পশ্চিম বর্ধমান, ব্যবসা-বাণিজ্য Bank Fraud Alert : নতুন চেক বইয়ের আবেদন করেছেন নাকি? খুব সাবধান ! যা হচ্ছে শুনলে চমকে যাবেন… Gallery August 23, 2024 Bangla Digital Desk ব্যাঙ্ক থেকে নতুন চেক বইয়ের আবেদন করেছেন নাকি? তাড়াতাড়ি সাবধান হয়ে যান। যে কোনও সময় হতে পারে বড় বিপদ। নতুন চেক বইয়ের আবেদন করে মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন দুর্গাপুরের এক মহিলা। হাতে নতুন চেক বই পাননি। অথচ তার আগেই সেই চেক বই ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব দেড় লক্ষ টাকা। দুর্গাপুরের বাসিন্দা স্বাগতা তিওয়ারি। বাবা রবীন্দ্রনাথ তিওয়ারির সঙ্গে যৌথভাবে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। স্বাগতা দেবী এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না। ১৬ বছর ধরে ওই ব্যাঙ্কেই তার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত ১২ আগস্ট তিনি নতুন চেক বইয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে সেই চেক বইটি আনডেলিভার হয়ে ব্যাংকে ফিরে যায়। যদিও পরে ব্যাংক থেকে সেই চেক বই সংগ্রহের জন্য ফোন আসে। আর তখনই চোখ কপালে ওঠে স্বাগতাদেবীর। স্বাগত দেবী দেখেন, তার অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। ব্যাংকে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তার নতুন চেক বই ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রথমে ব্যাঙ্ক থেকে বিশেষ ভাবে স্বাগতা দেবীর সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি বলেই অভিযোগ। পরে তাদের চাপাচাপিতে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখান। সেখানে দেখা যায় এক যুবক তার চেক বই ব্যবহার করে তার সই নকল করে টাকা তুলেছেন।দেখা গিয়েছে, যে যুবক টাকা তুলেছেন, তার নাম কমলেশ মারান্ডি। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বাসিন্দা। সই নকল করে স্বাগতা তিওয়ারির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। আর এখানেই নানা প্রশ্ন তুলছেন স্বাগতা দেবী। বলছেন, যেখানে চেক বইয়ের সই পুরোপুরি মিলছে না অথবা অপরিচিত কেউ এসে এতটা পরিমাণ টাকা তুলছে, সেখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কেন সাবধান হল না? কিভাবে ডেলিভারি না হওয়া চেক বই তার কাছে গেল? কেনই বা ব্যাঙ্কের তরফ থেকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ফোন করা হয়নি? ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে স্বাগতা তিওয়ারি দুর্গাপুর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের তরফ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছে। যদিও প্রতারিত মহিলা অভিযোগ করছেন, ব্যাংকের এক মহিলা কর্মচারী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তাছাড়াও প্রতারক যুবকের সঙ্গে ব্যাংকের কোনও কর্মীর যোগসাজস থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এটিএম কার্ড অথবা অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার একাধিক ঘটনার সামনে এসেছে। কখনও ফোন করে অথবা ওটিপি হাতিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। কিন্তু নতুন চেকবই ব্যবহার করে এই প্রতারণা রীতিমত চিন্তা বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। কারণ চেক বই সুরক্ষিত লেনদেন বলে সবাই মনে করেন। সেখানেও এইভাবে প্রতারকদের হানা দেওয়া যথেষ্ট চিন্তার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও।