বেঙ্গালুরু : সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে বাড়তি সুবিধা হিসেবে পাওয়া যায় এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ অ্যাকসেসের সুযোগ। কিন্তু তার জন্য ৮৭০০০ টাকা খোয়া যাবে, এ কথা স্বপ্নেও কল্পনা করে উঠতে পারেননি বেঙ্গালুরুর এক মহিলা। করে উঠতে পারলে তিনি হয়তো অর্থহানির হাত থেকে রক্ষা পেতেন।
জানা গিয়েছে যে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর এক মহিলা ফ্লাইট ধরার আগে কিছু সময় কাটানোর জন্য বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে যেতে চান। তাঁর কাছে ক্রেডিট কার্ড সেই সময়ে ছিল না। তাই তিনি নিজের ছবি দেখিয়ে বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে অ্যাকসেস চেয়েছিলেন।
বিমানবন্দরের এক কর্মী তার জন্য মহিলাকে লাউঞ্জ পাস অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। যাতে ফেস স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে তাঁর যথাযথ পরিচয় পাওয়া যায়। মহিলা পরামর্শ মতো সেই লাউঞ্জ পাস অ্যাপ ডাউনলোডও করেন নিজের ফোনে।
আফশোসের বিষয় এই যে, লাউঞ্জ পাস অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলেও তিনি কিন্তু লাউঞ্জে যাননি। বরং, নামী বহুজাতিক সংস্থা থেকে একটা কফি নিয়ে সময় কাটিয়েছিলেন। অথচ অভিযোগ, শুধু ওই অ্যাপ ডাউনলোডের জেরেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খোওয়া গিয়েছে ৮৭০০০ টাকা।
আরও পড়ুন : ১০ টাকার পালংশাকে এই শীতেই পালাবে ব্লাড সুগার! শুধু দিনের Perfect Time-এ খেতে হবে বিশেষ উপায়ে
সম্প্রতি ভাইরাল এক ভিডিওয় অ্যাপ ডাউনলোড করার পরে কী কী ঘটেছে, সে কথা জানিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি বলেছেন, ২৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে পরিচিতদের সবাই অভিযোগ করতেন যে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। মাসখানেক ধরেই এমনটা ঘটছিল, তাই তিনি এর জন্য টেলিকম পরিষেবা সংস্থা দায়ী, এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন।
পরে অবশ্য এক পরিচিত তাঁকে জানান যে ওই মহিলাকে ফোন করলে এক পুরুষ ফোন তুলছেন। তখন পরিবারের এক সদস্যের অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে যাতায়াত নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি, ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুযোগ তিনি পাননি।
এর পরেই তিনি জানতে পারেন যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৭০০০ টাকা এক অজ্ঞাতপরিচয়ের ফোনপে অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। মহিলার দাবি, লাউঞ্জ পাস অ্যাপ থেকে স্ক্রিন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে তাঁর ফোনের যাবতীয় তথ্য প্রতারকদের কাছে চলে গিয়েছে। তারা কল ফরওয়ার্ডও করেছে, যার জন্য তাঁর কাছে ফোন আসত না। ওটিপি আসাও প্রভাবিত করেছে, ফলে টাকা লেনদেনের বিষয়টা থেকে গিয়েছে তাঁর অগোচরে। যার জন্য এই সব যখন ঘটছে, তার বিন্দুমাত্রও তিনি বুঝে উঠতে পারেননি।
ঘটনার জেরে সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্লক করেছেন নিজের ক্রেডিট কার্ডও।