বিনোদন Bollywood Gossip: প্রায় ২০০ ফ্লপ ছবি! খিদে পেটে রাত কেটেছে ফুটপাথে! আজ কোটির কোটির মালিক এই সুুপারস্টার Gallery June 16, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডে প্রতিটি অভিনেতা-অভিনেত্রীকে সুপারহিট চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সুপারফ্লপ ছবিরও মুখদর্শন করতে হয়েছে। তবে, এমনই এক নায়ক আছে যাঁর ফ্লপ ছবির সংখ্যা ১০০-এর বেশি। বলিউড তথা টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর ফ্যানেদের সংখ্যাও প্রচুর। কিন্তু তাঁর গ্রাফ হিটের চেয়ে বেশি ফ্লপ দেখায়। তবুও তাঁকে বলিউডের সুপারস্টার বলা হয়। মিঠুন আর্ট হাউস ড্রামা “মৃগয়া” (১৯৭৬) এর মাধ্যমে অভিনয়ে জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি ১৯৮২ সালের ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ (DISCO DANCER) চলচ্চিত্রে জিমির ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা ১০০ কোটি টাকা অতিক্রমকারী প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র। মিঠুন এখনও পর্যন্ত বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র সহ ৩৫০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। তবে, প্রকাশিত একটি খবর অনুসারে, মিঠুন তার ক্যারিয়ারে ১৮০টি ফ্লপ ছবি দিয়েছেন। তাঁর ব্যর্থতার হার প্রায় ৬০%। তিনি ১৯৯৩-৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ৩৩টি ফ্লপ সিনেমা করেছিলেন। মিঠুন বলিউড অভিনেতাদের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন, যিনি সবচেয়ে বেশি ফ্লপ ছবি করেছেন। মিঠুনের পর-ই তালিকায় নাম রয়েছে জীতেন্দ্রর। আগাগোড়া কেরিয়ারে জীতেন্দ্রর ১০৬টা ছবি ফ্লপ করেছিল।
বিনোদন Bollywood Actor: বিয়ের ১০ মাসেই বিচ্ছেদ, ২ বছরে ভাঙে দ্বিতীয় বিয়ে, ফ্লপ হিরো হয়েও কোটি কোটি টাকার মালিক বলিনায়িকার স্বামী Gallery June 3, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডে এমন অনেক অভিনেতা রয়েছেন যাঁদের জীবন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। হিন্দি সিনেমা জগতের এই হিরো একটিও হিট ছবি দিকে পারেননি। অথচ নায়ক কোটি কোটি টাকার মালিক। বড় পর্দায় কোনও হিট ছবি তিনি দিতে পারেননি। এই বছর একটি ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে দেখা গিয়েছে সুদর্শন অভিনেতাকে। অভিনেতার জীবনও সমানভাবে আলোচিত। প্রথম স্ত্রীকে বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যেই বিচ্ছেদ। তারপর আরও এক অভিনেত্রীকে বিয়ে করেন নায়ক। তবে, সেই বিয়েও টেকেনি। পরে আবার এক জনপ্রিয় নায়িকাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। অভিনেতার শুরু ছোটপর্দায় অভিনয় করে। ছোট পর্দায় সিরিয়াল করে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন নায়ক। তাঁর অভিনয় এবং হ্যান্ডসাম চেহারার জন্য তিনি খুব সহজেই দর্শকদের প্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে, বড় পর্দায় এসেই একেবারে ফ্লপ নায়ক। অভিনেতা করণ সিং গ্রোভার তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য বেশি শিরোনামে রয়েছেন। সম্পর্কের কারণে প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। অভিনেতা প্রথম বিয়ে করেন সহ-অভিনেত্রী শ্রদ্ধা নিগমকে ২০০৮ সালে। সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করার সময় তাদের প্রেমের ফুলঝুরি ঘটে এবং তারপরই তারা বিয়ে করেন। যত তাড়াতাড়ি এই দম্পতির প্রেম প্রস্ফুটিত হয়েছিল, ঠিক তত তাড়াতাড়ি তারা দুজনেই আলাদা হয়ে যায়। বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে করণ সিং গ্রোভার এবং শ্রদ্ধা নিগমের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। প্রথম