কলকাতা : বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বার বারই আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি ছিল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুইসাইড করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কিন্তু হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট উত্তর তাঁরা পাননি।
এবার এই ঘটনায় কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে আর তা নিয়েই ছড়াল চাঞ্চল্য। CNN-News18 -এই অডিও ক্লিপ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে এটি স্পষ্ট প্রকাশ করছে কীভাবে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা মৌখিক কথোপকথনে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা-কে একের পর এক বিভ্রান্তিকর ‘স্টেটমেন্ট’ দিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে ওই চিকিৎসকের দেহ পাওয়া যায়। যদিও পরবর্তীকালে জানা যায় ভয়ঙ্কর যৌন হেনস্থার পর নির্মমভাবে খুন করা হয় ওই চিকিৎসককে। নির্যাতিতার মা-বাবা বারবারই বলেন, শেষবার অর্থাৎ (৮ অগস্ট) রাত্রি ১১টার সময়ও যখন কথা হয়েছিল তখন স্বাভাবিকই ছিলেন তাঁদের মেয়ে। এরপর সকালে তাঁদের কাছে হাসপাতাল থেকে আসে একের পর এক অসংলগ্ন ফোন কল। কী বলা হয়েছিল সেই টেলিফোনিক বার্তায়? কেন তা সন্দেহজনক মনে হয় পরিবারের? প্রকাশ্যে আসা অডিও ক্লিপ তাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
প্রথম ক্লিপে, কথোপকথনে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা এবং আরজি কর হাসপাতালের সহকারী সুপারের মধ্যে কথোপকথন শোনা যায়, সেখানে বক্তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তাঁদের মেয়ে “অত্যন্ত অসুস্থ এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে”, অন্যদিকে দ্বিতীয় ক্লিপে একজন পুরুষ কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যায় ওই চিকিৎসক তরুণী আত্মহত্যা করে সম্ভবত মারা গিয়েছেন এবং তাদের দ্রুত হাসপাতালে আসার কথা বলা হয়।
আর এতেই উঠছে প্রশ্ন? তবে কি পুরোটাই ছিল ষড়যন্ত্র? আত্মহত্মার নাট্যরূপ সাজাতে কী পরিকল্পনা করেই ফোন গিয়েছিল ধর্ষিতা চিকিৎসকের বাবার কাছে? এই নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন চিকিৎসক ও আন্দোলনকারীদের একাংশ।