ব্যবসা-বাণিজ্য স্ত্রী বা বান্ধবীকে সোনা, রুপো বা প্ল্যাটিনামের গয়না উপহার দিচ্ছেন? বাজেটের পর দাম কত কমল দেখুন Gallery July 23, 2024 Bangla Digital Desk মঙ্গলবার বাজেটে সোনা এবং রুপোয় আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশাপাশি প্ল্যাটিনামের আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে খুব শীঘ্রই দাম বেশ কিছুটা কমতে চলেছে সোনা, রুপো বা প্ল্যাটিনামের গয়নার। এদিন বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, “সোনা-রুপোর মতো মূল্যবান ধাতুর গয়নায় ঘরোয়া ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়াতে সোনা ও রুপোয় আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৬ শতাংশ এবং প্ল্যাটিনামে ৬.৪ শতাংশ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’’ বাজেটে সোনা, রুপো ও প্ল্যাটিনামের গয়নায় ঘোষণা: সোনার মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। গোল্ড ব্রিক – আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে। রুপোর মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সিলভার ব্রিক – আমদানি শুল্ক ১৪.৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে ৫.৩৫ শতাংশে। প্ল্যাটিনাম, প্যালাডিয়াম, অসমিয়াম, রুথেনিয়াম, ইরিডিয়াম – আমদানি শুল্ক ১৫.৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে। মূল্যবান ধাতব মুদ্রা – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। সোনা, রুপোর গয়না – আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৬ শতাংশ। সোনা, রুপোর দাম কত কমতে পারে: এই ছাড়কে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করলে বলতে হয়, আজ ২২ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৭,৫১০ টাকা, এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত রয়েছে। এখন শুল্ক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনায় দাম পড়বে ৬২ হাজার টাকা। অর্থাৎ বাজেটের এই ঘোষণার ফলে ১০ গ্রাম সোনার গয়না ৫ হাজার টাকা সস্তা হল। এক কেজি রুপোর দাম ৮৮,৯৮৩ টাকা। এর উপরেও ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক অনুযায়ী ১২ হাজার টাকা ট্যাক্স প্রযোজ্য হয়। এখন আমদানি শুল্ক ৬ শতাংশে নেমে আসায় দাম ৭ হাজার টাকা কম পড়বে। অন্য দিকে, ১৫.৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক সহ ২৫,৫২০ টাকা, বাজেট ঘোষণার পর এই দাম ২ হাজার টাকা কমবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Gold: সোনার গয়না নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, জারি বিজ্ঞপ্তি Gallery June 12, 2024 Bangla Digital Desk সোনা আমদানি নিয়ে আরও কড়া হল কেন্দ্র সরকার। সোনার গয়না নিয়ে আসতে গেলে এবার থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডিজিএফটি জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মুক্তো, নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের হীরে এবং মূল্যবান পাথর খচিত সোনার গয়না কেনা এবং ভারতে আনার ক্ষেত্রে আমদানি নীতি ‘মুক্ত থেকে সীমাবদ্ধ’ করা হচ্ছে। সীমাবদ্ধ বিভাগের পণ্য আমদানি করতে সরকারের অনুমতি বা লাইসেন্স প্রয়োজন। সোনার উপর আমদানি ট্যাক্স: সোনা এবং রুপোর বারে এখন থেকে ১৫ শতাংশ আমদানি কর ধার্য করা হয়েছে। আগে ১১ শতাংশ ছিল। সোনা ও রুপোর বারের সঙ্গে সোনা এবং রুপোর মুদ্রায় এইচএসএন কোডে পার্থক্যের কারণে বারের বদলে মুদ্রা আকারে সোনা ও রুপো আমদানি করত অনেকেই। এবার সেই রাস্তাও বন্ধ করে দিচ্ছে সরকার। কেন হঠাৎ নিয়ম বদল? FTA আছে এমন দেশ থেকে সোনা আমদানির পরিমাণ আচমকাই বেড়ে যায়। এই নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্র সরকার। তাই তড়িঘড়ি নিয়ম বদল করা হল। সোনার গয়না আমদানিতে কড়াকড়ি: নতুন নিয়মে সোনার গয়না আমদানিতে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। ৫ ধরনের গয়না আমদানির ক্ষেত্রে এই অনুমোদন প্রয়োজন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এইচএসএন কোডের আওতায় গয়না আমদানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং আমদানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সেই কারণেই নজরদারির আওতায় আনা হচ্ছে। ভারতে মোট সোনা আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। যার কারণে এপ্রিলে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ৫ মাসের সর্বোচ্চ ১৯.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মোট আমদানি করা পণ্যের মধ্যে সোনার পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি। চিনের পরে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার গ্রাহক। এই আমদানি মূলত জুয়েলারি শিল্পের চাহিদা মেটায়। FTA কী: FTA হল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজ করতেই FTA চুক্তি করা হয়। এর ফলে আমদানি-রফতানি অর্থাৎ সেই দুই দেশের মধ্যে কেনা ও বিক্রি করা পণ্যে আমদানি কর, নিয়ন্ত্রক আইন, ভর্তুকি, কোটা ইত্যাদি ছাড় দেওয়া হয় বা নিয়ম সহজ করা হয়। এতে পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থার ব্যয় হ্রাস পায়। ফলে সস্তায় জিনিস মেলে। কোম্পানিও অনেক বেশি মুনাফা করতে পারে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Gold Jewellery: সাধ করে যে গয়না কিনলেন, তার সোনা আসল তো? যাচাই করুন এভাবে Gallery May 7, 2024 Bangla Digital Desk এখনও পর্যন্ত জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবে সোনাকেই গণ্য করা হয়। বিপদের দিনে সহায় হয়ে দাঁড়ায় এই স্ত্রী-ধন। কিন্তু মুশকিল হল, অনেকেই আসল আর নকল সোনার ফারাক করতে পারেন না। এমনিতে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ৪১.৭ শতাংশ অথবা ১০ ক্যারাটের কম সোনা নকল হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে প্রথম দর্শনে কিন্তু নকল সোনাও ঘোল খাইয়ে দিতে পারে। ফলে প্রতারকরা এভাবে প্রতারণার জাল পাততে পারে। তাই সতর্ক হওয়া আবশ্যক। কীভাবে? সোনা চেনার কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি। ম্যাগনেট টেস্ট বা চৌম্বকীয় পরীক্ষা:আসলে আসল বা খাঁটি সোনা কিন্তু ম্যাগনেটিক নয়। তবে অন্য বেশির ভাগ ধাতু কিন্তু ম্যাগনেটিক। তাই শক্তিশালী চুম্বক ঘরে থাকলে অনায়াসে খাঁটি সোনা পরীক্ষা করা যাবে। সোনার টুকরোটির সামনে রেখে দেখতে হবে যে, সেটি চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে কি না। ফলে এই পরীক্ষাটি বেশ সহজও। আর সবথেকে বড় কথা হল, সোনায় কিন্তু মরচে পড়ে না। যদি মরচে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, সেটা খাঁটি সোনা নয়। হলমার্ক:সোনা আসল বা খাঁটি কি না, সেটা নির্ধারণ করার জন্য তাতে হলমার্ক করা হয়। তাই হলমার্ক সার্টিফিকেশনটা দেখে নিতে হবে। সোনার গয়না এবং মুদ্রার সার্টিফিকেশনের জন্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) তৈরি করেছে ভারত সরকার। সোনার পিছনে লুকোনো থাকে এই হলমার্ক। আসলে বিআইএস সোনার বিশুদ্ধতা এবং সূক্ষ্মতার নির্ধারণ করে। ফ্লোট টেস্ট বা ভাসমান পরীক্ষা:সোনা হল কঠিন এবং ভারি ধাতু। বিশুদ্ধতা নির্ধারণ করার জন্য এই ধাতুর ঘনত্ব এবং তা কতটা ভারি সেটা পরীক্ষা করতে হবে। এর জন্য একটি বালতিতে জল ভরে সোনার গয়না তার মধ্যে ফেলতে হবে। খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হলে তা জলে ডুবে যাবে। অ্যাসিড পরীক্ষা:খাঁটি সোনা কখনওই নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। তবে তামা বা কপার, জিঙ্ক, স্টার্লিং সিলভার-সহ নানা সঙ্কর ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তবে সোনার বিশুদ্ধতার এই পরীক্ষা করার সময় গ্লাভস এবং মাস্ক পরা আবশ্যক। আর এমন ঘরে তা করতে হবে, যেখানে ভাল আলো-বাতাস খেলে। গয়নার পৃষ্ঠতল হালকা করে আঁচড়ে নিয়ে একটি ড্রপার ব্যবহার করে স্বল্প পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করতে হবে। ওই পৃষ্ঠতল সবুজ রঙ ধারণ করলে বুঝতে হবে যে, তা সোনার জল করা। আর খাঁটি হলে তা থেকে দুধের মতো পদার্থ নির্গত হবে। ভিনিগার পরীক্ষা:সব রান্নাঘরেই মিলবে এই উপকরণ। সোনার টুকরোয় কয়েক ফোঁটা ভিনিগার ফেলতে হবে। যদি ধাতুর রঙ বদলে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, খাঁটি সোনা নয়।