Tag Archives: Bengal

Sourav Ganguly: খুব দুশ্চিন্তায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়! জীবন বাঁচাতে অন্য মাঠে নামতে চলেছেন ‘মহারাজ’

কলকাতা: হঠাৎ কী হল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। কেন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি? পারিবারিক সমস্যা না অন্য কিছু? এমনই একাধিক প্রশ্ন ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়া ও সৌরভ ফ্য়ানেদের মনে। সৌজন্যে একটি ভিডিও। যেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তাও শুধু নিজের জন্য নয়, সকলকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মহারাজ।

আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যেখানে সকলের স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে। এনবকী সকলকে বাঁচাতে নতুন কিছু শুরু করার কথাও জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যেই ভিডিও মুহূর্তে ঝড় তুলেছে নেট দুনিয়ায়।

ভিডিওতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন,”কয়েকদিন আগে খবরের কাগজে আমি এমন কিছু পড়লাম, যেটা পড়ে আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমাদের, আপনার, সবার স্বাস্থ্য নিয়ে। আপনারা তো আমাদের বহুদিন দেখেছেন খেলার মাঠে। তবে এবার আমি নামছি স্বাস্থ্যের মাঠে। আমাদের এই প্রবলেম থেকে বাঁচতে হবে কীভাবে সেটাই বলতে আসছি আমি। তাহলে দেখতে থাকুন।”

কেন সকলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তার কথা বললেন তা প্রথমে বোঝা না গেলেও, পরে কিছুটা পরিষ্কার হয়। আসলে এই ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য। বিখ্যাত একটি চবনপ্রাশ কোম্পানির বিজ্ঞাপন করছেন সৌরভ। যেই কোম্পানির হয়ে এর আগে বিজ্ঞাপন করেছেন বলিউডের একাধিক তারকা। এবার সেই বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে সৌরভকে। আর একটি ভিডিও শেয়ার করেন সৌরভ। সেখানেই জানা যায় আসল বিষয়টি।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপে খারাপ খেলায় বাদ সূর্যকুমার যাদব! দলে ফিরলেন ‘অবহেলিত’ ২ ক্রিকেটার

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন সৌরভের নাম। এছাড়া আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন সৌরভ।

IPL 2023: অভিষেক পোড়েলের আইপিএল অভিষেক, দিল্লির বিরুদ্ধে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত গুজরাটের

দিল্লি: গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স এবারও ঘরের মাঠে সিএসকে-কে হারিয়ে প্রতিয়োগিতা শুরু করেছে। ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করেছিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। অপরদিকে, অ্যাওয়ে ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্চসের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের ফিরতে মরিয়া ডেভিড ওয়ার্নারের দল। আজ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে গুজরাট ও দিল্লি। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট প্রেমিরা।

এদিন ম্যাচে টস ভাগ্য সাথ দিল গুজরাট টাইটান্সের। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। দিল্লির ছোট মাঠ ও নতুন উইকেট দেখে নেওয়ার জন্য এবং প্রথমে বল করে প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে রাখার লক্ষ্যেই টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাট টাইটান্স দলে দুটি পরিবর্তন হয়েছে। গত ম্যাচে চোট কারনে আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন কেন উইলিয়ামস। সেই জায়গায় ফিরেছেন ডেভিড মিবার। আর সাই সুদর্শন প্রথম একাদশে এসেছেন বিজয় শঙ্করের জায়গায়।

অপরদিকে, টস হারলেও ঘরের মাঠে বড় স্কোর করে প্রতিপক্ষকে পাল্টা চাপ দিতে চাইছেন দিল্লি ক্যাপিটালস কোচ ডেভিড ওয়ার্নার। দিল্লির একাদশে এদিন চমক রয়েছে। আইপিএল অভিষেক হল বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েলের। সরফরাজ খান প্রথম ম্যাচে খুব একটা ভালো কিপিং করেননি। ফলে দলে একজন স্পেশালিস্ট কিপার-ব্যাটার খেলাচ্ছে দিল্লি। এছাড়া রভম্যান পাওয়েলের জায়গায় ফিরেছেন প্রোটিয়া তারকা পেসার আনরিখ নকিয়া। খালিল আহমেদের জায়গায় খেলছেন অমন হাকিম খান।

দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রথম একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), পৃথ্বি শ, মিচেল মার্শ, অভিষেক পোড়েল (উইকেট কিপার), সরফরাজ খান, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, চেতন সাকারিয়া, আমন হাকিম খান, মুকেশ কুমার, আনরিখ নকিয়া।

গুজরাট টাইটান্সের প্রথম একাদশ: ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটকিপার), শুভমান গিল, ডেভিড মিলার, হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), সাই সুদর্শন, রাহুল তেওয়াটিয়া, রাশিদ খান, মহম্মদ শামি, জসুয়া লিটল, যশ দয়াল, আলজারি জোসেফ।

 

লজ্জার চূড়ান্ত নিদর্শন! ফুটবলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলকে ফিরতে হল ট্রেনে

#আমেদাবাদ: কয়েকদিন আগে যখন দুর্গাপূজা চলছিল সারা বাংলায়, তখন তারা ব্যস্ত ছিলেন রাজ্যের হয়ে নিজেদের নিংড়ে দিতে। আমেদাবাদে বাংলার দামাল ছেলেরা জাতীয় গেমসে রাজ্যকে গর্বিত করেছিল। প্রতিশোধ নিয়েছিল কেরলের থেকে। কিন্তু তার প্রতিদান এরকম হবে কে জানত? বলতেও লজ্জা লাগে, লিখতেও তাই। কোথায় গর্বের সঙ্গে সোনার পদক ঝুলিয়ে ফিরবেন। না, মাথা হেঁট করে বলতে হচ্ছে, ট্রেনে করে ফিরছি।

আরও পড়ুন – বিশ্বকাপের সেরা চারটি দল বেছে নিলেন ওয়াসিম আক্রম! অদ্ভুতভাবে বাইরে রাখলেন অন্যতম ফেভারিটদের

ফুটবলারদের হাতে যতটুকু ছিল, সেখানে লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করেছেন তাঁরা। কেরলের মতো দলকে ফাইনালে ৫-০ হারিয়ে সোনা জিতেছেন। সেই কেরল যাদের কাছে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে হেরেছিল বাংলা। জাতীয় গেমসে সার্ভিসেসের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে। আর যেখানে কর্তাদের সামান্য পরীক্ষা দেওয়ার ছিল, সেখানে তাঁরা ডাহা ফেল।

ফুটবলারেরা ট্রেনে করে দু’রাতের উপরে যাত্রা করে ফিরছেন। অথচ, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে আইএফএ থেকে যে সব কর্তারা গিয়েছিলেন গৌরবের মূহূর্তের ভাগীদার হতে, ছবি তোলার জন্য পোজ় দিতে, কৃতিত্বের অংশীদার হতে, তাঁরা প্রত্যেকে ফিরে এসেছেন ফ্লাইট ধরেই।

কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যও ফিরে এসেছেন বিমান ধরে। যে যাঁর নিজেদের আরাম খুঁজে নিয়েছেন, অবহেলিত হয়ে পড়ে থাকলেন ফুটবলারেরা। নিজের রাজ্যের ফুটবলারদের প্রতি কর্তাদের লজ্জাজনক আচরণই বলে দিচ্ছে বঙ্গ ফুটবল আজ কেন এত দীন!আমদাবাদ থেকে ট্রেন যাত্রা মানে আরও বেশি ধকলের। দু’রাতের উপরে ট্রেনে থাকতে হবে।

অমিত চক্রবর্তী, নরহরি, রবি হাঁসদা – এই নামগুলো যখন বাংলাকে গর্বিত করেছে জাতীয় স্তরে, তখন বাংলার ফুটবল কর্তাদের সামান্যতম দায়িত্ববোধ কোথায়? তারা নাকি জানিয়েছেন বিমান ভাড়ার খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকা ভাগ করে দেওয়া হবে ফুটবলারদের মধ্যে। প্রত্যেকেই অত্যন্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা।

