাদমাধ্যম এবং নেটিজেনদের রীতিমতো একহাত নিলেন সোনু।

ঠিক কী ঘটেছিল? সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, যেখানে রাম মন্দির গড়া হয়েছে, সেই অযোধ্যাতেই ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। এদিকে বিজেপির এই হারের পরেই উত্তরপ্রদেশের ভোটারদের বিরুদ্ধে নিজের এক্স হ্যান্ডলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোনু নিগম সিং নামে এক ব্যক্তি। এদিকে তাঁর নাম দেখে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। আসলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভেবে বসেন, এই সোনু নিগম আসলে বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগম। এরপরেই এই ভুলের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একহাত নিয়েছেন বি-টাউন তারকা।

কিন্তু পোস্টে কী লেখা হয়েছে, সেটাই দেখে নেওয়া যাক। পোস্টটিতে লেখা ছিল, “যে সরকার অযোধ্যাকে সুন্দর করে সাজাল, একটা নতুন বিমানবন্দর দিল, রেলস্টেশনও দিল এবং ৫০০ বছর পরে রাম মন্দির বানাল, একটা মন্দির অর্থনীতি তৈরি করল, আর সেই পার্টিকেই অযোধ্যা আসনে জমি পাকা করতে লড়াই করতে হচ্ছে। অযোধ্যাবাসীরা লজ্জিত।” এই পোস্টে মন্তব্য দেখেই সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ ভেবে বসে যে, বলিউড গায়ক এখানে বক্তব্য রেখেছেন।

আরও পড়ুন: কোথায় আছেন প্রশান্ত কিশোর? রেজাল্টের পর থেকেই তুঙ্গে জল্পনা! উঠে গেল বড় প্রশ্ন!

তবে সোনু সাফ জানান, তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করেননি। সেই সঙ্গে আরও জানিয়ে দেন যে, সাত বছর আগে তাঁর এক্স প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোনু বলেন যে, “আমি অবাক হয়ে যাই, কীভাবে মানুষ এমনকী সংবাদমাধ্যমও আমার সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে গুলিয়ে ফেললেন। তাঁরা কি অ্যাকাউন্টের ডেসক্রিপশন পড়ে প্রাথমিক বিচক্ষণতা পরীক্ষাটুকুও করেন না। তাঁর হ্যান্ডলে তো লেখা আছে সোনু নিগম সিং। আর ডেসক্রিপশনে তো লেখাই আছে যে, উনি বিহারের বাসিন্দা এক ক্রিমিনাল আইনজীবী।”

সঙ্গীতশিল্পী আরও বলেন যে, “এই বিষয়গুলিই আমায় বছর সাতেক আগে ট্যুইটার ছাড়তে বাধ্য করেছিল। চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক মন্তব্য করায় আমি বিশ্বাসী নই। আমি শুধু নিজের কাজে মনোনিবেশ করি। তবে এই ঘটনাটা খুবই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। শুধু আমার জন্য নয়, এটা আমার পরিবারের নিরাপত্তারও প্রশ্ন।”