Tag Archives: Football

Football Trial: জেলার হাত ধরে ময়দানে সুদিন ফিরবে? আশা দেখাচ্ছে এই মফস্বল

পূর্ব মেদিনীপুর: কলকাতার ময়দানে নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরবে জেলার ছেলেরা। জেলার ফুটবল প্রতিভারা এবার নিজেদের প্রতিভার ছাপ রাখবে কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে। এই স্বপ্ন পূরণ করতে জেলার উঠতি ফুটবলারদের পাশে দাঁড়াল পাঁশকুড়ার একটি ক্লাব। ফুটবলারদের কলকাতার মাঠে সুযোগ করে দিতে তাদেরই সহযোগিতায় আয়োজিত হল ট্রায়াল। যেখানে কলকাতার নামিদামি ক্লাবের ফুটবল প্রশিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই কোচদের সামনেই নিজেদের প্রতিভা মেরে ধরলেন জেলার একঝাঁক শিক্ষানবিশ ফুটবলার।

আর‌ও পড়ুন: এই ঘাস গরুর খিদে মুহূর্তে মিটিয়ে দেয়, দুধ হয় প্রচুর

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া শহরের এই ক্লাব সারা বছর ধরেই এলাকার বিভিন্ন বয়সী ছেলেদের ফুটবলের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর পাশাপাশি ওইসব প্রশিক্ষণরত উঠতি ফুটবলারদের কলকাতা মাঠে খেলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তাদেরই উদ্যোগে প্রথমবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়াতে হল ফুটবল ট্রায়াল। পাঁশকুড়ার পিডব্লিউ মাঠে এই ফুটবল ট্রায়াল আয়োজিত হয়। এই ট্রায়ালের হাত ধরে জেলার ৩১ জন খুদে ফুটবলার সুযোগ পেল কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলার।

এ বিষয়ে ওই ক্লাবের সভাপতি সন্দীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি ফুটবল ট্রায়াল আয়োজন করা হয়। জেলা থেকে ফুটবল প্রতিভা তুলে আনতে এই ট্রায়াল আয়োজন করা হয়েছিল। দেড়শোরও বেশি ফুটবলার অংশগ্রহণ করেছিল। কলকাতার পাঁচটি ক্লাবের কোচেরা উপস্থিত ছিলেন। দেড়শোজন উঠতি ফুটবলের মধ্যে থেকে ৩১ জনকে তাঁরা বেছে নিয়েছেন। আগামী দিনে ওইসব ফুটবলারেরা কলকাতার মাঠে বড় ক্লাবের হয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলার সুযোগ পাবে।

সৈকত শী

History in Football: একই টুর্নামেন্টে মাঠে নামল মা ও ছেলে! পায়ের জাদুতে মাত সবাই

উত্তর ২৪ পরগনা: মা ও ছেলের একই ফুটবল টুর্নামেন্টে খেললেন। আর তা চাক্ষুষ করল সুন্দরবনবাসী। এমনই চমকপ্রদক ঘটনায় সকলেই যেমন উল্লসিত তেমনই প্রবীণরা কিছুটা হলেও বিস্মিত হয়ে গিয়েছেন।

নদী বেষ্টিত এলাকা সুন্দরবন। এই এলাকা ঘিরে কতই না গল্প লুকিয়ে আছে। প্রত্যন্ত এলাকার জনজীবনে উঁকি মারলে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ের পাশাপাশি দেখা মিলবে বিনোদনের মাধ্যমগুলির অভিনব গল্প। এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে আজও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ফুটবল খেলা। আর তাতেই একত্রে অংশগ্রহণ করল মা ও ছেলে।

আর‌ও পড়ুন: এই প্রকল্প দিনের আলো দেখলে পাল্টে যেত বাঁকুড়া

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন এলাকার বিশপুরে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলেন মা ও ছেলে। সন্দেশখালির কালিনগরের বাসিন্দা মৌমিতা সরদার ও ছেলে সৌম্যদীপ সরদার একই সঙ্গে ফুটবল প্র্যাকটিস করেন। আবার কখনও কখনওটুর্নামেন্ট এলে একই টুর্নামেন্টে খেলার ডাকও পান। সুন্দরবন এলাকায় হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুরে আদিবাসী সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত মহিলা ফুটবল টুর্নামেন্টে মা ও ছেলের পায়ের জাদু দেখল এলাকার মানুষ।

যেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় একাধিক সামাজিক বেড়াজলের প্রতিবন্ধকতার মাঝে বারে বার পিছুপা হতে হয়, সেখানে মা ও ছেলের একসঙ্গে ফুটবল খেলা চাক্ষুষ করল এলাকার মানুষ। মা ও ছেলের খেলার জুটি দেখতে পেয়ে খুশি অত্যন্ত এলাকার ফুটবল প্রেমীরা।

জুলফিকার মোল্যা

Local Football: বিশ্বমানের ফুটবল প্রতিভা ডুয়ার্সে! যার খোঁজে ছুটে এলেন খোদ…

জলপাইগুড়ি: ক্রীড়া ক্ষেত্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাংলার নারীরা। ছোট্ট শহর জলপাইগুড়ির বেশ ক’জন নারীও খেলাধুলোর ময়দানে নিজেদের সাফল্যের ছাপ রেখেছে। দেশের নানা খেলার ময়দানে এখন নারীদের সাফল্য চোখে পড়ার মত। তবুও আজ‌ও মেয়েদের অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়। তারই মধ্যে জলপাইগুড়ি তথা ডুয়ার্সকে আশার আলো দেখাচ্ছে ফুটবল।

বাংলার মেয়েরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে খেলায় এগিয়ে আসুক, সেই লক্ষ্যে মহিলা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জলপাইগুড়িতে আয়োজিত হচ্ছে অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI)-এর উদ্যোগে জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল খেলার আসর। মহিলাদের এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে কলকাতা, লাক্ষাদ্বীপ, কোকরাঝাড়, ইম্ফল, তিনসুকিয়া এবং সোনেলগাঁও কেন্দ্রের মহিলা ফুটবল দল।

আর‌ও পড়ুন: যমে-মানুষে কয়েক মিনিটের টানাটানি! রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে…

মূলত মহিলা ফুটবলারদের অগ্রগতির লক্ষ্যে ও ভারতীয় মহিলা ফুটবলকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে মহিলাদের জন্য বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে সাই। গ্রাম-গঞ্জ, শহরের সব মেধাবী প্রতিভাবান মহিলা ফুটবলারদের একটি প্ল্যাটফর্ম দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার শুক্লা দত্ত তাঁর নিজের জীবনের বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সফলতা অর্জনের কথা বলে সবাইকে অনুপ্রেরণা দেন। ভবিষ্যতে যাতে জলপাইগুড়ি জেলায় মহিলা ফুটবলারদের তথা ক্রীড়াবিদদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয় তার আবেদন জানান তিনি।

সুরজিৎ দে

Football: এক সময়ে ময়দান কাঁপানো খেলোয়াড়দের ফুটবল খেলা দেখল সোদপুর! প্রায় সকলেই ষাটোর্ধ্ব

উত্তর ২৪ পরগনা: একসময় ফুটবল পায়ে ময়দান দাপানো প্রাক্তন খেলোয়াড়দের দীর্ঘ বছর পর আবারও এদিন দেখা গেল স্ব-মহিমায়। কারুর বয়স ৬৬ কারুর ৫৮। কেউ খেলেছেন মোহনবাগানের হয়ে, কেউ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে, কেউ খেলেছেন পোর্ট ট্রাস্ট সহ কলকাতার নামীদামি ফুটবল দলের হয়ে। শুধু তাই নয়, এদিন সোদপুর চন্ডি চরণ গাঙ্গুলি ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল পায়ে দেখা গেল ভারতীয় দলে খেলা প্রাক্তন খেলোয়াড়দেরও।

ছিলেন স্বপন সেনগুপ্ত, রনজিৎ মুখোপাধ্যায়, দিবাকর চক্রবর্তী, পবিত্র কর, রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মত ফুটবলাররাও। জেলার সেরা ক্লাব গুলির মধ্যে অন্যতম সোদপুর ক্লাবের শত বর্ষ উদযাপন ঘিরে এদিন ছিল একটি প্রাক্তনীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। যেখানে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা একাদশ বনাম সোদপুর ক্লাব একাদশ। খেলা ঘিরে প্রথম থেকেই উত্তেজনার পারদ লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্লেয়ার সহ ক্লাব সদস্যদের মধ্যে।

 

আরও পড়ুন: গরমে গাছে কতবার জল দেওয়া উচিত? কী করে বাঁচাবেন বাগানের গাছ? জানুন

 

