ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: ‘‘বাংলায় গণতন্ত্র মানুষের জন্য নয়, দলের জন্য।’’ তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে ঠিক এই ভাষাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী পুর পরিষেবা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন অথচ সেই বৈঠকে বাদ তাহেরপুর ও ঝালদা পুর কর্তৃপক্ষ। কেন এই দুটি এলাকার নির্দিষ্ট মানুষকে বঞ্চিত করা হল? এই প্রশ্নও তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নবান্নে আগামিকাল, সোমবার একটি বৈঠক সম্পর্কিত চলতি মাসের কুড়ি তারিখের একটি সরকারি চিঠি তুলে ধরে সরব শুভেন্দু অধিকারী। এর আগেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করে বারবারই বলে থাকেন যে, রাজ্যের কোনও প্রশাসনিক বৈঠকেই বিরোধী সাংসদ এবং বিধায়কদের ডাকা হয় না। এবার আরও একবার শাসককে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।
In West Bengal Democracy doesn’t mean Government of the people, by the people and for the people.
It’s of the party, by the party and for the party.Evidence:-
CM will chair the Review Meeting of Municipal Corporations, Municipalities and Development Authorities EXCEPT Taherpur… pic.twitter.com/htDuc5s2gW— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) June 22, 2024
বলা বাহুল্য, ঝালদা এবং তাহেরপুর বাদ দিয়ে আগামী সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভার মেয়র এবং চেয়ারপার্সনদের নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে হাজির থাকতে হবে বলে একটি সরকারি নথি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরে শুভেন্দুর প্রশ্ন,’ পুর উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত আধিকারিকদেরও পুর পরিষেবা কোথায় খামটি রয়েছে সে ব্যাপারে আলোচনা করতে এই বৈঠক ডাকা হলেও কেন তাহেরপুর এবং ঝালদা বাদ? মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আগামী সোমবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভা, পুরনিগম এবং বিভিন্ন উন্নয়ন পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে বৈঠকে ডাকা হলেও তাহেরপুর এবং ঝালদাকে বাদ রাখা একপ্রকার অগণতান্ত্রিক বলেও তোপ দাগেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন– হাত ধরাধরি করে থানায় এসে দুই মেয়ে বলল, ‘স্যার, আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, তারপর যা হল…
এলাকার উন্নয়নমূলক আলোচনায় এভাবে কি সরকারি বৈঠকে নির্দিষ্ট করে দুই পুরসভাকে বাদ রাখা যায়? এই প্রশ্ন তুলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত সোজা কথায় জনগণের ইচ্ছাকে ক্ষুণ্ন করা হল।’’ যদিও এ ব্যাপারে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু বলেন, ‘‘যে সমস্ত পুরসভা গুলিতে সমস্যা রয়েছে শুধুমাত্র সেই সমস্ত পুর কর্তৃপক্ষকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। যে সমস্ত পর কর্তৃপক্ষকে দরকার হয়নি আগামী সোমবারের বৈঠকে তাদের ডাকা হয়নি।’’ এদিকে শাসক দল তথা সরকারকে নিশানা করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটি শিবিরের দাবি, ‘‘লোকসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই দেখা যায় শহরাঞ্চলের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে। সেই কারণেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই শুধুমাত্র তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্তাদের বৈঠকে তলব করা হয়েছে।’’ যদিও এ ব্যাপারে শাসকদল বলছে, ‘‘এই বৈঠকের সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। বিরোধীরা মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।’’