অন্ধকার রাত। কিন্তু চারদিকে সূর্যের আলো। ভাবলে অবাক হতে হয়। তবে খুব শীঘ্রই বাস্তব হতে পারে এই স্বপ্ন। দিনের বেলা সূর্যালোক মজুত করে রাত্রিতে তা পাঠানো হবে সোলার প্যানেলে। অন্ধকারে ঝলমল করে উঠবে চারদিক। Photo- Representative

Sun Light Sell: না নিশীথ সূর্যের দেশ নয়, মার্কিন কোম্পানি এবার ঘন কালো অন্ধকার রাতে বেচবে রোদ

অন্ধকার রাত। কিন্তু চারদিকে সূর্যের আলো। ভাবলে অবাক হতে হয়। তবে খুব শীঘ্রই বাস্তব হতে পারে এই স্বপ্ন। দিনের বেলা সূর্যালোক মজুত করে রাত্রিতে তা পাঠানো হবে সোলার প্যানেলে। অন্ধকারে ঝলমল করে উঠবে চারদিক। Photo- Representative
অন্ধকার রাত। কিন্তু চারদিকে সূর্যের আলো। ভাবলে অবাক হতে হয়। তবে খুব শীঘ্রই বাস্তব হতে পারে এই স্বপ্ন। দিনের বেলা সূর্যালোক মজুত করে রাত্রিতে তা পাঠানো হবে সোলার প্যানেলে। অন্ধকারে ঝলমল করে উঠবে চারদিক। Photo- Representative
রিফ্লেক্ট অরবিটাল নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি রয়েছে আমেরিকায়। তারা সূর্যের আলো বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাবে। যার সাহায্যে প্রতিফলনের মাধ্যমে রাতের বেলা সূর্যের আলো পৃথিবীতে পাঠানো হবে। ফলে সোলার প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ তৈরিতে কোনও বাধা থাকবে না। Photo- Representative
রিফ্লেক্ট অরবিটাল নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি রয়েছে আমেরিকায়। তারা সূর্যের আলো বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে। কোম্পানি জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তারা মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাবে। যার সাহায্যে প্রতিফলনের মাধ্যমে রাতের বেলা সূর্যের আলো পৃথিবীতে পাঠানো হবে। ফলে সোলার প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ তৈরিতে কোনও বাধা থাকবে না। Photo- Representative
সম্প্রতি লন্ডনে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি ফ্রম স্পেস’ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যখ্যা করেন রিফ্লেক্ট অরবিটালের সিইও বেন নোভাক। তিনি বলেছেন, কোম্পানি এমন স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যা সূর্যের আলো সংগ্রহ করে রাতের বেলা পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সানলাইট অফ ডিম্যান্ড’। দিনরাতের বন্ধনে আর বাঁধা থাকবে না সুর্য। যে কোনও সময় যে কোনও জায়গা থেকে সূর্যের আলো নেওয়া যাবে। Photo- Collected
সম্প্রতি লন্ডনে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এনার্জি ফ্রম স্পেস’ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যখ্যা করেন রিফ্লেক্ট অরবিটালের সিইও বেন নোভাক। তিনি বলেছেন, কোম্পানি এমন স্যাটেলাইট পাঠানোর পরিকল্পনা করছে যা সূর্যের আলো সংগ্রহ করে রাতের বেলা পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে। এই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সানলাইট অফ ডিম্যান্ড’। দিনরাতের বন্ধনে আর বাঁধা থাকবে না সুর্য। যে কোনও সময় যে কোনও জায়গা থেকে সূর্যের আলো নেওয়া যাবে। Photo- Collected
এক সাক্ষাৎকারে নোভাক বলেছেন, “এখন সর্বত্র সোলার প্যানেল লাগানো হচ্ছে। কিন্তু রাতে সূর্যের আলো পাওয়া যায় না। এটাই সমস্যা। এর সমাধান করতে পারলে আর বিদ্যুতের অভাব হবে না। আমাদের কোম্পানি সেই চেষ্টাই করছে। গোটা বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ Photo- Representative
এক সাক্ষাৎকারে নোভাক বলেছেন, “এখন সর্বত্র সোলার প্যানেল লাগানো হচ্ছে। কিন্তু রাতে সূর্যের আলো পাওয়া যায় না। এটাই সমস্যা। এর সমাধান করতে পারলে আর বিদ্যুতের অভাব হবে না। আমাদের কোম্পানি সেই চেষ্টাই করছে। গোটা বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে।’’ Photo- Representative
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সূর্যের আলো কীভাবে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে তার ভিডিও প্রেজেন্টেশনও দিয়েছেন নোভাক। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৫৭টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। প্রতিটা স্যাটেলাইট ৩৩ বর্গফুটের আলট্রা রিফ্লেক্টিভ মাইলার মিররে সজ্জিত। এই আয়নাগুলোর মাধ্যমে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসবে। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রদক্ষিণ করবে স্যাটেলাইটগুলো। ইতিমধ্যে একটি হট এয়ার বেলুনে ৮ ফুট বাই ৮ ফুট মাইলার মিরর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি চালু হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে কোম্পানি। Photo- Representative
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সূর্যের আলো কীভাবে পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে তার ভিডিও প্রেজেন্টেশনও দিয়েছেন নোভাক। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৫৭টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানো হবে। প্রতিটা স্যাটেলাইট ৩৩ বর্গফুটের আলট্রা রিফ্লেক্টিভ মাইলার মিররে সজ্জিত। এই আয়নাগুলোর মাধ্যমে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসবে। পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রদক্ষিণ করবে স্যাটেলাইটগুলো। ইতিমধ্যে একটি হট এয়ার বেলুনে ৮ ফুট বাই ৮ ফুট মাইলার মিরর দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি চালু হয়ে যাবে বলে দাবি করেছে কোম্পানি। Photo- Representative
এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে একই চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। ১৯৯২ সালে Znmaya2 নামে একটি প্রকল্প শুরু করে। তাতে পৃথিবীর কক্ষপথে আয়না স্থাপন করেছিলেন রাশিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। খুব অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীর দিকে সূর্যের আলো পাঠাতে সফলও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপর আর সম্ভব হয়নি। এখন রিফ্লেক্ট অরবিটাল সফল হয় কি না সেটাই দেখার। Photo- Collected
এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে একই চেষ্টা করেছিল রাশিয়া। ১৯৯২ সালে Znmaya2 নামে একটি প্রকল্প শুরু করে। তাতে পৃথিবীর কক্ষপথে আয়না স্থাপন করেছিলেন রাশিয়ান মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। খুব অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীর দিকে সূর্যের আলো পাঠাতে সফলও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তারপর আর সম্ভব হয়নি। এখন রিফ্লেক্ট অরবিটাল সফল হয় কি না সেটাই দেখার। Photo- Collected