Sunil Gavaskar, Kohinoor: ব্রিটিশ সরকারকে বলুন কোহিনুর ফিরিয়ে দিতে! ধারাভাষ্যে চমক গাভাসকরের

#মুম্বই: সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ দাবি উঠেছে কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকারকে ভারতরত্ন দেওয়ার। অবাক হতে পারেন ভেবে যে এতদিন যখন তাকে দেওয়া হয়নি, তখন হঠাৎ কেন এই দাবি? আসলে আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন এমন একটি কাণ্ড ঘটিয়েছেন সুনীল গাভাসকার যে কারণে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতীয়রা। সেই ১৮৫০ সালে ভারতবর্ষ থেকে কোহিনূর হীরা নিয়ে গিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি।

সেই হীরা ব্যবহার করতেন ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়া। মহামূল্যবান সেই হীরা হারানোর শোক ভারতবর্ষ এখনো ভুলতে পারেনি। তাই চলতি আইপিএলেও উঠে এল কোহিনূর হীরার প্রসঙ্গ। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ব্রিটিশ ধারাভাষ্যকারের কাছ থেকে সোজা কোহিনূর হীরা চেয়ে বসেছেন ভারতের সুনীল গাভাসকার! রবিবার রাজস্থান রয়্যালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ চলাকালীন টিভি স্ক্রিনে মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভ দেখানো হচ্ছিল।

পর্যটকদের অতিপ্রিয় এই জায়গাটি রাতের অন্ধকারে হয়ে উঠেছিল মোহময়ী। মায়ানগরী মুম্বইয়ের এই রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে এর সঙ্গে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নেকলেসের তুলনা করেন সুনীল। সহ ধারাভাষ্যকার ইংল্যান্ডের অ্যালান উইলকিন্সের সঙ্গে একচোট মজাও করে নেন তিনি। অ্যালানের উদ্দেশে গাভাসকার বলেন, আমরা এখনো কোহিনূর হীরার অপেক্ষায় বসে আছি। গাভাসকরের কথায় দুজনই হেসে ফেলেন।

এরপর সানি আবারও জিজ্ঞেস করেন, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে অ্যালানের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা এবং অ্যালানের অনুরোধে অমূল্য সেই হীরা ভারতবর্ষে কোনোভাবে ফেরত আনা যেতে পারে কিনা? গাভাসকার রসিকতার ছলে আন্তর্জাতিক মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের একটা বড় দাবিকেই তুলে ধরেছেন। যা ইংলিশদের জন্য অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধের পর শিখদের হারিয়ে ব্রিটিশরা শিখ সাম্রাজ্য দখল করে। লর্ড ডালহৌসি যে লাহোরের শেষ চুক্তি তৈরি করেন তাতেই কোহিনুর-সহ মহারাজার যাবতীয় সম্পদ ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়াকে সমর্পণের কথা বলা হয়েছিল।

১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে দলীপ সিং তা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দেন। ১০৮.৯৩ ক্যারেট ওজনের কোহিনুর প্রথমে রানি ভিক্টোরিয়া ব্যবহার করতেন তাঁর হাতে। পরে এটি শোভিত হয় ব্রিটিশ মুকুটে। নাবালক রাজা দলীপ সিংকে চাপ দিয়ে কোহিনুর নিয়েছিল ব্রিটিশরা।