Astronauts stuck using diaper: ভেঙে গিয়েছে শৌচাগার, মহাশূন্যে মহাকাশচারীদের দিন কাটছে ডায়াপারে

কেপ কানাভেরাল : আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (International Space Station) থেকে এই সপ্তাহান্তেই পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা কয়েক জন মহাকাশচারীর৷ কিন্তু তাঁদের ক্যাপসুলে শৌচাগার ভেঙে গিয়েছে৷ ফলে মহাকাশচারীদের সময় কাটছে ডায়াপার পরেই (Astronauts stuck using diaper)৷ তবে নাসা-র (NASA) মহাকাশচারী মেগান ম্যাকআর্থার এই পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব বলেই জানিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘মহাকাশযাত্রা সব সময়েই ছোটখাটো চ্যালেঞ্জে ভরপুর৷ এটাও সেই চ্যালেঞ্জের মধ্যে একটি৷ তাই এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম না৷’’ ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় তাঁরা কাটিয়ে ফেলেছন ডায়াপার পরেই৷

মেগান ছাড়াও এই অভিযানে সামিল জাপানের আকিহিতো হোশিদে, নাসার শেন কিমব্রো এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির থমাস পেস্ক৷ সংবাদমাধ্যমকে পেস্ক জানিয়েছেন, স্পেস স্টেশনের পাওয়ার গ্রিড মেরামত-সহ একাধিক কাজের জন্য তাঁরা স্পেসওয়াক করেছেন৷ কাজের মধ্যে ছিল টয়লেট মেরামতির পর্বও৷ কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ অগত্যা ডায়াপার পরা ছাড়া অন্য উপায় ছিল না৷

আরও পড়ুন : সূর্যের এই অংশের তাপমাত্রা ১০ লক্ষ ডিগ্রি °C, NASA এখানে পাঠাচ্ছে জুতোর বাক্স

স্পেস এক্স-এর ক্যাপসুলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে তাঁরা পৌঁছেছিলেন গত ২৮ এপ্রিল৷ খাবার দাবারের দিকেও রয়েছে চমক৷ এই প্রথম মহাকাশ  গবেষণা কেন্দ্রে লঙ্কার ফলন হয়েছে মহাকাশচারীদের হাতে৷ সেই লাল ও সবুজ লঙ্কা দিব্যি ট্যাকোতেও দিয়েছেন তাঁরা৷

আরও পড়ুন : ভাল লাগছে না? জেনে নিন কীভাবে ফের ফিরে যাবেন Windows 10-এ

গত ২৯ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন ট্যুইটারে ছবি শেয়ার করেছিল মহাকাশে চাষ করা লঙ্কা-সহ ট্যাকোর ছবি৷ মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার মধ্যে একটি অংশই ছিল এই চাষ৷ গবেষণা পর্বের পোশাকি নাম ছিল ‘প্ল্যান্ট হ্যাবিট্যাট-০৪’৷

আরও পড়ুন : পুরনো মেশিন ? ঠিকই ইনস্টল করা যাবে Windows 11; জেনে নিন কী ভাবে

মহাকাশবিজ্ঞানী মেগান ম্যাকআর্থারের ট্যাকো-সহ ছবি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন নেটিজেনরা৷ অনেকেই জানতে চান, কীভাবে এই অসাধ্যসাধন হল৷ অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে কী করে ট্যাকোর মধ্যেই অবস্থান করছিল মহাকাশে চাষ করা লঙ্কাগুলি৷

আর এক ট্যুইটারেত্তি জানতে চান, কী করে মহাকাশচারীরা লঙ্কা কুচি করলেন? ছোট ছোট টুকরোগুলি চারদিকে শূন্যে ভাসতে শুরু করেনি? প্রশ্ন তাঁর৷ অনেকে আবার ভেবেছিলেন আরও কিছুটা এগিয়ে৷ তাঁদের দূরতম কল্পনা ছিল, মহাশূন্যে তৈরি ট্যাকো ভবিষ্যতে নিামে বিক্রি হবে চড়া দামে৷ বিজ্ঞানীদের এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে কোনও নেটিজেনের পরামর্শ, মহাকাশে এ বার পোলট্রি ফার্মও খোলা হোক৷