ম্যাথিয়াসকে নিয়ে এটাই শুনতে হয়েছিল তাপসীকে

Taapsee Pannu: দুবাইয়ে শেখদের কাছে বেচে দেবে না তো? স্বামীকে নিয়ে ভয় পেয়েছিলেন তাপসী! তারপর…

দীর্ঘ সময়ের প্রেমিক ম্যাথিয়াস বো-এর সঙ্গে বিয়ে করেছেন তাপসী পান্নু। আপাতত সুখে শান্তিতেই ঘর করছেন তিনি। অথচ যখন ম্যাথিয়াসের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল, তখন অভিনেত্রীর বন্ধুরা তাঁকে সাবধান করেছিলেন। কিন্তু কেন?

আসলে ভারতে ছিলেন তাপসী আর ম্যাথিয়াস ছিলেন ডেনমার্কে। প্রথম ডেটের জন্য তাঁরা দেখা করেছিলেন দুবাইয়ে। ফলে অভিনেত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর বন্ধুবান্ধব। এমনকী তাপসীর কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, ম্যাথিয়াস তাঁকে শেখদের কাছে বিক্রি করে দেবেন না তো!

আরও পড়ুন-   মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

রৌনক রজনীর শো ‘রিলেশনশিট অ্যাডভাইস’-এ উপস্থিত হয়ে তাপসী বলেন যে, “প্রায় ১০-১১ বছর আগে আমাদের দেখা হয়েছিল। আর প্রথম সাক্ষাতের এক বছর পরেই ম্যাথিয়াস প্রোপোজ করেছিলেন আমায়। সবটা খুব দ্রুত হয়ে গিয়েছিল। আর হ্যাঁ নয় বছরের বাগদান পর্ব আমাদের। কিন্তু আমরা কেউই মত পরিবর্তন করিনি। আর আমি এখনও বিশ্বাস করি যে, আমরা প্রায় সারা জীবনটাই একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারব।”

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

আর প্রেমের জন্য সবথেকে দুঃসাহসিক কোন কাজটা করেছিলেন অভিনেত্রী। এমন প্রশ্নের জবাবে তাপসী বলেন যে, “আর সেটা হল … প্রথম ডেটে আমি অন্য মহাদেশে অথবা অন্য দেশে গিয়েছি। আর প্রথম ডেটে যখন আমরা কেউই কাউকে সেভাবে চিনতাম না। ফলে সেটাই অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। যা আমি আগে কারও জন্য করিনি। ও আমায় প্রোপোজ করে বলেছিল যে, হয় ডেনমার্কে নাহলে দুবাইয়ে আমায় ডেটে নিয়ে যাবে। কারণ এই দু’টো জায়গার সঙ্গে ও ভাল ভাবে পরিচিত। তাই আমি বলি যে, ডেনমার্কে কে যাবে? শেঙ্গেন ভিসা, হে ঈশ্বর!” অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল, কেন এই মানুষটা আমার প্রতি এত আগ্রহী! আসলে এটা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস। বিশ্বের এই প্রান্তের মানুষ সব সময় ভাবেন যে, শ্বেতাঙ্গ কেউ আমাদের প্রতি কেন আকৃষ্ট হবেন। এটা আসলে একধরনের হীনমন্যতা। যা সব সময় আমাদের মধ্যে থাকে।”

তাপসীর কথায়, “তাই আমি যখন দুবাইয়ে দেখা করার কথা বলি, তখন আমার বন্ধুরা বলেছিল, নিজের খেয়াল রেখো। ও যেন তোমায় বিক্রি করে না দেয়। এদিকে আমার প্রিয় বন্ধুর বোন দুবাইয়ে থাকে। তাই সে আমায় ওর বোনের নম্বর দিয়ে রেখেছিল। এবার আমি জানি না যে, যদি ম্যাথিয়াস আমায় কোনও শেখের কাছে বিক্রি করে দিত, তাহলে আমার বন্ধুর বোন কি সেই চুক্তি বন্ধ করতে পারত। তবে সামনে দেখেই বুঝেছিলাম ম্যাথিয়াস খুবই ভাল মানুষ। যার কারণে ১০-১১টা বছর কাটিয়ে দিতে পেরেছি। আর আমি নিশ্চিত যে, আমি ওর সঙ্গেই এখনও থাকতে চাই।”