![নিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণের সময় যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে চাঁদ চলে আসে, সে সময় চাঁদের আড়ালে সূর্যরশ্মি পৌঁছতে পারে না পৃথিবীতে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/New-Project-2024-06-2f9a4bc0597166198e9783102a71e7a8.jpg)
![এই মহাজাগতিক অবস্থানের জন্য সূর্যরশ্মি হয়। সব সময় অমাবস্যাতেই সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124358-PM-2024-06-53676725fe04ae43770cb8f48701f2c7.jpeg)
![এ বছর প্রথম সূর্যগ্রহণ ছিল ৮ এপ্রিল। এ বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ২ অক্টোবর।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124412-PM-2024-06-dfb3a6b38da9b5e6c541b199a1b11303.jpeg)
![ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২ অক্টোবর রাত ৯.১৩ থেকে শুরু হবে সূর্যগ্রহণ। চলবে রাত ৩.১৭ পর্যন্ত। তবে দীর্ঘ এই গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান নয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124422-PM-2024-06-54e2d1efffd1f08a021fce1d6c3fb412.jpeg)
![আর্কটিক অংশ, আর্জেন্তিনা, ফিজি, চিলি, পেরু, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124437-PM-2024-06-f614bc2b8955ee07c2725960bab53128.jpeg)
![খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি, জ্যোতিষ মতে গ্রহণের সূতককালে কিছু কাজ তথা আচরণ সম্পূর্ণ বর্জনীয়।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124452-PM-2024-06-cb6b6a226baf4d830d74c20add0ccbf1.jpeg)
![সাধারণত গ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হয় সূতককাল। জ্যোতিষ তথা বাস্তু বিশেষজ্ঞ গৌরবকুমার দীক্ষিতের মতে রান্না করা, খাবার খাওয়া, ধারাল অস্ত্র ধরা, কোনও শুভ কাজ করা এই সময়ে নিষিদ্ধ।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124505-PM-2024-06-1b9f7422dc654abe4620f9d7c46fc6bc.jpeg)
![পুজো, নামগান, ভজন, স্তোত্রপাঠ সূতককালে করা যায় বলে মত জ্যোতিষীর।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124532-PM-2024-06-2597a421f236a4e8dc27c443d7c9f81a.jpeg)
![তবে গ্রহণ কোনও দেশ থেকে দৃশ্যমান না হলে সূতককালে পালনীয় নিয়ম, আচার অনুষ্ঠান পালন না করলেও ক্ষতি নেই বলে মত জ্যোতিষীর।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-20240603-at-124546-PM-2024-06-c7732ad0ea55c968188c7d83bf44a7bd.jpeg)
হুগলি: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা। সেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ভারত থেকে দেখা না গেলেও পৃথিবীর অপর প্রান্ত আমেরিকা, কানাডা, মেক্সিকোর মানুষ চাক্ষুষ করলেন। সেই গ্রহণের প্রভাব কতটা হ্যাম রেডিওর ফ্রিকোয়েন্সির উপর পড়ছে তা নিয়ে হল গবেষণা। গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা করতে বসেছিলেন চুঁচুড়ার সৌরভ গোস্বামী।
ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, কিংবা অন্য কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ওর উদ্ধার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে হ্যাম রেডিও। যে সময় সমস্ত স্যাটেলাইটের টেলি টকিং সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায় তখন যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এই হ্যাম রেডিও। বিভিন্ন দেশে বিপর্যয়ের সময়ে এম রেডিও তার ব্যবহারের জন্য নজির গড়েছে। হ্যাম রেডিও কাজ করে গোটা বিশ্বজুড়ে।
আরও পড়ুন: তারাদের খোঁজে পাঠশালা, পথ শিশুদের নিয়ে কী হচ্ছে জানেন?