স্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর করণ জেনিফার উইঞ্জেট সঙ্গে দেখা করেন। জেনিফার উইঞ্জেট এবং করণ সিং গ্রোভার ‘দিল মিল গয়ে’ সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। ‘দিল মিল গয়ে’ সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করার সময় দুজনেই একে অপরের কাছাকাছি আসেন এবং ২০১২ সালে বিয়ে করেন। ২ বছরের সুখী দাম্পত্যের জীবনযাপন করার পর আলাদা হয়ে যায় দু’জনের সংসার। জেনিফার উইঞ্জেটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর করণ তৃতীয়বার বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসুকে। ২০১৬ সালে এই দম্পতি বিয়ে করেন। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
বিনোদন Jackie Shroff Love Story: জ্যাকির প্রেমে পাগল আয়েশা, বাধা দিল নায়কের আরেক প্রেমিকা! তারপর? ‘জগুদাদা’র প্রেমকাহিনি গায়ে কাঁটা দেবে Gallery June 3, 2024 Bangla Digital Desk ১৯৮৭ সালের ৫ জুন বলিউড তারকা জ্যাকি শ্রফ বিয়ে করেন তাঁর দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা আয়েশাকে। আগামী বুধবার তাঁদের বিয়ের ৩৭ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ১৯৮২-তে প্রথম ‘স্বামী দাদা’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন জয়কিশন কাকুভাই শ্রফ ওরফে জ্যাকি। তারপর সুভাষ ঘাইয়ের ‘হিরো’ মোড় ঘুরিয়ে দেয় জ্যাকির কেরিয়ার। সুপারহিট ছবিটির জন্য সাধারণ মানুষ তাঁকে চিনতে শুরু করে। বাকিটা ইতিহাস। জ্যাকির প্রেমকাহিনিও হার মানাবে কোনও রূপকথাকে। প্রথম দেখাতেই পছন্দ হয় আয়েশাকে। আয়েশা তখন মাত্র ১৩। প্রথম দেখা বাসস্টপে। আরেকদিন দেখা হয় রেকর্ডের দোকানে। দু’বারই জ্যাকি নিজেই এগিয়ে যান পছন্দের মেয়েটির সঙ্গে কথা বলতে। দু’জনেরই কম বয়স। সম্পর্কে যাওয়ার কথা ভাবেনও আয়েশা। কিন্তু সম্ভব হয় না। বাধা হয়ে দাঁড়ায় জ্যাকির প্রেমিকা। সে সেই সময় বিদেশে পড়াশোনা করছিল সেই প্রেমিকা। জ্যাকিও তাঁর প্রেমিকাকে এভাবে ছেড়ে দিতে নারাজ। ভালবাসতেন তাঁকে। আয়েশাও ততদিনে জ্যাকির প্রেমে পাগল। ওকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ের কথা তিনি ভাবতেই পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে জানান তিনি নিজে চিঠি লিখবেন জ্যাকির প্রেমিকাকে। জানাবেন, সে চায় দুজনেই জ্যাকিকে বিয়ে করে সুখে থাকুক। এক বাড়িতে তিনজনে থাকবেন। কিন্তু জ্যাকিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারে না। ছেড়ে দেওয়ার চেয়ে ভাগ করে নেওয়া অনেক সুখের। এমনই জানান আয়েশা শ্রফ। এ কথায় খুব অবাক হন জ্যাকি। একটা সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন আয়েশা শ্রফ, ‘আমি শুধু জ্যাকিকে চেয়েছিলাম। তার জন্য যদি আমাকে মেয়েটির সঙ্গে ওকে পেতে হত, তাই সই! কিন্তু ওকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবতেও পারিনি।’ তারপর আবার নিজেই স্বীকার করেন, ‘ যদিও আমি যেমন ধরনের মানুষ, জানিনা অন্য কারও সঙ্গে জ্যাকিকে কীভাবে ভাগ করে নিতাম।’ তবে এই সম্পর্কে থাকাকালীন সব কিছু একেবারেই মসৃণ হয়নি। জ্যাকির হবু শাশুড়ি অর্থাৎ আয়েশার মা এই সম্পর্কে মেনে নেননি। আয়েশা নিজেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘যখন জ্যাকির সঙ্গে প্রেম করা শুরু করি, মা একদমই মেনে নেননি। একে তো ওর ‘জগুদাদা’ ইমেজ ছিল, তার উপর মায়ের কানভারী করেছিলেন কেউ কেউ। জ্যাকি বখে যাওয়া ছেলে, মাকে বুঝিয়েছিলেন অনেকেই!’ যদিও পরে সব ভালই হয়। জামাই বস্তিতে থাকে জেনে প্রথমে চিন্তায় পড়লেও পরে জ্যাকিকে মেনে নেন আয়েশার মা। সুখী দাম্পত্য তাঁদের। জ্যাকি-আয়েশার পুত্র এবং কন্যা টাইগার এবং কৃষ্ণাও নিজেদের জগতে সফল।