Surya Grahan 2024: গ্রহণে চার মিনিট ঘুটঘুটে অন্ধকার! জগতের সব থেকে অশুভ ঘটনা সূর্যগ্রহণ, টালমাটাল অবস্থা, পশুপাখির আচরণে ভয়ঙ্কর সঙ্কেত

নয়াদিল্লি: আজ, ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যাবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ৷ সূর্যগ্রহণকে ঘিরে অনেক রকম বিশ্বাস রয়েছে৷ একই রকমভাবে,পশুপ্রাণীদের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন আমেরিকান বিজ্ঞানীরা৷ তবে এই ধরনের গবেষণা আগেও করা হয়েছে এবং দেখা গেছে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময় পশু-পাখিরা ভয় পায়। তারা বুঝতে পারছে না কি হবে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাগুলির মধ্যে সূর্যগ্রহণ প্রাণীদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। অনেক প্রাণী বুঝতে পারে না কী ঘটেছে এবং অন্ধকার হলেই তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। যে পাখিরা রাতে জেগে থাকে তাদের মনে হয় যেন তারা খুব বেশি ঘুমাচ্ছে।

আরও পড়ুনSurya Grahan Rashifal: ৫৪ বছর পর আজ দীর্ঘ সূর্যগ্রহণের বিরল যোগ, ৫ রাশির অশুভ হলেও ৪ রাশির বাম্পার সুযোগ!

বিভিন্ন পশু এই ধরনের পরিস্থিতি দেখে ভিন্ন আচরণ করে। যার মধ্যে নার্ভাসনেস এবং অস্থিরতা কাজ করে। এটি স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে গ্রহণের সময়ে তারা কিছুটা হতবাক হয়ে যায়। কারণ গ্রহন তাদের দৈনন্দিন রুটিনকে বিভ্রান্ত করে।

একই ধরনের আচরণ মাছ ও পাখিদের মধ্যেও দেখা যায়৷ যখন তারা সারাদিন কর্মক্ষম থাকার পর বাড়ি ফিরতে চলেছে, তখন গ্রহনের কারণে তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে৷ তারা মনে করে যে এখনও তাদের ঘরে ফেরার সময় হয়নি৷

মাকড়সা জাল ভাঙতে শুরু করে- সায়েন্স অ্যালার্টে স্টিভ পর্তুগালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে গ্রহণের সময় মাকড়সার প্রজাতি নিজের জাল ভাঙতে শুরু করে। একবার গ্রহণ শেষ হলে তারা আবার জাল তৈরি করতে শুরু করে।

জলহস্তি গ্রহণের সময় নদী থেকে উঠে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে৷ তারপরে বংশবৃদ্ধির জন্য শুকনো জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

২০১০-এ গ্রহণের সময় পেঁচা-বানর প্রজাতির উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল৷ এই বানর সম্পূর্ণ নিশাচর প্রজাতি, অর্থাৎ এটি রাতে জেগে থাকে। এগুলো শুধুমাত্র আর্জেন্টিনায় পাওয়া যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তারা খাবার খোঁজা বন্ধ করে দেয়। তারা গাছে এগোতে ভয় পেতে শুরু করে।

আরও পড়ুনSurya Grahan 2024: আগামিকাল বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ, ৪ রাশি সাবধান! অশুভ সময়ে জীবনে নেমে আসতে পারে আশঙ্কার কালো মেঘ

আবার হাঁসের আচরণ অন্যরকম৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে সুপার মুনের সময় হাঁসের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং তাদের শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যেখানে তাদের অবস্থা দিনের বেলা স্বাভাবিক থাকে।

অন্ধকার হওয়ার সঙ্গেই পেঁচা গর্জন করতে শুরু করে৷ অন্ধকার হলেই জিরাফরা ঘাবড়ে গিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করে। কচ্ছপ সঙ্গম শুরু করে। তাই আপনি যদি সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের কিছুক্ষণ আগে, সময় এবং পরে পশু-পাখির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে দেখবেন তারা ভিন্ন আচরণ করছে।