Tag Archives: Union Budget 2024

Ganga Erosion: বিহার-উত্তরাখণ্ড টাকা পেলেও বঞ্চিত বাংলা, গঙ্গা ভাঙন ঠেকাতে বাজেটে ‘শূন্য’ বরাদ্দ

মালদহ: বর্ষাকাল এলেই গঙ্গা ভাঙন ও বন্যা প্রতি বছরের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মালদহ জেলার। গঙ্গা তীরবর্তী জেলার চারটি ব্লকের লক্ষাধিক মানুষ এরফলে প্রতিবছর বিপন্ন হয়ে পড়েন। বর্ষার মরশুম শুরু হলেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায়।‌ ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়।

এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় সার্বিক পরিকল্পনা না করলে এই পরিস্থিতির বিশেষ একটা উন্নতি হবে না। কিন্তু গঙ্গার ভাঙন মোকাবিলায় যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না এর জন্য চাই জাতীয় স্তরের একটি মাস্টার প্ল্যান তাই এই বাজেটের দিকে অনেক আশা করে তাকিয়ে ছিলেন মালদহের ভাঙন বিপর্যস্ত বাসিন্দারা। তারা ভেবেছিলেন ভাঙ্গন মোকাবিলায় হয়তো বাজেটের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং অর্থ বরাদ্দ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু পরিকল্পনা তো দুরস্ত গঙ্গার ভাঙ্গন মোকাবিলায় একটিও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি বাংলার জন্য!

আর‌ও পড়ুন: হার মানাবে যাদু সম্রাটকেও! নদীর উপর দিয়ে হেঁটেই পারাপার

২০২৪-২৫ অর্থ বর্ষের সাধারণ বাজেটে বিহার, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, সিকিম সহ একাধিক রাজ্যের বন্যা ও ভাঙন ঠেকানোর জন্য আর্থিক বরাদ্দের বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু বাংলার মুর্শিদাবাদ ও মালদহের মত দুটি ভাঙন বিধ্বস্ত জেলার জন্য বিন্দুমাত্র আর্থিক বরাদ্দ না থাকার বিষয়টি সকলকেই বিস্মিত করেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এমন ভূমিকায় রীতিমতো হতাশ এখানকার বাসিন্দারা। ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা শ্যাম মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর গঙ্গার ভাঙন নিয়ে আমরা আতঙ্কিত থাকি। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোন‌ও কিছুই দেওয়া হল না আমাদের। আমরা আতঙ্কিত।

মালদহের এই গঙ্গা নদীর এক প্রান্তে রয়েছে ঝাড়খন্ড, অপর প্রান্ত রয়েছে বিহার। সেইসব রাজ্য ভাঙন ও বন্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা পেলেও বাদ গেল পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা। বাজেট পেশ হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের এমন ভূমিকা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, যে সমস্ত রাজ্যে কম বন্যা, ভাঙন হচ্ছে সেখানে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে মালদহকে বঞ্চিত করা হলো।

মালদহের রতুয়া-১, মানিকচক, কালিয়াচক-২ ও ৩ নম্বর ব্লক ভাঙন কবলিত। প্রতিবছর এই অঞ্চলের গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে ব্যাপক হারে ভাঙন হয়। বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গা গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, মালদহে গঙ্গা ভাঙনের জন্য সেচ দফতর আছে। সেই দফতরের মন্ত্রী আছেন। ভাঙন বা বন্যার জন্য যে রাজ্যে যেমন প্রয়োজন সরকার তেমনভাবে অর্থ বরাদ্দ করছে।

হরষিত সিংহ

Ganga Erosion: ভাঙন প্রতিরোধে বাজেটে প্রাপ্তি শূন্য! মুর্শিদাবাদের যন্ত্রণা মন ছুঁল না অর্থমন্ত্রীর

মুর্শিদাবাদ: গঙ্গার ভাঙন জলন্ত সমস্যা মুর্শিদাবাদ জেলার। বিশেষ করে জঙ্গিপুর মহকুমার লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ-২, সুতি-১ ও সামসেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন প্রবণ। এই ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা বাজেটে গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধে কোন‌ও অর্থই বরাদ্দ করা হয়নি। ফলে প্রবল হতাশ এখানকার মানুষ।