কেউ ৪০ বছর পর, তো কেউ ৪৫ বছর পর আবারও এদিন ফুটবল পায় নিলেন। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই বয়সকে পিছনে ফেলে যেন আবারও সকলে ফিরে গেলেন সেই যৌবনে। মাঠে নেমে ওয়ার্ম আপ করতেও দেখা গেল প্রাক্তন খেলোয়াড়দের। এরপরই খেলা শুরু হতে, রীতিমতো বুড়ো হারের ভেল্কি দেখলো দর্শক আসনে থাকা ক্রীড়া প্রেমীরা। ফুটবল পায়ে একে অপরকে টেক্কা দিয়ে চলল হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। সোদপুর ক্লাবে বর্তমানে প্রশিক্ষণ নেওয়া ফুটবলের ছাত্ররাও এদিন দেখল প্রাক্তনীদের পায়ের নিখুঁত কাজ। দর্শক আসনে থাকা ক্রীড়া-প্রেমীরা এদিনের এই খেলা দেখে বললেন, কথায় বলে – পুরনো চাল ভাতে বাড়ে, আজ যেন তারই বাস্তব রূপ দেখা গেল প্রাক্তনীদের এই ফুটবল খেলার মধ্যে দিয়ে।

Rudra Narayan Roy

জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ফুটবল খেলায় মাতল হাতি! ভাইরাল ভিডিও

পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রামে মেঠো পথ ফুটবল খেলে বেড়াচ্ছ এক হাতি। যা দেখতে ভিড় জমে যায় গ্রামবাসীদের। আপন মনে নিজের খেলা চালিয়ে যায় ওই হাতি। যেই ভিডিও এখন ভাইরাল।

মদ্যপ অবস্থায় মহিলা ফুটবলারদের ঘরে ঢুকে হেনস্থা! সাসপেন্ড ফেডারেশন কর্তা

মদ্যপ অবস্থায় মহিলা ফুটবলারদের ঘরে ঢুকে হেনস্থা করার অভিযোগ। কাঠগড়ায় খোদ ফেডারেশনর এক কর্তা। এমন গুরুতর অভিযোগ সামনে আসতেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করল না সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। অভিযুক্ত এআইএফএফ কর্তাকে সাসপেন্ড করল ভারতীয় ফুটবল সংস্থা।

অভিযুক্ত দীপক শর্মা হিমাচল প্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব ছাড়াও ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য। এর পাশাপাশি খাদ এফসি নামক একটি মহিলা ফুটবল দলের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি। ওই দলের দুই মহিলা ফুটবলারের অভিযোগ,খেলার জন্য গোয়ায় থাকাকালীন তাদের ঘরে মদ্যপ অবস্থায় ঢুকে হেনস্থা করেন। এই ঘটনার পরই ফেডারশনে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ফুটবলাররা।

ঘটনায় নড়েচড়ে বসে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। ঘটনায় কমিটি তৈরি করে শুরু হয় তদন্ত। ১ এপ্রিল এআইএফএফ একটি জরুরি মিটিং ডাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিযপক্ত দীপক শর্মা ছাড়াও ফুটবল ফেডারেশনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আলোচনার পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

এই বিষয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেন, মহিলাদের ফুটবলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এআইএফএফ দায়বদ্ধ। গোয়ায় লিগ চলাকালীন যে ঘটনা ঘটেছে,”তা দেশের মহিলা ফুটবলের উন্নতির প্রকৃত ছবি নয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফেডারশনের তরফে শুধু নয়, আইনি পদক্ষেপও করা হয়েছে।”

Knowledge Story: বাংলার খেলা কি জানেন! না ক্রিকেট তো নয়, ফুটবলও নয়, প্রত্যন্ত জেলাতেও বসে এই খেলার আসর

বীরভূম:  খেলাধুলো সকলেই ভালবাসেন৷ আর বাঙালিদের ক্রীড়াপ্রেম তো সর্বজনবিদিত৷ কিন্তু জানেন কি বাংলার নিজের খেলা রয়েছে৷ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি বাঙালির নিজস্ব খেলা রয়েছে৷ না সেটা কিন্তু আবার ক্রিকেট বা ফুটবল নয়৷

খো খো খেলার নাম শুনেছেন অনেকে আবার অনেকে আছেন যারা এখনও পর্যন্ত এই খেলার নাম শোনেনি। তবে কী এই খেলা ! এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো খেলার মাঠ—যা যেকোনওউপযুক্ত অন্দর বা বাইরের স্থাপন করা যেতে পারে,একটি আয়তক্ষেত্র ২৯মিটার (৩২গজ) লম্বা এবং ১৬ মিটার (১৭ গজ) চওড়া এবং মাঠের উভয় প্রান্তে একটি উল্লম্ব কাঠের পোস্ট রাখা হয়।প্রতিটি খো-খো দল ১২ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে গঠিত, কিন্তু একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিটি দল থেকে মাত্র ৯ জন খেলোয়াড় মাঠে নামে।

