Tag Archives: CAB League

Wriddhiman Saha: বিতর্ক অতীত! মনোমালিন্য মিটিয়ে ঋদ্ধিমানকে বুকে জড়ালেন সিএবি কর্তা দেবব্রত দাস, তারপর যা হল

কলকাতা: “মেলালেন তিনি মেলালেন..” তিনি আসলে ‘ক্রিকেট২। ২২ গজের এই খেল অনেক বিতর্ক থামিয়ে দিয়েছে কয়েক মুহূর্তে, অনেক মনোমালিন্য থেকে দূরত্ব মিটিয়ে দিয়েছে বহুবার। আরো একবার সেই ক্রিকেটের হাত ধরে বিতর্কের অবসান। স্থান- বাংলার ক্রিকেট। অতীতের বিতর্ক ভুলে কাছাকাছি ক্রিকেটার ও কর্তা। বাংলা ক্রিকেটের বিতর্কিত অধ্যায়ের অবশেষে অবসান বলাই যায়। ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা আর কর্তা দেবব্রত দাস। অতীতের বিতর্ক ভুলে এক ফ্রেমে ঋদ্ধিমান ও সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস।

দু’জন দু’জনের সঙ্গে দেখা হতেই ঋদ্ধিমানকে জড়িয়ে ধরলেন দেবব্রত দাস। বিতর্ক মিটিয়ে আগামী বছর নিজের টাউন ক্লাবে ঋদ্ধিমানকে খেলার জন্য প্রস্তাব দিলেন দেবব্রত বাবু। আসলে, বছর দুয়েক আগে দেবব্রত দাসের তাঁকে নিয়ে মন্তব্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। অভিমানে ঋদ্ধি বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। সেই সময়, সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ঋদ্ধিমানের প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বাংলার ক্রিকেট। ঋদ্ধিমান সাহার বাংলার ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেবব্রত দাস। বাংলা ক্রিকেটের প্রতি ঋদ্ধির অবদান কতটা কিংবা দায়বদ্ধতা নেই বলেই কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন দেবু বাবু।

আরও পড়ুন – IMD Thunderstorm Alert: রাতের মধ্যে আবহাওয়ার ভোলবদল, ধেয়ে আসছে প্রবল ঝড়, সঙ্গে বজ্রপাত সহ তুমুল বৃষ্টি, হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় তাণ্ডব

সেই মন্তব্যে অপমানিত ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিএবি যুগ্ম সচিব নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়ায় বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে যান। সেই সময়ে ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন, সেই কর্তা ক্ষমা না চাইলে তিনি আর কখনো বাংলা খেলবেন না। তারপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল। মূলত সিএবি কর্তা সঞ্জয় দাসের উদ্যোগে ফের বাংলায় ফিরেছেন ঋদ্ধি।

বিতর্ক মিটিয়ে নিয়ে ফের সৌহর্দ্যের আবহ ঋদ্ধির সঙ্গে
বিতর্ক মিটিয়ে নিয়ে ফের সৌহর্দ্যের আবহ ঋদ্ধির সঙ্গে

সিএবি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফের বাংলা ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন দেশের হয়ে ৪০ টি টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটার। ইতিমধ্যেই বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে মেদিনীপুরের হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ঋদ্ধি। সেই ম্যাচ শেষেই বিতর্কের অবসান ঘটলো বলা যায়। প্রথম ম্যাচ শেষে টিম বাসে ওঠার সময় সেই দেবব্রত দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ঋদ্ধিমানের। সেই সময় দেবব্রত দাস নিজে থেকেই এগিয়ে গিয়ে ঋদ্ধির সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি ঋদ্ধিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেন বলেই খবর। বেশ কিছুক্ষণ দুজনে হাসিমুখে কথা বলেন।

সূত্রের খবর, দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমান সাহাকে নিজের ক্লাব টাউনের হয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলার প্রস্তাবও দেন। এমনকি মজা করেও তিনি নাকি বলেন, আর্থিক দিক থেকে ভারতের প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটারকে নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। তবে ঋদ্ধি ভালোবাসার টানে রাজি থাকলে এক বছর যেন টাউন ক্লাবে খেলেন। এই সময় ঘটনার সাক্ষী ছিলেন মেদিনীপুর দলের একাধিক ক্রিকেটার সহ মেন্টর লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বিতরকের অবসানের মুহূর্তে সব ক্রিকেটারই নাকি হাততালিও দিয়ে ওঠেন এই মিলনের দৃশ্য দেখে। সবমিলিয়ে নিঃসন্দেহে বলাই যায়, মেলালেন তিনি-ই মেলালেন।

Eron Roy Burman