Tag Archives: Engineer

Tripura News: বাইরে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের রাজ্যে ফেরার আহ্বান,পরিকাঠামোয় বিশেষ জোড় মানিক সাহার

 আগরতলা: পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তাই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা  জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরার উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও জানান, ‘‘সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরাকে একটা উল্লেখযোগ্য রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ইঞ্জিনিয়ারদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।’’ ইঞ্জিনিয়ার্স দিবস উপলক্ষে আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে এক সেমিনার ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়ে সেই কথা বলেন মানিক সাহা।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতের জের, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ডুবল সড়ক পথ, রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি

এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি৷ সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সাহা বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় গতকাল দুজন বিখ্যাত ক্রিকেটার এসেছিলেন। প্রথমবার এই রাজ্যে এসে তাঁরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। ত্রিপুরা যে এমন একটা সুন্দর জায়গা হতে পারে, সেটা ওনারা ভাবতেই পারেননি। আমি তখন তাঁদের বললাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের ৬টি জাতীয় সড়ক দিয়েছেন। আরোও চারটি জাতীয় সড়ক হতে চলেছে।’’

আরও পড়ুন: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভাঙল আগের সমস্ত রেকর্ড, অটোমোবাইল আনলোডিং অপারেশনে উল্লেখযোগ্য

তিনি অঢেল রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারদের অঢেল প্রশংসা করেছেন৷  ত্রিপুরার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরে প্রবেশ করে মাতাবাড়ি যাওয়ার রাস্তা- এই সবেতেই রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের স্পর্শ।

মানিক সাহা জানান গত উড়িষ্যার নির্বাচনে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ত্রিপুরাযর উন্নয়নের ঢালাও প্রশংসা করেছেন। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য।

মুখ্যমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে বলেন,  ‘‘প্রধানমন্ত্রীর উপর আমাদের অঢেল ভরসা দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এমনিই বলেন নি। আপনারা সেটা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। এনআইটি থেকে শুরু করে পলিটেকনিক কলেজ বা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আপনাদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’’

কেবল দেশে নয় বিদেশেও দেশ ও রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করছেন তাঁরা।          মানিক সাহা উদ্বোধনী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘‘ইচ্ছা শক্তি থাকলে অনেক কিছু করা যায়। যে সরকারই থাকুক না কেন। সদিচ্ছা থাকলে যে কোনও কাজ আদায় করা যায়।’’

ত্রিপুরায় পলিটেকনিক কলেজে ড্রোন সেন্টার খোলা হয়েছে। তিনি জানান, ‘‘গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে আমাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার মাধ্যমে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে।’’

এবারে ত্রিপুরা বাজেটেও পরিকাঠামো উন্নয়নে বিপুল সংখ্যক অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিকাঠামোর উন্নয়ন না হলে বিনিয়োগকারীরাও আসবেন না। সেই জন্যই এই উদ্যোগ৷

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ড. এম বিশ্বেশ্বরাইয়া দক্ষিণ ভারতে সেচ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি সাধন করেছিলেন। এজন্য তাঁকে মানুষ স্মরণ করেন। স্বয়ংক্রিয় ওয়াটার ফ্লাড গেইটগুলির সিস্টেম ডিজাইন ও প্যাটার্ন করার ক্ষেত্রে ওনার অবদান আজকের দিনেও সবাই মনে রেখেছেন।

১৯০৩ সালে পুনের এক জলাধারে এই সিস্টেম স্থাপন করেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে গোয়ালিয়র ও কর্ণাটকে এমন প্রকল্প রূপায়ণ করেছেন। তাঁর জন্য আজকে আমরা সুফল পাচ্ছি।

বিহারে গঙ্গা নদীর উপর মোকামা সেতু নির্মাণেও তাঁরই অবদান ছিল। এছাড়া তিরুমালা ও তিরুপতির মধ্যে সড়ক নির্মাণও তিনি করেছিলেন। তিনি আরও জানান, তাঁর সময়ে ব্যাঙ্গালোরে প্রেস ক্লাব ও ব্যাংকও স্থাপন হয়েছিল।

ত্রিপুরার যে ছেলেমেয়েরা রাজ্যের বাইরে আছেন, তাঁদের রাজ্যে ফিরে আসারও আহ্বান করেন মানিক সাহা।