আরও পড়ুন – Free Gold Offer: সেল, সেল, সেল! চৈত্র সেলে ফ্রি সোনা, খেতে হবে শুধু এই স্টলের চা

একটি ম্যাচ দুটি ইনিংস নিয়ে গঠিত। একটি ইনিংসে, প্রতিটি দল তাড়া করার জন্য ৭ মিনিট এবং রক্ষণের জন্য ৭ মিনিট সময় পায়। ধাওয়া করা দলের আটজন সদস্য মাঠের কেন্দ্রীয় গলিতে ৮টি স্কোয়ারে বসে থাকে, তারা যে দিকে মুখ করে থাকে।

নবম সদস্য হল সক্রিয় ধাওয়াকারী (কখনও কখনও আক্রমণকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়), যে পোস্টগুলির যে কোনও একটিতে তার সাধনা শুরু করে। সক্রিয় চেজার হাতের তালু দিয়ে সেই ব্যক্তিকে স্পর্শ করে প্রতিপক্ষকে নক আউট করে। ডিফেন্ডাররা (যাকে রানার্সও বলা হয়) মাঠের সীমানার বাইরে না যাওয়ার সময় চেজারের স্পর্শ এড়িয়ে সাত মিনিট খেলার চেষ্টা করে। দৌড়বিদরা ধাওয়া করা এলাকায় প্রবেশ করে (আয়তক্ষেত্র নামে পরিচিত) তিনটি ব্যাচে। তৃতীয় রানার চলে যাওয়ার সাথে সাথে তিনজনের পরবর্তী ব্যাচকে আয়তক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হবে। দৌড়বিদদের  আউট  ঘোষণা করা হয় যখন তারা সক্রিয় চেজার দ্বারা স্পর্শ করা হয়, তারা আয়তক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে যায়, অথবা তারা আয়তক্ষেত্রে দেরিতে প্রবেশ করে। সক্রিয় ধাওয়াকারী দলের যে কোনওসদস্যকে মাঠের মাঝখানে একটি স্কোয়ারে কুঁকড়ে বসে থাকা, দখল নিতে এবং তালু দিয়ে পিঠে টোকা দিয়ে এবং জোরে  খো  বলে তাড়া চালিয়ে যেতে পারে।

ধাওয়া  খো- এর একটি সিরিজের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কারণ তাড়া করে যারার তারা রিলে পদ্ধতিতে তাদের তাড়া চালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত জানা যায় প্রথম খো-খো টুর্নামেন্ট ১৯১৪ সালে সংগঠিত হয়েছিল এবং ১৯৫৫ সালে গঠিত খো-খো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (KKFI) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৫৯ সালে বিজয়ওয়াড়াতে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। খেলাটিকে জনপ্রিয় করার জন্য দুর্দান্ত প্রচেষ্টা, যা এখন ভারত জুড়ে স্কুল থেকে জাতীয় দল পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়।তবে বীরভূম খো খো কমিটির সেক্রেটারি সুশোভন মন্ডল আমাদের জানান বীরভূম জেলা মূলত খো খো খেলাতে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।আর সেই কারণেই এই খেলাকে আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

অন্যান্য জেলাতে এই খেলা দেখা গেলেও বীরভূম জেলাতে এই খেলার দেখা পাওয়া প্রায়যায় না।বীরভূম জেলা ব্যাপী এই খো খো খেলার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় সিউড়িশহরের বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন স্কুল এ দুপুর ১২:৩০ । উপস্থিত ছিলো ১৪৫ জন ছাত্র ৬৫ ছাত্রী। বিভিন্ন কলেজ থেকে ও ছাত্র ছাত্রী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালা থেকেই জেলার খো খো দল রাজ্য স্তরে খেলায় অংশগ্রণমূলক করবে।

Souvik Roy

ফুটবলাররা মোজায় ফুটো করে রাখেন কেন বলুন তো? বড় কারণ রয়েছে কিন্তু

কলকাতা: একেকটি খেলাধুলার একেকরকম আলাদা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কিছু জিনিস আছে যা নিয়ম নয়। কিন্তু সমস্ত খেলোয়াড় নিজেদের স্বাচ্ছন্দ্য এবং ফিটনেসের জন্য সেগুলি করে থাকেন।

