Tag Archives: Bollywood Song

প্যারিসে স্ট্রিট পারফর্মারের কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকরের গান কেড়ে নিল সোশ্যাল মিডিয়ার মন

আমাদের দেশ হোক বা বিশ্বের অন্য কোন দেশ , সব জায়গাতেই স্ট্রিট পারফর্মারদের নিজেদের গোপন প্রতিভা সবার সামনে তুলে ধরতে দেখা যায়। কেউ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে , কেউ ম্যাজিক বা মজার জিনিস দেখিয়ে , কেউ আবার সুন্দর কণ্ঠে গান শুনিয়ে পথচলতি মানুষের মন জয় করে থাকে। তাদের প্রচেষ্টা এবং সাহস সত্যি প্রশংসার যোগ্য। আমাদের মধ্যে এমন বহু মানুষ আছেন যারা এই সমস্ত প্রতিভার কদর করেন এবং সমাজের সামনে তাদের তুলে ধরার জন্য নিজের চেষ্টা লাগিয়ে দেন।

ইন্টারনেটের দৌলতে এমন অনেক প্রতিভার সন্ধান আমরা আগেও পেয়েছি যারা নিজেদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নাম এবং রোজগারের পন্থা হিসাবে সেই প্রতিভাকে কাজে লাগায়। তাদের শহরের রাস্তায়, হোটেলের বাইরে , প্রত্যন্ত গ্রামে আমরা খুঁজে পায়। তাদের ভিডিওগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে তাদের দুনিয়ার সামনে তুলে ধরে বহু ইউসার।

একইভাবে সম্প্রতি এক পাকিস্তানি মহিলার দ্বারা পোস্ট হওয়া একটি ভিডিওতে প্যারিসের রাস্তায় গান গাওয়া একজন স্ট্রিট পারফর্মারের কণ্ঠ আমাদের সামনে উঠে এসেছে। এই বিদেশী পারফর্মারের কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকরের বিখ্যাত গান ‘আজীব দাস্তান’ মানুষের মনকে ছুঁয়ে গেছে। তার গান শুনে বহু ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার গানের প্রশংসা করে ‘সুন্দর’ বলে কমেন্ট করেছেন। আবার কেউ তার গানকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

মাহিরা ঘানি নামে পরিচিত একজন মহিলা, প্যারিসে এই স্ট্রিট পারফর্মারের মিষ্টি গানটি মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে শেয়ার করেছেন । পোস্টে তিনি লিখেছেন “এই লোকটি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি কোথা থেকে এসেছি। আমি পাকিস্তান থেকে বলেছিলাম এবং তিনি অপেরা গার্নিয়ার প্যারিসের সামনে দাঁড়িয়ে এই গানটি গাইতে শুরু করেন।” ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার পর ২০০,০০০এর বেশি ভিউ এবং ১০,০০০ হাজার লাইক অর্জন করেছে। ভিডিওটি এখানে দেখুন-

 

৪৫ সেকেন্ডের ক্লিপটিতে এই লোকটি ১৯৬০ সালের বলিউড ছবি ‘দিল আপনা অর প্রীত পারাই’-এর লতা মঙ্গেশকরের বিখ্যাত গান ‘আজীব দাস্তান হ্যায় ইয়ে’ গাইতে দেখা গেছে। খুব শীঘ্র ইন্টারনেটে এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পরে এবং দ্রুত ভাইরাল হয়. মানুষের প্রশংসায় কমেন্ট বক্স ভরে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনদের কিছু প্রতিক্রিয়া এখানে দেওয়া হল –
একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন “এটা আশ্চর্যজনক. আমাদের উপমহাদেশ আমাদের অবচেতনের গভীরে আমাদের সঙ্গেই ঘুরে বেড়ায় , এবং আমাদের সঙ্গে যাদের দেখা হয় তাদেরকেও সংক্রামিত করার জন্য ছড়িয়ে পড়ে।”
অন্য একজন লিখেছেন , “খুব সুন্দর।”
লোকটির কথায় বিদেশী টান থাকা সত্বেও একটি হিন্দি গানকে কত সুন্দরভাবে তিনি গেয়েছেন সেই ব্যাপারে সবাই তার উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন। তার এই গানে আপ্লুত হয়ে একজন মন্তব্য করেছেন “অপরিচিতদের সহৃদয়তা । পৃথিবীকে গোলাকার করে তোলে । ”