ফুটবল যাদের ধ্যান জ্ঞান এবং লড়াইয়ের অস্ত্র, তাদের এই অপমান প্রাপ্য ছিল কী ? হয়তো এরপর দোষ ঢাকার জন্য ভালো হোটেলে ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিন্তু তাদের সামান্যতম স্বার্থের কথা না ভাবাটা যে চরম অন্যায় সেই দায় এড়াতে পারেন না বাংলার ফুটবল কর্তারা।

Santosh Trophy final : প্রতিশোধ অধরা! সন্তোষের ফাইনালে টাইব্রেকারে কেরলের কাছে হার বাংলার

বাংলা -১
কেরল -১

টাইব্রেকারে কেরল জয়ী ৫-৪

মঞ্জেরি: দেখে বোঝার উপায় ছিল না এই কেরল দলটার কাছে গ্রুপের ম্যাচে বাংলা তিন গোল খেয়ে হেরেছিল। রঞ্জন ভট্টাচার্য কোচ হিসেবে কথা দিয়েছিলেন সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরু করবে বাংলা। সেভাবেই শুরু করেছিল বাংলা। কেরলের মাঠ ভর্তি দর্শক থাকা সত্বেও দাপট ছিল বাংলার। মনোতোষ, শুভেন্দু, তনময়, ফারদিন আলি, নবি হোসেনরা বলের দখল নিজেদের পায়ে বেশি রাখছিলেন।

কেরলের মাঝ মাঠ সেভাবে খেলাটা ধরতে পারছিল না বাংলার ফুটবলারদের লড়াকু মনোভাবে। প্রথমার্ধে সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে এগিয়েছিল বাংলা। তবে বক্সের ভেতর ফিনিশিং না করতে পারার কারণে গোল আসছিল না। তবে বাংলা যে ফাইনালে লড়াকু মানসিকতা নিয়ে নেমেছে তাতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। তবে ৫৮ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন কেরলের অধিনায়ক জিজও জোসেফ।

৭০ মিনিটে বাংলা মহিতোষকে তুলে নিয়ে নিয়ে এল সুপ্রিয়কে। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়িয়ে দেয় কেরল। কিন্তু সুযোগ তৈরি করলেও বাংলার গোলরক্ষক প্রিয়নত সিং প্রায় অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। ৯০ মিনিটের শেষ পর্যন্ত কোন দল গোল করতে পারল না। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়। ৯৭ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পেল বাংলা। ডানদিক থেকে অনবদ্য সেন্টার করেন সুপ্রিয়। পেছন থেকে দুরন্ত হেড করে গোল করে যান দিলীপ ওরাও।

কিছু করার ছিল না কেরল গোলরক্ষকের। গ্যালারি ভর্তি কেরলের দর্শকরা তখন চিৎকার করে চলেছেন। কিন্তু তাতেও বাংলার ফুটবলারদের ভয় পাইয়ে দেওয়া যায়নি। বাংলা ডিফেন্ডাররা জীবন বাজি রেখে লড়াই করলেন। যত সময় এগোচ্ছিল টেনশন বেড়ে চলেছিল। একটা সময় কেরলের সর্মথকরা মাঠে বোতল ছুঁড়লেন। ১১৬ মিনিটে গোল শোধ করে দিল কেরল। বিবিন অজয়ন অনবদ্য হেডারে ১-১ করেন।

এরপর অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ লগ্নে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলা। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। বাংলার হয়ে মিস করেন সজল বাগ। একটিও গোল বাঁচাতে পারেননি সারা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা প্রিয়ন্ত সিং। শেষ পর্যন্ত ৫-৪ ফলে চ্যাম্পিয়ন হল কেরল। ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি জেতা হল না বাংলার। রানার্স আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল।