#দোহা: চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন জাপানের কাছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির পরাজয়। এই পরাজয়ের ফলে নক আউটে যেতে হলে রবিবার স্পেনকে হারাতেই হবে জার্মানিকে। অন্যদিকে, স্পেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৭-০ গোলে পর্যদুস্ত করেছে কস্টারিকাকে। ফলে আত্মবিশ্বাসী ও উজ্জীবিত স্পেনকে হারানো যে মোটেই সহজ হবে তা ভালো করেই জানেন জার্মান কোচ হানসি ফ্লিক।
স্পেনের বিরুদ্ধে হারলেই গত বিশ্বকাপের মত কাতার বিশ্বকাপেও প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেবে জার্মানি। ২০১৮ সালের আগে ১৯৩৮ সালে শেষবার জার্মানি প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছিল। রবিবার হারলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের জন্য পরপর দুটি ম্যাচ হারার রেকর্ড করবে বেকেনবাওয়ারের দেশ।
আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার মেক্সিকো জয়ের রঙিন মুহূর্তের বিভিন্ন ছবি দেখুন! আবেগ সামলাতে পারবেন না
কোচ হ্যান্সি ফ্লিক মনে করছেন ফুটবলারদের নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখাই দলের সাফল্যের চাবিকাঠি। স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ফ্লিক সংবাদমাধ্যমে জানান, দল হিসেবে ও ব্যক্তিগতভাবেও খেলোয়াড়দের সবসময় উন্নতি করতে হয়, এই কারণেই দলের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, যা তারা এই মুহূর্তে দিতে পারছে না।
যদিও আমি বিশ্বাস করি, আমরা উন্নত মানের ফুটবল খেলি। আমরা দলকে বিশ্বাস করি, আমরা ইতিবাচক আছি, রবিবার স্পেনের বিরুদ্ধে আমরা ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই মাঠে নামব। এই দুই ইউরোপের দেশ প্রচুরবার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। তাই একে অন্যের খেলার শৈলী ও কৌশল ভাল করেই জানে।
? Si el buen ambiente y el trabajo duro se pudiesen expresar por medio de fotografías, yo creo que sería más o menos así.#VamosEspaña | #Catar2022 pic.twitter.com/8eSBUeDCD1
— Selección Española de Fútbol (@SEFutbol) November 26, 2022
অন্যদিকে, কস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রায় ৮২% বল পজিশন রেখে বিশ্বকাপে নতুন নজির সৃষ্টি করেছে স্পেন। ফিরে এসেছে পুরনো তিকিতাকা। কস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ গোলে জয় বিশ্বকাপে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। শেষ সাতবার জার্মানদের সঙ্গে সাক্ষাতে একটি ম্যাচ হেরেছে স্পেন। লুইস এনরিক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কস্টারিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ে আত্মতুষ্ট নয় দল।
স্পেনের এবারের দল অনেক তরুণ। কিন্তু লুইস এনরিকের তত্ত্বাবধানে তারা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে। কোচ ছেলেদের উপরে একেবারেই চাপ আসতে দিচ্ছেন না। পেড্রি, গাভি, ফেরান তোরেস দুরন্ত খেলছেন স্পেনের হয়ে। অন্যদিকে জার্মানি কতটা লড়াই করে সেটা অনেকটা নির্ভর করছে জামাল মুসিয়ালা এবং কিমিচের খেলার ওপর।