দিনের শুরু আর রাতের শুরুর সময়কে গ্রে জোন বলা হয়। সেই সময়ে সবচেয়ে ভাল যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু দিনেই যদি রাত হয়ে যায় সেখানে কী যোগাযোগ সম্ভব? পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের পর তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের একাংশ জুড়ে। সেই পরীক্ষাই করে দেখেন হ্যাম রেডিওর অপারেটর সৌরভ গোস্বামী। চুঁচুড়া কনকশালীতে তাঁর বাড়িতে রয়েছে রেডিও স্টেশন। সেখানেই রাত জেগে চলেছে এই পরীক্ষা।
সৌরভ জানান, আমেরিকায় যখন সূর্য ওঠে ভারতে তখন সূর্য অস্ত যায়। সেই সময়কে বলা হয় গ্রে টাইম।পৃথিবীর বায়ূমণ্ডলের যে স্তর রয়েছে তার আয়োনোস্ফিয়ারের ডিওএফ স্তরের পরিবর্তন হয় এই সময়। ফলে রেডিও তরঙ্গ বিনা বাধায় পৌঁছে যায়।কিন্তু রাত থেকে রাতে যোগাযোগ করতে গেলে সমস্যা হয়। পূর্ণগ্রাস সূর্য গ্রহণে আমেরিকাতে দিনেই রাত নেমে আসে। ভারতীয় সময় রাত ৯.১২ মিনিট থেকে শুরু হয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এই অন্ধকার বিরাজ করে।সেই সময়ে রেডিও যোগাযোগ সহজ হবে কিনা তার চেষ্টাই করে চলে। এই গবেষণার ফলাফল আগামী দিনে যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
রাহী হালদার
নয়াদিল্লি: আজ, ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে দেখা যাবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ৷ সূর্যগ্রহণকে ঘিরে অনেক রকম বিশ্বাস রয়েছে৷ একই রকমভাবে,পশুপ্রাণীদের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন আমেরিকান বিজ্ঞানীরা৷ তবে এই ধরনের গবেষণা আগেও করা হয়েছে এবং দেখা গেছে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের সময় পশু-পাখিরা ভয় পায়। তারা বুঝতে পারছে না কি হবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনাগুলির মধ্যে সূর্যগ্রহণ প্রাণীদের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। অনেক প্রাণী বুঝতে পারে না কী ঘটেছে এবং অন্ধকার হলেই তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। যে পাখিরা রাতে জেগে থাকে তাদের মনে হয় যেন তারা খুব বেশি ঘুমাচ্ছে।
বিভিন্ন পশু এই ধরনের পরিস্থিতি দেখে ভিন্ন আচরণ করে। যার মধ্যে নার্ভাসনেস এবং অস্থিরতা কাজ করে। এটি স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে গ্রহণের সময়ে তারা কিছুটা হতবাক হয়ে যায়। কারণ গ্রহন তাদের দৈনন্দিন রুটিনকে বিভ্রান্ত করে।
একই ধরনের আচরণ মাছ ও পাখিদের মধ্যেও দেখা যায়৷ যখন তারা সারাদিন কর্মক্ষম থাকার পর বাড়ি ফিরতে চলেছে, তখন গ্রহনের কারণে তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে৷ তারা মনে করে যে এখনও তাদের ঘরে ফেরার সময় হয়নি৷
মাকড়সা জাল ভাঙতে শুরু করে- সায়েন্স অ্যালার্টে স্টিভ পর্তুগালের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে গ্রহণের সময় মাকড়সার প্রজাতি নিজের জাল ভাঙতে শুরু করে। একবার গ্রহণ শেষ হলে তারা আবার জাল তৈরি করতে শুরু করে।
জলহস্তি গ্রহণের সময় নদী থেকে উঠে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করে৷ তারপরে বংশবৃদ্ধির জন্য শুকনো জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
২০১০-এ গ্রহণের সময় পেঁচা-বানর প্রজাতির উপর একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল৷ এই বানর সম্পূর্ণ নিশাচর প্রজাতি, অর্থাৎ এটি রাতে জেগে থাকে। এগুলো শুধুমাত্র আর্জেন্টিনায় পাওয়া যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তারা খাবার খোঁজা বন্ধ করে দেয়। তারা গাছে এগোতে ভয় পেতে শুরু করে।
আবার হাঁসের আচরণ অন্যরকম৷ বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে সুপার মুনের সময় হাঁসের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং তাদের শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়, যেখানে তাদের অবস্থা দিনের বেলা স্বাভাবিক থাকে।
অন্ধকার হওয়ার সঙ্গেই পেঁচা গর্জন করতে শুরু করে৷ অন্ধকার হলেই জিরাফরা ঘাবড়ে গিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করে। কচ্ছপ সঙ্গম শুরু করে। তাই আপনি যদি সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের কিছুক্ষণ আগে, সময় এবং পরে পশু-পাখির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে দেখবেন তারা ভিন্ন আচরণ করছে।