Tag Archives: Chhatisgarh

রেলস্টেশনে রমরমিয়ে গাঁজার ব্যবসা ! গ্রেফতার GRP-এর ৪ কনস্টেবল, বিলাসপুরে শোরগোল

উমেশ মৌর্য, বিলাসপুর: সরষের মধ্যেই ভূত। বিলাসপুর রেলওয়ে স্টেশনেই রমরমিয়ে চলছিল গাঁজার ব্যবসা। একদম জিআরপি-এর নাকের ডগায়। খদ্দের আসছে, বিক্রিবাটা চলছে। এমনকী পাচারও হচ্ছে। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। কীভাবে? অবশেষে সামনে এল আসল সত্যি।

২০ অক্টোবর বিলাসপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জব্বলপুরের বাসিন্দা যোগেশ সান্ধিয়া এবং ছত্রকূটের রোহিত দ্বিবেদীকে আটক করে জিআরপি। যোগেশের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। যোগেশ গাঁজা বিক্রি করত। রোহিত গাঁজা কিনতে এসেছিল। এরপর পুলিশের সদর দফতর থেকে মামলার তদন্তের জন্য বিলাসপুরের এসসি অফিসে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন– পাজামা-পাঞ্জাবি ছেড়ে বিদেশের মাটিতে ‘নিউ লুক’ সুকান্ত‌ মজুমদারের

বিলাসপুরের এসপি হলেন রজনীশ সিং। তাঁর নির্দেশে সাইবার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গাঁজা পাচারের অভিযোগ ধৃত যোগেশ সান্ধিয়া ও রোহিত দ্বিবেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তখনই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরয়। জানা যায়, যোগেশরা ঘুঁটি মাত্র। তাদের মদত দিচ্ছে জিআরপি-এর চার কনস্টেবল। তাদের ছত্রছায়াতেই রেলস্টেশনে চুটিয়ে গাঁজার ব্যবসা করছিল তাঁরা।

জিজ্ঞাসাবাদে যোগেশ জানান, গত এক বছর ধরে তিনি শহরের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। জিআরপি থানার কনস্টেবল লক্ষ্মণ গাইন, সৌরভ নাগবংশী, সন্তোষ রাঠোর এবং মান্নু প্রজাপতির কথাতেই সে ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে আসত। তারপর তাঁদের নজরদারিতে রেলস্টেশনে বিক্রি করত। বিক্রির পুরো টাকাই তুলে দিত ৪ কনস্টেবলের হাতে।

আরও পড়ুন- রীতিমতো ফাঁদ পেতে এটিএম থেকে টাকা চুরি! প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের জালে বাবা-ছেলে

এই খবর সামনে আসতেই জিআরপি মহলে শোরগোল পড়ে যায়। অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ চার কনস্টেবলকে এনডিপিএস আইনে গ্রেফতার করে। এরপর তাঁদের আদালতে পেশ করা হ্য়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই কনস্টেবলকে হেফাজতে চায় পুলিশ। সেই আবেদন মেনে কনস্টেবল সন্তোষ রাঠোর এবং লক্ষ্মণ গাইনকে একদিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকি দুই কনস্টেবল অর্থাৎ সৌরভ নাগবংশী এবং মান্নু প্রজাপতিকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বিলাসপুরের রজনীশ সিং বলেন, “২৪ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে। বিলাসপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুই যুবককে গাঁজা-সহ গ্রেফতার করা হয়। এদের ভালভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গোয়েন্দা বিভাগ থেকে ইনপুট ছিল কারণ জিআরপি-এর কর্মচারীও এতে জড়িত থাকতে পারে। ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা থেকে গাঁজা আসত। দু’জন কামরা থেকে গাঁজা নিয়ে যেত। জিআরপি কর্মীরা সাহায্য করত। তারপর তাঁদের সাহায্যেই গাঁজা বিক্রি করত। জিআরপি-এর চার কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে এই কারবার চালাচ্ছিল তাঁরা। পুরো ঘটনা জিআরপি থেকে বিলাসপুর পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।”