অমৃত ভারত প্রকল্পে তৈরি হচ্ছে নতুন রেলওয়ে স্টেশন

Indian RailWay: বিমানবন্দর না রেল স্টেশন চিনতে পারবেন না! বাংলারই এই স্টেশন, নাম বলতে পারবেন না গ্যারেন্টি

উত্তরবঙ্গ: অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)-এর অধীনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে  আওতায় ৯২টি স্টেশন থাকবে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা-সহ নানা কিছু।

এই জোনের মধ্যে সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রেলওয়ে পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেটে ১০,৩৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: চেনা ছন্দে কি ফিরতে পারল পাহাড়? দুর্যোগের পর কেমন থাকবে উত্তরে আবহাওয়া? রইল যাবতীয় আপডেট

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনটি তালিকাভুক্ত স্টেশনগুলির মধ্যে অন্যতম৷ অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে এই স্টেশনে আনুমানিক ২৪.৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: সন্তান বড্ড জেদি হয়ে উঠছে? কেন জানেন! এর কারণ আপনি নয়তো? কী বলছেন শিশু বিশেষজ্ঞ

পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার এক বৃহৎ অঞ্চল যোগাযোগ পরিষেবার উল্লেখযোগ্য স্টেশন কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটির প্রস্তাবিত পুনর্বিকাশের বিভিন্ন চলমান কাজের মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৬২ শতাংশ সামগ্রিক অগ্রগতি হয়েছে।

সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে একটি ১২ মিটার চওড়া ফুট-ওভার ব্রিজ (এফওবি) সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে এক উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন অর্জন করা গিয়েছে। এই আধুনিক এফওবি সুরক্ষার পাশাপাশি যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা বৃদ্ধি করবে৷

এছাড়াও  থাকবে প্যাসেঞ্জার প্ল্যাটফর্ম শেড, প্ল্যাটফর্ম সারফেসিং৷ তাছাড়াও স্টেশনের সাজসজ্জা জুড়ে রয়েছে স্থানীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক ভাস্কর্যের ছোঁয়া৷

এছাড়ও চলছে উন্নত বিল্ডিং স্ট্রাকচার, যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক বসার ব্যবস্থার সঙ্গে উন্নত সার্কুলেটিং এরিয়া, স্টেশন চত্বরের মধ্যে সুগম চলাচলের সুবিধার জন্য আধুনিক লিফ্ট ও এসকেলেটরের কাজ।

নতুন স্টেশনটিতে দ্বিতীয় প্রবেশ ব্যবস্থাও থাকবে, যার নির্মাণের কাজও চলছে। এফওবি-র পাশাপাশি এই স্টেশনটিতে দিব্যাঙ্গ যাত্রী-সহ সকলেরই সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রাখা হয়েছে৷

সব মিলিয়ে এমন ধরনের পরিকাঠামোর ব্যবস্থা থাকবে যা স্টেশন চত্বরকে  অত্যাধুনিক রূপ প্রদান করবে। স্টেশন চত্বরটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও প্রত্যেকটি শ্রেণির যাত্রীর জন্য সহজে প্রবেশযোগ্য করে তুলতে  সঠিক আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এই স্টেশনটির উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে এবং যাত্রীদের ভ্রমণও আরামদায় হয়ে উঠবে। এর ফলে যোগাযোগ ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই বিকাশ ঘটবে।