আজ আমরা এমনই কিছু বিষয়ের কথা বলতে চলেছি। ১৮৬৩ সালে ইংল্যান্ডে শুরু হয়েছিল ফুটবল খেলা। ফুটবল খেলাটিকে অনেক দেশে সকার বলেও ডাকা হয়।  ফুটবল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা।

অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন, বেশিরভাগ ফুটবলার তাঁদের মোজায় একটি বা একাধিক ফুটো করে রাখেন। অনেকেই জানেন না, এমনটা করার আসল কারণ।

আরও পড়ুন- শামির বদলে আইপিএলে ‘এই’ বোলার! গুজরাতের কি টাকার অভাব? নামটা অবাক করবে

আসলে কাফ মাসল-এর উপর চাপ কমানোর জন্য এমনটা করে থাকেন কিছু ফুটবলার। যেসব ফুটবলারদের কাপ মাসল-এ ক্র্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাঁরা খেলার সময় বা অনুশীলনের সময় ক্র্যাম্প এড়াতে এমনটা করেন।

আসলে এমনিতেই ফুটবলাররা যে মোজা পরেন তা শক্ত হয়ে পায়ের সঙ্গে লেগে থাকে। ছোট্ট ফুটো করে রাখলে তা পায়ে রক্ত ​​সঞ্চালন ভাল করতে সাহায্য করতে পারে। তবে এমনটা যে সব ফুটবলাররা করেন তা কিন্তু নয়। আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক ফুটবলার এমনটা করে থাকেন।

আরও পড়ুন- কেউ চেনে না! এমন ক্রিকেটার কেকেআরের অস্ত্র এবার! রাসেল, রিঙ্কুকে ঘোল খাওয়ালেন

অনেক ফুটবলার যেমন বুটের লেস খুব শক্ত করে বাঁধেন। আবার অনেকে লেস বাঁধার  সময় একটু ঢিলে রাখেন। আসলে সবটাই ফুটবলাররা নিজেদের সুবিধার জন্য করে থাকেন।

Paschim Medinipur News: বাবা বিশেষভাবে সক্ষম. করেন ভাগচাষ, ফুটবল নিয়ে বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্নে তরুণ মাধব

পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকে নেশা ফুটবল খেলার প্রতি। ভালবাসা ফুটবলে। তবে পারিবারিক অর্থকষ্ট ম্লান করতে পারেনি ফুটবল খেলাকে। পরিবারে অর্থ কষ্ট থাকলেও সারাদিন কায়িক পরিশ্রমের পর বিকেলে ফুটবল প্র্যাকটিস করে সে। সে মাধব মান্না৷   বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ফুটবল খেলেছেন।  বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল খেলে জুটেছে সম্মানও। তবে সংসার বড় বালাই। সংসার চালাতে ভরসা সেলুনে কাজ করা। তরুণ এই ফুটবলারের জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের তরুণ ফুটবলার মাধব মান্না। বয়স মাত্র ২২-২৩ হলেও তাঁর ফুটবল স্কিল যে কোনও পরিচিত ফুটবল প্লেয়ারদের টেক্কা দেবে। কলকাতার বিভিন্ন নামী ক্লাবেও খেলেছেন তিনি। তবে বর্তমানে সংসার ও ফুটবল নিয়ে টানাপোড়েনে এই প্রতিভাবান যুবক। শুধু ফুটবল খেলা নয়, করতে পারেন জাগলিংও। হাতের আঙুলে বেশ কয়েক মিনিট পর্যন্ত একটি ফুটবলকে গোল গোল করে ঘোরাতে পারেন তিনি। পায়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই নাচাতে পারেন ফুটবল। দাসপুরের যুবকের অনন্য প্রতিভায় মুগ্ধ সকলে।

আরও পড়ুন – Gold From Pond: কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব, পুকুরের তলায় লুকনো সোনার ভাণ্ডার, ভিড় উপচে পড়ছে

