Tag Archives: chicken eggs

Explainer: সুপারফুড ডিম! কেন খাবেন, ক’টা খাবেন, কখন খাবেন না, জেনে নিন খুঁটিনাটি

কলকাতা: সাদা খোলের ভিতর থেকে উঁকি দেওয়া লালচে হলুদ কুসুম। ছোটবেলা থেকে এইটুকু দেখেই আপ্লুত হয় মানুষ।

ডিম

মূলত হাঁস বা মুরগির ডিমই খেতে অভ্যস্ত যেকোনও মানুষ। এই ডিম আসলে একটি সুপারফুড। শিশু এবং বয়স্কদের জন্য খুবই উপকারী। মানব শরীরের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান যেমন- ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে ডিমে। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে ডিম রাখা জরুরি।

আরও পড়ুন- সিংহ রাশি; দেখে নিন চলতি বছরে আপনার রাশিফল নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

সাধারণত একজন সুস্থ মানুষ দিনে দু’তিনটি ডিম খেতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি ডিমে প্রায় ৭-৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তিনটি ডিম প্রায় ২৪ গ্রাম প্রোটিনের জোগান দেয়।

শিশুদের বিকাশে ডিম খুবই উপকারী। প্রোটিন, জিঙ্ক শিশু-মস্তিষ্কের বিকাশে, হাড় মজবুত করতে অপরিহার্য। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ডিম।

ডিম যদিও যেকোনও সময় খাওয়া যায়। তবে প্রাতঃরাশে ডিম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার। কারণ এই সময় পরিপাকতন্ত্র খুব ভাল কাজ করে, ডিম সহজে হজম হয়।

কিন্তু সেক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কয়েকটি কথা—

১. বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের সঙ্গে ডিম খাওয়া উচিত নয়। এতে পেট সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

২. ডিম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শর্করা জাতীয় জিনিসও খাওয়া উচিত নয়। এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি হয়। যা রক্ত ​​জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুন– ১৬ দিন পর ১৪ ডিগ্রির ঘরে কলকাতার পারদ, এই ঠান্ডা কতদিন থাকবে? জেনে নিন

৩. তাছাড়া, যাঁরা হজমের সমস্যায় ভোগেন তাঁদেরও বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম হজম হতে সময় নেয়, ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। গ্যাস ও পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও হতে পারে।

৪. যাঁদের উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ডিম এড়িয়ে চলা উচিত, বিশেষত ডিমের কুসুম।

এই ডিম নিয়ে অজানা কিছু তথ্য জেনে রাখা খুব জরুরি। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—

১. রোড আইল্যান্ড রেড জাতের মুরগি বছরে ২৫০ থেকে ৩২০টি ডিম পাড়ে। এটিই সর্বোচ্চ।

ভারতের বনশ্রী জাতের মুরগি বছরে ১৮০ থেকে ১৯০টি ডিম পাড়ে। এরপর গ্রামপ্রিয়া ১৬০-১৮০, নিকোবরি ১৬০-১৮০, কড়কনাথ ১৫০-১৭০টি ডিম দিতে পারে।

২. সারা বিশ্বে ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদিত হয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চিন এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। ২০২২ সালে, ভারত ডিম উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছিল।

৩. ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ডিম উৎপাদনে এগিয়ে। ২০২২ সালে দেশের মোট উৎপাদনের ২০.৪১ শতাংশই ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের। এরপর তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্ণাটকের স্থান।

৪. সারাবিশ্বে সুইজারল্যান্ডে ডিমের দাম সবচেয়ে বেশি। একটি ডিমের দাম ৬.৭৭ ডলার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, একটি ডিমের দাম ৬ ডলার। এরপর ডেনমার্ক ও আমেরিকার স্থান।

৫. ভারতে একটি ডিমের দাম ৫-১৫ টাকা অবধি হতে পারে। দেশি মুরগির ডিমের দাম একটু বেশি। কড়কনাথ মুরগির ডিমের দাম ৬০-১০০ টাকার মধ্যে।