Tag Archives: bowbazar metro

Kolkata Metro: অবশেষে বিরাট স্বস্তি! শেষ হল বড় কাজ, কবে থেকে ছুটবে বউবাজার মেট্রো? জানুন আপডেট

কলকাতা: বউবাজারে মেট্রোর কাজে বড় স্বস্তি। সম্পন্ন হল পাঁচ ক্রস প্যাসেজ তৈরির কাজ।মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গের কোনও একটায় কোনও রকম বিপত্তি ঘটলে যাত্রীদের দ্রুত বার করতে এই ক্রস প্যাসেজ করা হয়।২০২২ সালে এমনই কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। অবশেষে সেই কাজ সম্পন্ন করা হল।

৪,৫বি,৫এ,৬,৭ নম্বর ক্রস প্যাসেজ হয়েছে।এছাড়া বউবাজারে এখন যেখানে রিট্রিভ্যাল শ্যাফট আছে সেখানে হচ্ছে এমারজেন্সি এভাকুয়েশন শ্যাফট।প্রতি ক্রস প্যাসেজের মধ্যে দূরত্ব ২৭৫ মিটার। বিশেষ অনুমতি নিয়েই এই কাজ করা হল।আপাতত চলছে এমারজেন্সি এভাকুয়েশন শ্যাফট শেষ করার চূড়ান্ত পর্যায়।অত্যন্ত সাবধানে কাজ করতে চলেছে KMRCL.ফলে দূর্গাপুজোয় নয়, নতুন বছরে মেট্রো ছুটবে শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেডের মধ্যে।

আরও পড়ুন-    বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

শৈলেশ পাঠক, জেনারেল ম্যানেজার, সিভিল, KMRCL জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ক্রস প্যাসেজ তৈরির সময় বিপত্তি দেখা দিলে পরিকল্পনায় নানা বদল আনা হয়৷ দুই নম্বর ক্রস প্যাসেজের কাজ বন্ধ করা হয়৷ সেই ক্রস প্যাসেজ আপাতত ব্লক করা হচ্ছে। এক ও তিন নম্বর ক্রস প্যাসেজের পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়৷ বাকি ক্রস প্যাসেজ করা হয়েছে। এছাড়া বউবাজার এলাকায় একটা এভাকুয়েশন শ্যাফট বানিয়ে ফেলা হয়েছে৷

আরও পড়ুন-    গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

সেখান থেকে যাত্রীদের মাটির ওপরে নিয়ে আসা হবে।বউবাজার এলাকাতে এই ক্রস প্যাসেজ তৈরি করতে গিয়েই বিপত্তি হয়। বহু বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। হিন্দ সিনেমার সামনে তাই এই ইন্টারভেন্টিলেশন শ্যাফট তৈরি ঘিরে রীতিমতো আশঙ্কা ছিল।মাটির নিচে মেট্রোর দুটি টানেলকে আড়াআড়িভাবে সংযোগ করে যে টানেল তৈরি হয় তাকে ক্রস প্যাসেজ বলে। মূলত একটি টানেলে কোনও বিপদ হলে যাতে এই প্যাসেজ দিয়ে যাত্রীরা অন্য টানেলে চলে যেতে পারেন তার জন্যই এগুলো বানানো হয়। যেহেতু এই জায়গা বউবাজারের কয়েকশো মিটারের মধ্যে তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার বাড়ির বাসিন্দা, দোকান এবং অফিসকে ধাপে ধাপে বন্ধ করতে বলে মেট্রো। লোক সরানো হয় দুর্গা পিতুরি লেনের। সেখানেও মাটির নিচে কাজ করা হয়। কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাসিন্দারা ফিরছেন বাড়িতে। অফিস এবং দোকানও আস্তে আস্তে খুলছে। দোকানে কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানাচ্ছেন দোকান মালিকরা।

প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল এসপ্ল্যানেড এবং শিয়ালদহের মধ্যে আটটি ক্রস-প্যাসেজ তৈরি করা, প্রতিটি ২৫০মিটার দূরে। এর মধ্যে একটি নির্মাণের ফলে ২০২২ সালে একটি দুর্ঘটনা ঘটে।এখন, পাঁচটি ক্রস-প্যাসেজ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের দুজনের মধ্যে দূরত্ব হবে ২৫০ মিটারের পরিবর্তে ২৭৫ মিটার। সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।নিরাপত্তার ক্রস প্যাসেজেই মরণফাঁদ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জোড়া সুড়ঙ্গের কোনও একটায় কোনও রকম বিপত্তি ঘটলে যাত্রীদের যাতে দ্রুত বার করে আনা সম্ভব হয়, তার জন্য দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে এমন ক্রস প্যাসেজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মোট আটটি এমন প্যাসেজের মধ্যে তিনটি প্যাসেজ তৈরিতেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি ছিল। তা নিয়ে সবচেয়ে চিন্তায় ছিলেন কেএমআরসিএল-এর প্রযুক্তিবিদরা। নির্মাণকারী সংস্থার প্রকল্প অধিকর্তা রুপক সরকার জানিয়েছেন, যেখানে জিওলজিকাল কারণে বিপদ লুকিয়ে ছিল আর অধিকাংশ আমরা পেরিয়ে এসেছি। আপাতত বাকি এভাকুয়েশন শ্যাফট বানানো। সেই কাজ করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে ধাপে ধাপে সেই কাজ সম্পন্ন হবে।