শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই জিমে যান। কারও আবার ভরসা যোগব্যায়ামে। সোজা কথায়, ফিটনেসের গুরুত্ব বাড়ছে। জিম বা যোগা নিয়ে যাঁরা বেশি মাথা ঘামান, ফিটনেস নিয়ে যাঁদের খুঁতখুঁতানি বেশি, তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে একটা নতুন শব্দ, ‘ফিটনেস ফ্রিক’।
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কি রোজ রোজ জিমে যাওয়া সম্ভব? বাইরে বেরলেই ঝলসে দিচ্ছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়ার রক্তচক্ষু দেখে মনে হচ্ছে, আগে তো গরম থেকে বাঁচি, তারপর ফিটনেস নিয়ে ভাবা যাবে। কেউ কেউ অবশ্য একটা সহজ উপায় বের করেছেন। গরম থেকে বাঁচতে জিম বা যোগা ক্লাসে চালিয়ে দিচ্ছেন এসি।
এখন প্রশ্ন হল, এসি ঘরে জিম বা যোগব্যায়াম করা কি উচিত? এর উত্তর দিয়েছেন যোগ ও পুষ্টি শিক্ষাবিদ শিখা মেহরা। গরমের মরশুমে নিরাপদ এবং আরামে যোগব্যায়াম অনুশীলনের উপায় বাতলে দিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই বিষয়ে শিখা লিখেছেন, “খুব ঠান্ডা বা খুব গরম ঘরে যোগব্যায়াম অনুশীলন করা উচিত নয়। চরম তাপমাত্রায় মনোযোগ বসানো কঠিন। তাছাড়া শরীরের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে”। এরপর তিনি যোগ করেন, “তাই গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যোগব্যায়াম অনুশীলন করা গরমে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে অনেক ভাল”।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্কে চাকরির টোপ, ইনস্টাগ্রামে আলাপ হওয়া ‘বন্ধু’র হাতে গণধর্ষিতা তরুণী
শিখার কথায়, প্রচণ্ড গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে যোগব্যায়াম অনুশীলন করা যায়। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। বরং আরামে অনুশীলন করা যাবে। ঘরে ঠান্ডা থাকায় ঘাম কম হবে। ফলে মনোযোগ থাকবে। নিখুঁতভাবে প্রতিটা আসন অনুশীলন করা সম্ভব হবে।
View this post on Instagram
এছাড়া অন্য একটি পোস্টে দিনের মধ্যে যোগব্যায়াম করার সেরা সময় কোনটা, তাও জানিয়েছেন শিখা। তিনি জানিয়েছেন, যখন প্রকৃতি শীতল এবং শান্ত থাকে, সেইসময় যোগাভ্যাস করা উচিত। এর জন্য দুটো সেরা সময় হল, ভোর (সূর্যোদয়ের আগে বা কাছাকাছি সময়) এবং সন্ধ্যা (সূর্যাস্তের সময়)।
View this post on Instagram
শিখা ব্যাখ্যা করে বলেন, “এই দুটো সময়কে যোগব্যায়াম অনুশীলনের জন্য সর্বোত্তম হিসেবে ধরা হয়। কারণ পরিবেশ শান্ত থাকে। প্রকৃতির ছন্দের সঙ্গে শরীর খুব সহজে একাত্ম হয়ে যেতে পারে”।