ব্যবসা-বাণিজ্য অবসরের পর EPFO থেকে কত টাকা পেনশন পাবেন? এই ফর্মুলা মিলিয়ে দেখে নিন পুরো হিসেব Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk বেসরকারি চাকরিজীবীদের পেনশন দেয় ইপিএফও। এর নাম কর্মচারী পেনশন স্কিম বা ইপিএস। সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের প্রতি মাসে বেসিক এবং ডিএ-এর ১২ শতাংশ ইপিএফে জমা করা হয়। একই পরিমাণ জমা করেন নিয়োগকর্তাও। তবে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানির শেয়ার দুইভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ ইপিএফ স্কিমে এবং ৩.৬৭ শতাংশ ইপিএফে যায়। ইপিএস স্কিমে পেনশন পেতে হলে ন্যূনতম ১০ বছর অবদান রাখতে হবে। সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য পরিষেবা ৩৫ বছরের হয়। এখন প্রশ্ন হল, অবসর গ্রহণের পর কত টাকা পেনশন মিলবে জানা যাবে কীভাবে? পেনশন গণনার একটা ফর্মুলা রয়েছে। সেটা হল – ইপিএস = গড় বেতন x পেনশনযোগ্য পরিষেবা/৭০। গড় বেতন মানে মূল বেতন এবং ডিএ, যা বিগত ১২ মাসের ভিত্তিতে গণনা করা হয়। সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য পরিষেবা ৩৫ বছর। পেনশনযোগ্য বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। প্রতি মাসে পেনশনের সর্বাধিক পরিমাণ ১৫০০০x৮.৩৩ = ১২৫০ টাকা হয়। এখন সর্বোচ্চ অবদান এবং সর্বোচ্চ পেনশনযোগ্য পরিষেবার উপর ভিত্তি করে ইপিএস পেনশন গণনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে – ইপিএস = ১৫০০০x৩৫/৭০। অর্থাৎ প্রতি মাসে ৭৫০০ টাকা। এভাবে ইপিএফে সর্বোচ্চ পেনশন ৭৫০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন পেনশন ১০০০ টাকা নেওয়া হয়। এই ফর্মুলার মাধ্যমে যে কেউ নিজের পেনশন গণনা করতে পারেন। ইপিএসের এই ফর্মুলা ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বরের পর সংগঠিত ক্ষেত্রে যুক্ত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য। এই সময়ের আগের কর্মচারীদের জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে। অন্য দিকে, কর্মচারী সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে বর্তমান মজুরি কাঠামো এবং মূল্যস্ফীতির কথা মাথায় রেখে পেনশনের গড় বেতনের সর্বোচ্চ সীমা বাড়ানো হোক। উল্লেখ্য, ইপিএসের নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মী ৫৮ বছর বয়সে পেনশন তুলতে পারেন। তবে চাইলে এর আগেও পেনশন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। এর জন্য ‘আর্লি পেনশন’ প্ল্যান বাছতে হবে। এই প্ল্যানের আওতায় ৫০ বছর বয়সের পর পেনশন তোলা যায়। তবে এক্ষেত্রে পেনশনের পরিমাণ ৪ শতাংশ কমে যাবে। ধরা যাক, কেউ ৫৬ বছর বয়সে মাসিক পেনশন তুলতে শুরু করলেন। তাহলে তিনি মূল পেনশনের ৯২ শতাংশ পাবেন। আবার যদি কেউ ৫৮ বছর বয়সের বদলে ৫০ বছর বয়সে পেনশন নেন তাহলে তিনি পেনশনের পরিমাণের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি অর্থ পাবেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য EPFO থেকে ৮ শতাংশের বেশি হারে পেনশন পেতে পারেন, শুধু এই কাজটা আপনাকে করতে হবে Gallery July 2, 2024 Bangla Digital Desk কোনও কর্মী টানা ১০ বছর ইপিএফও-তে অবদান রাখলে তিনি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। এই পেনশন ৫৮ বছর বয়সে পাওয়া যায়। গ্রাহক পেনশন ফান্ডে কত বছর ধরে অবদান রাখছেন, অবসর গ্রহণের আগের ৬০ মাসের গড় বেতন ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে অনুপাতের ভিত্তিতে কর্মীর পেনশন গণনা করা হয়। ৫৯ বছর বয়সের আগেও পেনশন পাওয়া যায়। ইপিএফও কর্মীকে ৫০ থেকে ৫৮ বছর বয়সের মধ্যে পেনশন নেওয়ার সুবিধা দেয়। এর জন্য রয়েছে প্রারম্ভিক পেনশনের বিকল্প। তবে এই ক্ষেত্রে কর্মীকে কম হারে পেনশন দেওয়া হবে। তবে একটা উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে যে কোনও কর্মচারী ইপিএফও থেকে ৮ শতাংশের বেশি হারে পেনশন নিতে পারেন। অনেকেই এই বিষয়টা জানেন না। ইপিএফও-র নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত ৫৮ বছর বয়স হলে পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু কর্মচারী যদি ৫৮ বছর বয়সের পরেও চাকরি করেন, তাহলে আরও দুই বছর অর্থাৎ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি পেনশন পিছিয়ে দিতে পারেন। এবং ততদিন পর্যন্ত পেনশন তহবিলে অবদান রাখাও যায়। এই পরিস্থিতিতে কর্মচারীকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৪ শতাংশ হারে পেনশন দেওয়া হয়। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা বোঝা যাবে। ৫৯ বছর বয়সে কেউ যদি পেনশন নেন, তাঁকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ হারে এবং ৬০ বছর বয়সে নিলে অতিরিক্ত ৮ শতাংশ হারে পেনশন দেওয়া হবে। এই অবস্থায় পেনশন গণনা করতে ৫৮ বছরের পরের বেতন পেনশন ফান্ডে অবদান দেখা হয়। বয়স ৫০ থেকে ৫৮ বছর হলেই প্রাথমিক পেনশনের দাবি করা যায়। কিন্তু তাড়াতাড়ি টাকা তুললে পেনশন প্রতি বছর ৪ শতাংশ হারে হ্রাস পায়। ধরা যাক একজন ইপিএফও সদস্য ৫৬ বছর বয়সে মাসিক পেনশন তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাহলে তিনি পেনশনের মোট পরিমাণের ৯২ শতাংশ (১০০ শতাংশ – ২x৪) পাবেন। এর সঙ্গে কম্পোজিট ক্লেম ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবার যদি কেউ ১০ বছর চাকরি করেন কিন্তু বয়স ৫০ বছরের কম হয়, তাহলে তিনি পেনশনের দাবি করতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে চাকরি ছাড়ার পর তিনি কেবল ইপিএফে জমা টাকা পাবেন। একমাত্র ৫৮ বছর বয়স হলেই পেনশন দেওয়া হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য আপনার PF অ্যাকাউন্ট আছে? জানেন কি ঠিক কতটা পেনশন পাবেন? Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিল সংস্থা (EPFO) অবসরকালীন সঞ্চয় প্রচারের মাধ্যমে কর্মীদের আর্থিক ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং EPFO আর্থিক নিরাপত্তার জন্য এই ৫টি মূল জিনিস জানতে হবে। পেনশনের জন্য যোগ্যতা: এটি ন্যূনতম পরিষেবার মেয়াদ, বয়সের পূর্বশর্ত এবং প্রারম্ভিক বা স্থগিত পেনশন সম্পর্কিত পছন্দগুলির মতো মানদণ্ডগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। পেনশনের পরিমাণের হিসাব: EPFO কীভাবে বেতন, কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের কাছ থেকে অবদান এবং পরিষেবার দৈর্ঘ্যের মতো উপাদানগুলি পেনশনের পরিমাণকে প্রভাবিত করে, সেই সম্পর্কে স্পষ্টতা প্রদান করতে পারে। অন্যান্য সুবিধা: এটা সম্ভব যে EPFO সারভাইভার বেনিফিট, প্রত্যাহারের বিকল্প, বা মনোনয়নের পদ্ধতি সম্পর্কিত নিয়মগুলি স্পষ্ট করে দিয়েছে। অনেক EPFO অ্যাকাউন্ট হোল্ডার জানেন না যে, কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য অবদান রাখলে, একজন কর্মচারী ৫৮ বছর বয়সে পেনশনের জন্য যোগ্য হয়ে ওঠেন। EPFO পেনশন দাবি বিলম্বিত করার জন্য একটি প্রণোদনা প্রদান করে। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে প্রতি বছরের জন্য ৮% পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই পছন্দটি সম্ভাব্যভাবে একটি বৃহত্তর পেনশন তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম করে, যার ফলে অবসর গ্রহণের সময় একটি উচ্চতর মাসিক পেআউট হয়। কর্মচারী পেনশন স্কিম (EPS): ৮.৩৩% EPS-এ বরাদ্দ করা হয়, যা অবসর গ্রহণের পরে কর্মচারীকে পেনশন সুবিধা প্রদান করে। ভবিষ্য তহবিল (পিএফ): অবশিষ্ট ৩.৬৭% ইপিএফ-এও নির্দেশিত হয়, যা কর্মচারীর জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধি করে। সদস্যরা ৫০ বছর বয়স থেকে প্রারম্ভিক পেনশনের জন্য অনুরোধ করতে পারেন, যদি তাঁরা কমপক্ষে ১০ বছর চাকরি করেন। যাই হোক, প্রাথমিক পেনশন বেছে নেওয়ার ফলে পেনশনের পরিমাণ কমে যায়। উপরন্তু, কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ১২% এর বেশি তাদের PF-এ স্বেচ্ছায় অবদান রাখতে বেছে নিতে পারেন। তা সত্ত্বেও, নিয়োগকর্তাদের বাধ্যতামূলক ১২%-এর বেশি অবদানের সঙ্গে মেলাতে হবে না। কর্মচারীদের পেনশন সুবিধাগুলি উপলব্ধি করতে এবং কৌশলগতভাবে পরিকল্পনা করার জন্য EPFO-এর ব্যাখ্যাগুলি বোঝা অপরিহার্য। অবদানের কাঠামো, পেনশনের যোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া কর্মচারীদের তাঁদের ভবিষ্যৎ সুবিধাগুলি প্রজেক্ট করতে এবং অতিরিক্ত সঞ্চয় প্রয়োজন কি না তা নির্ধারণ করতে সক্ষম করে। পেনশন বিলম্বিত করার সুবিধাগুলি জানা কর্মচারীদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে যে, উচ্চতর অর্থ প্রদানের জন্য স্থগিত করা তাঁদের আর্থিক উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। ব্যক্তিগত সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের পাশাপাশি EPFO সুবিধাগুলি দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করা নিরাপদ অবসরে ব্যাপকভাবে অবদান রাখতে পারে।