দাসপুর থানার পার্বতীপুর গ্রামের মাধব মান্না, সংসার চালাতে উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পরই সেলুনে কাজ শুরু করে। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। কোনওভাবেই চলে দিন। তবে ছোট থেকেই তার নেশা ফুটবল খেলার প্রতি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবেও ফুটবল খেলেছেন তিনি। তবে পরিবার, শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখন আর বড় ক্লাবে খেলা হয় না তার। সংসার চালাতে ভরসা সেলুন দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করা। তবে প্রতিদিনই নিয়ম করে বিকেলে ফুটবল অনুশীলন করে মাধব। এছাড়াও প্রায় ৫ মিনিট ফুটবলকে শরীরের মধ্যে রেখে নানান কার্যকলাপ দেখাতে পারে সে। দাসপুরের এই যুবকের প্রতিভা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।

সে খেলেছে বড় বড় ক্লাবে। সেখান থেকে কখনও ছিনিয়ে নিয়েছে ফাইনাল ট্রফি, আবার নিজের দক্ষতায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ থেকে ম্যান অব দ্যা সিরিজ এই কেতাবি সম্মানগুলিও অর্জন করেছে। বর্তমানে মাধব চাইছে একটি কোনও প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের সাহায্য পেলে তার ফুটবল খেলার যে আশা পূর্ণ হবে।

বাড়িতে রয়েছে মাধবের অসুস্থ বাবা।মাধবের বাবা প্রভঞ্জন মান্না একজন শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম। নিজস্ব কোনও জমি জায়গা নেই তাদের। ভাগচাষে নিজেদের সংসার চালাতে হয় তাদের। তবে, কোনওদিন কি বড় ফুটবলার হয়ে উঠতে পারবে গ্রামের ছেলে মাধব? এই আশায় সকলে।

Ranjan Chanda 

East Bengal vs Mohun Bagan: ডার্বির আগে হুঙ্কার মোহনবাগান কোচের, লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন হাবাস

কলকাতা: অনেক টালবাহানার পর রবিবারই যুবভারতীতে হচ্ছে আইএসএলের ফিরতি পর্বের ডার্বি। ইস্ট-মোহনের দ্বৈরথ ঘিরে চড়ছে পারদ। সুপার কাপের হারের পর আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে বদলা নিতে পারেনি মোহনবাগান। মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ১ পয়েন্ট নিয়েই। তবে বিগত দেড় মাসে ছবিটা অনেকটা বদলে গিয়েছে। হাবাসের কোচিংয়ে মোহনবাগান এখন কার্যত অপ্রতিরোধ্য। অপরদিকে, সুপার কাপ জিতলেও আইএসএলে একেবারেই ছন্দে নেই কার্লোস কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গল। প্রায় হাতছাড়া সুপার সিক্সে ওঠার সুযোগও।

এই পরিস্থিতিতে রবিবাসরীয় ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড। কারণ এই ম্যাচ একদিকে সমর্থকদের কাছে যেমন বদলার, পাশাপাশি লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে থাকতে ৩ পয়েন্ট দরকার হাবাস ব্রিগেডের। তবে বড় ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের প্রতি সমীহের সুর শোনা গলা হাবাসের গলায়। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন,”এই ম্যাচ নিয়ে কোনও আলাদাআবেগ নয়, লক্ষ্য শুধুই ৩ পয়েন্ট।”

ম্যাচের আগের দিন মোহনবাগান কোচ বলেছেন,”ডার্বি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাদা কোনও উন্মাদনা বা উত্তেজনা নেই। আর পাঁচটা ম্যাচের মতই ৩ পয়েন্ট আমাদের লক্ষ্য। আমরা লিগ টেবিলে আরও উপরের দিকে উঠতে চাই। ফ্যানেদের মধ্যে এই ম্যাচ নিয়ে আলাদা উত্তেজনা থাকে জানি। তাই সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটতে চাই। প্রতিপক্ষ দলেও যথেষ্ট ভাল ফুটবলার রয়েছে। তবে আমরা ৩ পয়েন্টের লক্ষ্যেই নামব।”

আরও পড়ুন: IPL 2024: আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ক্যাচ কে ধরেছেন? নাম কল্পনাও করতে পারবেন না

এদিনের ডার্বিতে কার্যত পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামতে চলেছে মোহনবাগান। শুধু মাত্র সুমিত রাঠি এবং দীপক টাংরিকে পাওয়া যাবে না। তবে প্রথম একাদশ কী হবে তা নিয়ে কোনও খোলাসা করেননি বাগান কোচ। পরিস্থিতি, দলের শেষ মুহূর্তের পর্যবেক্ষণ,প্রতিপক্ষের শক্তি সব দিক বিচার করেই একাদশ ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন সবুজ-মেরুণের স্প্যানিশ কোচ।