সুপ্রিম কোর্টে খুলবে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষক জট?

SSC Scam Case: ‘কারা যোগ্য, জানি’, সুপ্রিম কোর্টে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের হিসেব দেবে SSC! সবার নজর সোমবার

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয় সম্প্রতি। আদালত জানিয়েছিল, যোগ্যদের তালিকা এসএসসি দেয়নি। তাই এই ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রথমে সেই দাবি খণ্ডন করেছিল এসএসসি। পরে কমিশন প্রধান কার্যত সেই অভিযোগ মেনেও নিয়েছিলেন। শুক্রবার যোগ্য প্রার্থী বলে দাবি করা একদল চাকরিহারারা দেখা করলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে। এরপরেই তাঁর দাবি, যোগ্য ও অযোগ্যদের জট খোলা সম্ভব। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য শিক্ষকদের নাম জানাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

বৈঠকের পর এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘আমরা হলফনামা দিয়ে জমা দিয়েছিলাম যারা অযোগ্য প্রার্থী তাঁদের নাম দিয়ে। যারা যোগ্য প্রার্থী তাঁরা আজ এসেছিলেন আমার সঙ্গে দেখা করতে। যাঁদের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই। এসএসসি অবশ্যই রয়েছে যোগ্যদের সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করে বলব এই তালিকা থেকে যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করা সম্ভব। যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই সেই পরিসংখ্যান সুপ্রিম কোর্টে দেব। আমরা কিন্তু যাঁরা দোষী নয়,তাঁদের পাশে আছি। সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ মোতাবেক আমরা যা করার করব। এই বার্তাটা আপনাদের মাধ্যমে আমরা পৌঁছে দিতে চাই। যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই সেই পরিসংখ্যান আমরা সুপ্রিম কোর্টে দেব।’

আরও পড়ুন: বড় খবর! ভারতে ২ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল WhatsApp! এবার কি আপনার পালা? কী করতে হবে?

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে মুহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরিহারা হয়েছেন। ২৯ এপ্রিল, সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। কিন্তু সেখানেই এসএসসির চাকরিহারাদের কোনও সুরাহা হল না। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ।

আরও পড়ুন: গাড়িতে টানা কতক্ষণ AC চললে ১ লিটার তেল পোড়ে জানেন? উত্তর জানলে মাথা ঘুরে যাবে!

ওইদিন মামলাটির শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা শুনেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ণ জালিয়াতি।’ সুপ্রিম কোর্টে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে এসএসসি। শীর্ষ আদালত জানাল, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার। ততদিন চাকরি বাতিলের রায় বহাল থাকবে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়