ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: রবিবার ঘোষণা। সোমবার আত্মপ্রকাশ। পূর্ব ঘোষণা মত নিজের অফিসিয়াল পোর্টাল চালু করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় পোর্টাল চালুর কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোর্টালের লিঙ্ক সোমবার রাতে জনসমক্ষে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন– রাশিফল ১৬ জুলাই; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
https://savedemocracywb.com এই লিঙ্কের মাধ্যমে বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রাজ্যবাসীকে শামিল হওয়ার আবেদন জানিয়ে শুভেন্দুর আত্মপ্রকাশ করা লিঙ্কে ক্লিক করলেই সেই পেজে এই লেখাও ভেসে আসছে যে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন, সকল গণতন্ত্রপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গের গণদেবতার কাছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এবং ৪টি বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিক যে বা যারা শাসক দল তৃণমূলের অত্যাচারে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি তারা নিজেদের তথ্য-সহ অভিজ্ঞতা এই পোর্টালে নথিভুক্ত করুন। অভিযোগকারীদের পরিচয়-সহ সমস্ত তথ্য ১০০ শতাংশ গোপন রাখা হবে।’’
As promised yesterday, I have launched a portal where genuine voters can register their names, who were not allowed to vote in the 2024 Lok Sabha Elections and the recently concluded Assembly Bypolls.
Whoever was not allowed to vote, can register themselves, and full secrecy will…— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) July 15, 2024
বলা বাহুল্য, শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই নন, রাজ্য বিজেপি নেতাদের প্রত্যেকের বক্তব্যেই বারবারই উঠে আসে ‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই’, এই দাবি। যে কোনও নির্বাচনের পরেই ভোট লুট, ভোটদানে বাধা, রিগিং, সন্ত্রাস সহ বিভিন্ন অভিযোগকে সামনে রেখে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র নিশানা করে সুর চড়ান পদ্ম নেতারা। লোকসভা ভোট পর্ব মিটটেই ভোট পরবর্তী অশান্তির ভুরি ভুরি অভিযোগেও সরব হচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বঙ্গ পদ্ম শিবিরের অন্যান্যরা। আর এই আবহেই এবার ভোটে যাঁরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি সেই সমস্ত মানুষজনের জন্য বিশেষ পোর্টাল চালু করার নয়া উদ্যোগ নিলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের দাবি, ‘‘পোর্টালের আত্মপ্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক সাড়া মিলছে। বিভিন্ন অভাব অভিযোগ নিয়ে অনেকেই নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে শুরু করেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।’’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের কথায়, ‘‘বর্তমান ব্যস্ত সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা ক্রমেই বাড়ছে। খুব দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো যায় সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে। আর তাই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক দল ও সরকার বিরোধী শিবিরের কাছে পৌঁছতেই এখন থেকে মূলত জনসংযোগের লক্ষ্যেই বিরোধী দলনেতার এই পোর্টাল ভাবনা।’’