বিবেক দাস, জয়নগর: দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জয়নগরে বালিকার রহসমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র দাস৷ তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে বালিকার নিখোজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরই তাকে উদ্ধার করতে তৎপর হয় পুলিশ৷
কয়েকঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পরই বালিকাকে খুনের কথা জানা যায়৷ মূল অভিযুক্তের যাতে ফাঁসি হয়, পুলিশ সেই চেষ্টাই করবে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা৷
আরও পড়ুন:
শুক্রবার রাতে কুলতলির কৃপাখালির হালদার পাড়া এলাকার একটি ক্ষেতের আলের ভিতর থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়৷ সন্ধে থেকে নিখোঁজ ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কুলতলি৷ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভাঙচুর করে স্থানীয় মহিষমারি পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা৷ স্থানীয়দের আরও ক্ষোভের কারণ, বালিকা নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযোগ জানাতে গেলে কোন থানায় অভিযোগ দায়ের হবে, তা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি শুরু করে কুলতলি এবং জয়নগর থানা৷
যদিও বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র মণ্ডল দাবি করেন, শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ওই বালিকা বাবার দোকানে যায়৷ রাত ৮টা নাগাদ বালিকার বাবা বাড়ি ফিরে শোনেন মেয়ে বাড়ি ফেরেনি৷ এর পর বালিকার খোঁজ শুরু করে পরিবার৷ শুক্রবার রাত ১২.৩০টা নাগাদ অপহরণের মামলা রুজু করা হয়। বালিকার বাবার সঙ্গে ফাঁড়ির এএসআই সবসময় যোগাযোগ রেখেছিলেন। শিশুর দেহ উদ্ধার হয় রাত ২.৫০ নাগাদ। দায় ঠেলাঠেলির কোনও বিষয় নেই। আমরা পরিবারকে পুরো সহযোগিতা করেছি। আমরাও চাই যে অভিযুক্তের ফাঁসি হোক। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও তদন্ত হবে বলে দাবি করেছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি৷
পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ওই বালিকার এক বন্ধুর থেকেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ মেলে৷ এর পর রাতেই মূল অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বালিকাকে খুনের কথা জানা যায়৷ এর পরই ৯ বছরের ওই শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