#কলকাতা: বুধবার রাতে সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভারত জিতেছে ২-০ গোলে। দুটি গোল করেছেন সুনীল ছেত্রী। ৩৭ বছর বয়সে এসেও ভারতের গোল করার ক্ষেত্রে এখনো তিনি যে সেরা ভরসা সেটা প্রমাণিত। সুনীল অবশ্য মেনে নিয়েছেন কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জিতে গেলেও ভারত নিজেদের সেরা খেলা তুলে ধরতে ব্যর্থ।
ম্যাচ শেষে সুনীল জানিয়েছেন, প্রথম ম্যাচ বলে হয়তো কিছুটা জড়তা ছিল। তবে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে ম্যাচের ভিডিও দেখে ভুলভ্রান্তি খুঁজে বের করার চেষ্টা হবে। তিনি আশাবাদী আফগানিস্তান এবং হংকং ম্যাচে ভারত অনেক বেশি পজিটিভ ফুটবল খেলবে। কলকাতার গরমে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল ফুটবলারদের বলছেন সুনীল।
.@chetrisunil11 brace helps India ?? secure three points against Cambodia ??
Read ? https://t.co/sattG67ZCO#INDCAM ⚔️ #AsianCup2023 ? #BackTheBlue ? #BlueTigers ? #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/E6n03vGisD
— Indian Football Team (@IndianFootball) June 8, 2022
তবে কলকাতাবাসী যেভাবে তার আবেদনে সাড়া দিয়ে যুবভারতী ভরিয়ে দিয়েছিলেন তার জন্য কৃতজ্ঞ সুনীল। বাকি দুটো ম্যাচেও এভাবেই সর্মথকরা মাঠে আসুন চাইছেন ভারত অধিনায়ক। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করার পর সুনীল ছেত্রী আন্তর্জাতিক গোল সংখ্যা ৮২। লিওনেল মেসির ৮৬। এসব নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে রাজি নন সুনীল।
মেসির সঙ্গে তার তুলনা সম্ভব নয় আবার জানালেন। মেসি অন্য জগতের ফুটবলার এবং সুনীল ছেত্রীর কাছে স্বপ্ন। যতদিন খেলে যাবেন ততদিন গোল করার এবং দলকে জেতানোর চেষ্টা করে যাবেন ক্যাপ্টেন লিডার লেজেন্ড। কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে গোল সংখ্যা বাড়ানো উচিত ছিল ভারতের মেনে নিয়েছেন সুনীল।
তবে তিনি দুটো গোল করলেও লিস্টন, আশিক, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেস, সন্দেশরা যেভাবে তাকে সাহায্য করেছেন, সেটা বিরাট ব্যাপার সুনীল ছেত্রীর কাছে। কোয়ালিফায়ার পর্বে আফগানিস্তান এবং হংকং কম্বোডিয়ার তুলনায় অনেক পরিণত দল। তাই তাদের হাতে গেলে নিজেদের খেলার মান আরো বাড়াতে হবে ভারতকে।
সুনীল জানিয়েছেন দলের প্রত্যেকে মরিয়া এই তিনটি ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দিতে। অধিনায়ক হিসেবে বাকিদের বোঝানোর প্রয়োজন নেই তার। কলকাতার দর্শকদের সামনে ইতিহাস তৈরী করতে চান ভারত অধিনায়ক। কোচ হিসেবে ইগর স্টিম্যাচ প্রচন্ড চাপে রয়েছেন।
এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে না পারলে তার চাকরি দেওয়া প্রায় নিশ্চিত। মুখে অবশ্য সেটা প্রকাশ করতে নারাজ ক্রোয়েশিয়ান কোচ। এখন আফগানিস্তান এবং হংকং ম্যাচেই পাখির চোখ করছেন তিনি।