ব্যবসা-বাণিজ্য EPFO Rules: EPF অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুললে কি ট্যাক্স দিতে হবে? কী নিয়ম রয়েছে দেখুন Gallery April 24, 2024 Bangla Digital Desk এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড হল রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট স্কিম। ভারতের সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য এই স্কিম তৈরি করা হয়েছে। এখানে কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়েই প্রতি মাসে কর্মীর মূল বেতন এবং মহার্ঘ্য ভাতার একটা নির্দিষ্ট অংশ জমা করতে হয়। এখন কেউ যদি ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন, তাহলে তাঁকে কি কর দিতে হবে? এটা নির্ভর করে প্রত্যাহারের কারণ এবং সময়ের উপর। পাঁচ বছরের আগে: পাঁচ বছরের আগে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুললে কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী ট্যাক্স দেওয়াই নিয়ম। পাঁচ বছর পর: একটানা পাঁচ বছর ইপিএফ অ্যাকাউন্ট চালিয়ে যাওয়ার পর টাকা প্রত্যাহার করলে কোনও রকম ট্যাক্স দিতে হবে না। টিডিএস: যদি প্যান কার্ড জমা দেওয়া হয় এবং টাকা তোলার পরিমাণ ৫০ হাজারের বেশি হয়, তাহলে ১০ শতাংশ হারে টিডিএস কাটা হয়। তবে ফর্ম ১৫জি বা ১৫এইচ জমা দিয়ে টিডিএস এড়ানো যেতে পারে। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি: অসুস্থতা, ব্যবসা বন্ধ বা কর্মচারীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে এমন কোনও কারণে পাঁচ বছরের আগে প্রত্যাহার করে নিলে কর দিতে হয় না। কখন ইপিএফ প্রত্যাহারে কর দিতে হয়, সেটা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ। অনুমোদিত নয় এমন অ্যাকাউন্ট: আয়কর কমিশনার দ্বারা অনুমোদিত নয়, এমন এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তুললে কর দিতে হবে। স্বীকৃত থেকে অস্বীকৃত তহবিলে স্থানান্তর; যদি কোনও কর্মী তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্ট স্বীকৃত তহবিল থেকে অস্বীকৃত তহবিলে স্থানান্তর করেন তাহলে স্থানান্তরের পরিমাণ করযোগ্য হয়ে যায়। কর্মীর ৫৮ বছর বয়স হলে বা অবসর নেওয়ার পর ইপিএফ থেকে টাকা তুললে, সেই পরিমাণ সম্পূর্ণ করমুক্ত। পাশাপাশি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে আংশিক প্রত্যাহারেও কর দিতে হয় না। যেমন কর্মী যদি চিকিৎসা, বিবাহ, শিক্ষা, বা হোম লোন পরিশোধের মতো কিছু কারণে ইপিএফ থেকে আংশিক প্রত্যাহার করেন, তাহলে ছাড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ এ সব ক্ষেত্রে আংশিক উত্তোলন শর্তসাপেক্ষে করমুক্ত।
ব্যবসা-বাণিজ্য আপনার অফিস ঠিক মতো টাকা জমা করছে তো EPF অ্যাকাউন্টে? কী করে বুঝবেন জেনে নিন এখনই Gallery March 7, 2024 Bangla Digital Desk সরকারি যে সব বিনিয়োগ পদ্ধতি, তা সব সময়েই সম্পূর্ণ নিরাপদ। কেন না, তাতে টাকা হারানোর ভয় থাকে না। আর কেউ যদি নিজে থেকে বিনিয়োগের ঝক্কি পোহাতে না চান এবং চাকরিজীবী হয়ে থাকেন, তাহলে ইপিএফ বা এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড একেবারে আদর্শ। কর্তৃপক্ষই এক্ষেত্রে বেতনের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা করে দেয় ইপিএফ অ্যাকাউন্টে, ফলে, আলাদা করে বিনিয়োগের টাকা বের করতে হয় না। এবার এটা কী করে বোঝা যাবে যে কর্তৃপক্ষ ইপিএফ অ্যাকাউন্টে ঠিক ভাবে নিয়ম করে প্রতি মাসে টাকা জমা করছে? বেতনের পে স্লিপে তার উল্লেখ থাকবে বটে, দেখা যাবে জমা করা রাশিও। এছাড়াও এই অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার আরেকটা সহজ উপায় রয়েছে, এক নজরে তা দেখে নেওয়া যাক। তাহলেই বোঝা যাবে প্রতি মাসে টাকা জমা পড়ছে কি না। অনলাইনে কেউ যদি তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়েছে তা দেখতে চান, তাহলে সবার আগে যেতে হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে, তার ঠিকানা হল- https://www.epfindia.gov.in/site_en/index.php ইপিএফ অ্যাকাউন্ট যাঁদের আছে, সেই সব কর্মীদের একটা এই সংক্রান্ত নম্বর থাকে। একে বলা হয় ইউএএন নম্বর, পুরো কথাটা হল ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর। ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, তা দেখার জন্য এই ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর অ্যাক্টিভেট করে নিতে হবে। সাইটটি খোলার পর যেতে হবে ‘Our Services’ ট্যাবে। এবার এখানে ড্রপ ডাউন মেনু থেকে বেছে নিতে হবে ‘for employees’ অপশন।সার্ভিস কলামের নিচে ‘member passbook’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই পেজে এসে ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তার পরে ক্যাপচা কোড এন্টার করে লগ ইন করে নিতে হবে। লগ ইন করার পরে দিতে হবে মেম্বার আইডি। ব্যস, এবার ইপিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে, সেই অঙ্কটা দেখা যাবে।