*প্রচলিত প্রবাদ বলে- দেহপট সনে নট সকলই হারায়! সুঠাম শরীর আর সৌন্দর্য ধরে রাখতে না পারলে যে রুপোলি পর্দার দুনিয়াকে বিদায় জানাতে হয়, তার নির্মম প্রমাণ বলিউড অনেকবার প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। হালে যদিও ছক ভাঙছে একটু একটু করে। সংগৃহীত ছবি।*তবে, আয়েষা টাকিয়ার ব্যাপারটা তো আলাদা। স্বেচ্ছায় তিনি বিয়ের পরে নির্বাসন নিয়েছেন লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের দুনিয়া থেকে। তাহলে এখনও তাঁর সৌন্দর্যকে অমলিন রাখতে চেহারায় ছুরি-কাঁচি চালানোর কী দরকার? সংগৃহীত ছবি।*প্রশ্নটা উঠছে নায়িকার এক সাম্প্রতিক ভিডিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে। বলিউডের ব্যস্ততম কেরিয়ারে নিজেদের সামিল রাখতে অনেক নায়িকাই যে প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়ে থাকেন, সে কোনও নতুন কথা নয়। কিন্তু আয়েষা এখন আর সেই দলে নেই। তার পরেও তাঁর চেহারার বদল দেখে চমকে গিয়েছেন সবাই। বলছেন যে নায়িকা প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। সংগৃহীত ছবি।*আয়েষাকে সম্প্রতি ছেলে মিখাইল আর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে মুম্বই এয়ারপোর্টে। সেখানেই পাপারাৎজ্জিদের ক্যামেরার মুখে পড়েন তিনি। সংগৃহীত ছবি।*নীল স্যুটে আজও আয়েষাকে দেখলে বুকের মধ্যে রক্ত চলকে ওঠে। কিন্তু তাঁর দিকে তাকালে চমকে উঠতে হয়। সেই নিটোল মুখ এখন আর নেই। তা যেন কিছুটা লম্বাটে হয়েছে, বদল এসেছে ঠোঁটের গড়নেও। সেই জন্যই দাবি উঠেছে যে আয়েষা প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন। সংগৃহীত ছবি।*ইউজারদের অনেকেও আয়েষার চেহারার এই বদল দেখে স্তম্ভিত। সবারই এক প্রশ্ন- প্লাস্টিক সার্জারির কি সত্যি খুব প্রয়োজন ছিল? একজন আবার লিখেই দিয়েছেন সরাসরি- এই চেহারার আয়েষাকে কেউ ছবির পর্দায় দেখতে চাইবেন না। সংগৃহীত ছবি।*প্রসঙ্গত, ফারহান আজমিকে বিয়ে করেছেন আয়েষা টাকিয়া। তিনি এক রেস্তোরাঁর মালিক। ২০২০ কোভিড-কালে, আয়েষা এবং ফারহান তাঁদের হোটেলটিকে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করেছিলেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে তিনি তাঁর হোটেল বিএমসি এবং মুম্বই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। আয়েষা ও ফারহানের এই উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকেও প্রশংসিত হয়েছিল। সংগৃহীত ছবি।
এক সময়ের দুর্দান্ত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। নিজের নিষ্পাপ সৌন্দর্যের জাদু ছড়িয়ে দিয়েছিলেন ভক্তদের মনে। অভিনয় করেছেন ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘পাঠশালা’, ‘মোড়’, ‘ইয়ে দিল মাঙ্গে মোর’, ‘ক্যাশ’, ‘শাদি সে পেহলে’, ‘শাদি নম্বর ওয়ান’ এবং ‘সানডে’-র মতো একাধিক ছবিতে।কেরিয়ার জীবনে হাতে প্রচুর কাজ থাকা সত্ত্বেও রুপোলি দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন এবং এক বিধায়কের ব্যবসায়ী-পুত্রকে বিয়ে করেন। কথা হচ্ছে, অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়ার।সম্প্রতি জনসমক্ষে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়ার পরে ভক্তরা যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। তবে সাম্প্রতিক কালে ভক্তদের মন ভেঙে দিয়ে আয়েষা জানিয়েছেন যে, তিনি আর কখনওই রুপোলি দুনিয়ায় ফিরবেন না। কারণ নিজের জীবন নিয়ে তিনি খুবই সুখী। ৩৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী হয়তো আজ নিজের কেরিয়ারে সক্রিয় নন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এখনও যথেষ্ট সক্রিয়। আর ব্যক্তিগত জীবনের কারণে বরাবরই খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। এমনিতে বলা হয় যে, নিজের ফ্লপ কেরিয়ারের কারণে জীবনের সবথেকে বড় সিদ্ধান্তটি নিতে হয়েছিল আয়েষাকে। বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি। এখন সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র নেতা এবং বিধায়ক আবু আসিম আজমির পুত্রবধূ তিনি। ২০০৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন আয়েষা। বিয়ের পরে ছবিতে কাজ করা বন্ধ করে দেন। আয়েষার স্বামী ফারহান একজন ব্যবসায়ী। হোটেল এবং রেস্তোরাঁর বিশাল ব্যবসা তাঁর। এর পাশাপাশি রাজনীতিতেও ফারহানের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। ওই দম্পতির এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। আবার আয়েষার শ্বশুরমশাই আবু আসিম আজমিও কিন্তু স্বনামধন্য মানুষ। মহারাষ্ট্রের ধনী বিধায়কদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি মনখুর্দ শিবাজিনগর বিধানসভা আসনে আসীন রয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, আবু আসিম আজমির মোট সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৪২ কোটি টাকা। অন্য দিকে তাঁর পুত্রের সম্পত্তির মূল্য ৭২ কোটি টাকারও বেশি।
একসময় বলিউডে চুটিয়ে কাজ করেছে, লাস্যময়ী নায়িকার জন্য বহু পুরুষ হৃদয় দুর্বল ছিল৷ সলমনের সঙ্গে তাঁর ছবি ওয়ানটেড খুবই হিট৷ বহুদিন পর আবার জনসমক্ষে এলেন আয়েশা টাকিয়া৷ মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে দেখা গেল৷ প্রমথে মাস্ক পরেছিলেন তিনি৷ পরে ফোটোগ্রাফারদের অনুরোধে তা সরিয়ে দেন৷ কিন্তু, যাঁকে দেখতে চাইছিলেন ভক্তরা, সেই আয়েশা টাকিয়ার সঙ্গে বাস্তবের আয়েশার অনেক ফারাক! গত কয়েক বছরে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছেন নায়িকা৷ বিশেষ করে ফেস ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে যেন নিজের সৌন্দর্য্যের বারোটা বাজিয়েছেন সুন্দরী আয়েশা৷আয়েশার সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলে মিখাইল৷ মায়ের হাত ধরে বিমানবন্দরে পৌঁছয় সে৷ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে কাগজপত্র দেখিয়ে তারা ভেতরে চলে যান। খুবই সাধারণ সাজে ছিলেন আয়েশা৷ তবে তাঁর চেহারা দেখে ইতিমধ্যেই বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে৷অনেকে বলছেন যে তিনি প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন এবং তাঁর ফলে তাঁর চেহারা এখন একেবারেই আগের মতো নেই৷ যৌবনের সৌন্দর্য্য হারিয়েছেন আয়েশা৷ অনেকে তাঁকে দেখে চিনতেই পারেননি!শোনা যায় যে অন্যান্য নায়িকাদের মতোই তিনি ঠোঁটের একধরনের ট্রিটমেন্ট করিয়েছিলেন৷মূলত সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করতেই এগুলো করা হয়৷ তবে আয়েশার ক্ষেত্রে তা হীতে বিপরীত হয়৷ মুখের আদলই পাল্টে যায় নায়িকার৷ যদিও তিনি এখন একেবারে স্ক্রিনের সামনে আসেন না৷মাত্র ৩২ বছর বয়সে, কেরিয়ারের মধ্য গগনে থাকাকালীন রেস্তোরাঁ মালিক ফারহান আজমিকে বিয়ে করেন আয়েশা টাকিয়া।লকডাউনের সময়, ২০২০ সালে, আয়েশা এবং ফারহান তাঁদের হোটেলটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করেছিলেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে তিনি তার হোটেল বিএমসি এবং মুম্বই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। আয়েশা ও ফারহানের এই উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকেও প্রশংসিত হয়েছে।মডেল হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন আয়েশা৷ তারপর বলিউডে পা রেখেই হয়েছিলেন বেশ হিট৷ ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’ দিয়ে বলিউডের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৪-এ শ্রেষ্ঠ নবাগতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ‘দিল মাঙ্গে মোর!!!’, ‘ডোর’, ‘নো স্মোকিং’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘সালাম-ই-ইশক’ এবং ‘পাঠশালা’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন। ২০১১ সালে তাকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল। এরপর সিনেমা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছেন আয়েশা।
