লাইফস্টাইল Summer Health Tips: গরমে কী করবেন, কী করবেন না? আট থেকে আশিকে সুস্থ থাকার টিপস দিলেন বিশেষজ্ঞ Gallery May 15, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমানে ভারতের অনেক রাজ্যে তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। দিল্লি-এনসিআরে পারদ ৪০ ছাড়িয়েছে। আগামী দিনে তাপ আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মৌসুমে প্রখর রোদ, অতিরিক্ত ঘাম এবং হিটস্ট্রোকের কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। গ্রীষ্মের সবচেয়ে বড় বিপদ হল ডিহাইড্রেশন। আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি হলেই ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। আজ আমরা চিকিত্সকদের কাছ থেকে জানব যে এই ঋতুতে রোগের ঝুঁকি বাড়ে। মুম্বইয়ের অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিফ প্যাথলজিস্ট ডাঃ রাজেশ বেন্দ্রে বলেছেন যে গ্রীষ্মের মৌসুমে ডিহাইড্রেশন, হিট স্ট্রোক, ভাইরাল জ্বর, ইউটিআই, ডায়রিয়া, মাইগ্রেন, কিডনিতে পাথর, চোখের সংক্রমণ এবং পেটের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে জলের অভাব ডিহাইড্রেশন হতে পারে, যা হার্টের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। ডিহাইড্রেশন চরম ক্লান্তি সৃষ্টি করে এবং এটি বিপি-সুগার লেভেলকেও প্রভাবিত করে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার জল পান করা উচিত এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা উচিত। গরমে কিডনিতে পাথরের প্রকোপ দ্রুত বেড়ে যায়। এর সবচেয়ে বড় কারণ জলের অভাব। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবে রক্ত, বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা যায়। ডাক্তার বলেছেন, টাইফয়েড, জন্ডিস এবং গ্যাস্ট্রোজনিত রোগও গ্রীষ্মকালে ছড়াতে শুরু করে। গ্রীষ্মে আলগা কাটা ফল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এতে করে রোগ ছড়ায়। শুধু তাই নয়, ফলের রসে ব্যবহৃত বরফও স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এই ঋতুতে সবাই আখের রস পান করতে পছন্দ করে, তবে এটি প্রায়শই জন্ডিস এবং টাইফয়েডের কারণ হয়। এটি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। গরমে কারো অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, বমি, নার্ভাসনেস, মাথা ঘোরা, বিপি হলে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিত্সা করা উচিত। হৃদরোগীদেরও গরমে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত এবং সময়ে সময়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)