Kesariya: ফের সুর চুরির দায় প্রীতমের ঘাড়ে, ‘কেসরিয়া’র সঙ্গে ৩টি গানের মিল পেলেন নেটিজেনরা

#মুম্বই: গত ১৪ এপ্রিল রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভাটের বিয়েতে দুই পংক্তি উপহার দিয়েছিলেন অয়ন মুখোপাধ্যায়। সেই দুই পংক্তি এ বার আপাদমস্তক এসে হাজির। সেই ১৪ এপ্রিল থেকে মাতামাতি চলছে ‘কেসরিয়া’ গানটি নিয়ে। প্রীতমের সুরে অভিজিৎ সিংয়ের গলায় ওই টুকরো গানটুকু সারা দিন শুনতেন কত মানুষ! কিন্তু হায়, সম্প্রতি গোটা গানটি মুক্তি পেতেই সব জলে গেল। চর্চায় এখনও সেই গানই। কিন্তু ছিল প্রশংসা, হয়ে গেল নিন্দা। গোটা গানটি শুনে শ্রোতাদের অধিকাংশের মন ভেঙেছে। কারও সুর ভাল লাগেনি, কারও কথা। কিন্ত এ যে আলিয়া-রণবীরের নিজস্ব প্রেমের গান! তাতেও ভরাডুবি।

সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে এই গানের সমালোচনায়। অনেকে এই গানটির সঙ্গে মোট তিনটি গানের মিল পেয়েছেন। প্রীতমের বিরুদ্ধে ‘সুর চুরি’র অভিযোগ এসেছে।

প্রথম গানটি খোদ প্রীতমেরই। ‘যব হ্যারি মেট সজল’ ছবির ‘হাওয়ায়েঁ’। গেয়েছিলেন অরিজিৎই।

আরও পড়ুন: সামান্থা যদি ব্যাচেলরেট পার্টি করেন তাহলে হোস্ট হতে হবে রণবীর সিংকে

‘কেসরিয়া তেরা ইশক হ্যায় পিয়া রং যাউ যো ম্যায় হাত লাগাউ।’ গানের মূল অংশের সঙ্গে কেউ কেউ মিল পেয়েছেন রাজস্থানী এক লোকগানের সঙ্গে। নাম, ‘চরকা’। গেয়েছেন লখিন্দর ওয়াডালি এবং পূরণ ওয়াডালি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Chandni Mimic? (@chandnimimic)

তিন নম্বর গানটি হল, ‘এক চল্লিশ কি লাস্ট লোকাল’ ছবির গান ‘লারি ছুটে’। গানটি তৈরি করেছিলেন পাকিস্তানি রক ব্যান্ড ‘কল’। ২০০৭ সালে এই গান রাতারাতি জনপ্রিয় হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কেবল চর্চা নয়, গানগুলির ক্লিপ ব্যবহার করে, বা কেবল অডিও ব্যবহার করে ‘কেসরিয়া’র সঙ্গে সুরে সুরে মেলানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জুনিয়র কাপুরের নামের শুরুটা কি ‘R’ দিয়েই? সরাসরি জবাব দিলেন রণবীর-আলিয়া

যদিও প্রীতমকে বাঁচাতেও আসছেন অনেক ভক্ত। তাঁদের মতো গান এক রকম লাগার কারণ রাগ এক। এ সব ক্ষেত্রে সুর মিলতেই পারে।