চোখের সামনেই গত কয়েক বছরে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে ভিটে মাটি হারিয়েছেন কয়েক মুর্শিদাবাদের কয়েকশো বাসিন্দা। এই ভাঙনের যা ব্যাপকতা তা মোকাবিলা করার রাজ্য সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এনিয়ে গত সোমবার বাজেট অধিবেশনে সরব হয়েছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান। কিন্তু তারপরেও বাজেটে কোন‌ও অর্থই বরাদ্দ করলেন না অর্থমন্ত্রী। ফলে ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আর‌ও পড়ুন: ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা আনন্দ সাহার কথায়, গত বছর রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল ভাঙন রোধের জন্য। রাজ্যে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে ভাঙন প্রতিরোধের কোন‌ও দিশা পাওয়া গেল না। এদিকে বিঘের পর বিঘে জমি, বাড়ি হারিয়ে কার্যত সর্বস্বান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ।

উল্লেখ্য, তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকারের প্রথম বাজেট ছিল। মঙ্গলবার বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মুখে বিহার ও অন্ধপ্রদেশের জন্য দরাজ ঘোষণা শোনা গিয়েছে। তবে বাংলার জন্য প্রায় কিছুই ছিল না এই বাজেটে, এমনই অভিযোগ রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতীকে ঢেলে সাজানোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। বিহার পেয়েছে সড়ক, বিমানবন্দর, মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বরাদ্দ। পড়শি রাজ্য বিহার যখন এত কিছু পাচ্ছে, তখন বাংলার জন্য বিশেষ কিছুই দেখা গেল না বাজেটে। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গা ভাঙনে আর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সকলেই।

কৌশিক অধিকারী

Fish Price: ইলিশ, চিংড়ি, পমফ্রেট, ভেটকি…! বাঙালির পাতে সাধের মাছের বন্যা! কতটা কমছে দাম?

হুগলি: কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা হয়েছে মঙ্গলবার। সেখানে একধিক বিষয়ের উপর উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে খাদ্য রসিকদের বিশেষত মাছ প্রিয় বাঙালির জন্য ছিল সুখবর। বাজেট অনুযায়ী সামুদ্রিক মাছের উপর পাঁচ শতাংশ কর কমিয়েছে কেন্দ্র। তাতেই কম দামে ভাতের থালায় ইলিশ, চিংড়ি, পোমফ্লেট, ভেটকি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে খাদ্যরসিক বাঙালি। তবে আদৌও কি দাম কমবে সামুদ্রিক মাছের?

এই বিষয়ে জানার জন্য ভিন্ন মানুষের ভিন্ন মতামত নেওয়ার জন্য যাওয়া হয়েছিল মাছের আড়়ৎগুলিতে। এমনই হুগলির এক মাছের আড়তে গিয়ে সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানুষের মধ্যে রয়েছে মিশ্র মতামত। কেউ বলছেন ট্যাক্স কমলেও তাদের মাছের দাম কমবে না। অন্যদিকে, অনেকে মনে করছেন ট্যাক্স কমলে মাছের দাম কমতে বাধ্য।

আরও পড়ুনঃ সামান্য খরচে বানান রুপোর ‘এই’ আংটি…! চুম্বকের মতো টানে টাকা! কিছুদিনেই হবেন ধনী, শুধু জানুন পড়ার নিয়ম

এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, ডায়মন্ডহারবার বা শংকরপুর থেকে সামুদ্রিক মাছ নিয়ে আসেন বাজারে বিক্রির জন্য। যদিও তারা কমিশন ভিত্তিতে কাজ করেন। তারা সেখান থেকে মাছ নিয়ে আসেন এবং তার দিয়ে যা বিক্রি হয় সেই বিক্রির মূল্য থেকে নিজেদের কমিশন রেখে বাকি টাকা দিয়ে দেন যেখান থেকে মাছ আনা হয় সেখানে। তার কথায়, ট্যাক্সের ছাড় পরলে যারা ট্রলারে করে মাছ ধরতে যায় কিংবা সামুদ্রিক মোহনা থেকে যে মাছ বিক্রি হয় সেখানে একটু দাম কম পড়লেও, খুচরো বাজারে তার প্রভাব তেমনটা পড়বে না।

অন্যদিকে, মাছের বাজার পরিচালন সমিতির যিনি সভাপতি রয়েছেন তিনি বলছেন, সরকারের তরফ থেকে ট্যাক্সের ছাড় দেওয়া হলে অবশ্যই জিনিসপত্রের দামও কমবে। পাঁচ শতাংশ যখন সামুদ্রিক মাছের ছাড় দেওয়া হয়েছে তখন মাছের দাম নিশ্চয়ই কমবে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে বর্ষার ইলিশ তা বাজারে আসেনি। তবে ইলিশ বাজারে আসতে শুরু করলে তার দাম পাঁচ শতাংশ ছাড়ের জন্য কিছুটা কমবে এমনটা আশা তাঁর।

যদিও খাদ্যরসিক আপামর বাঙালি মন থেকে চাইছে, ৫ শতাংশ সামুদ্রিক মাছের ট্যাক্স কমায় এবার সস্তায় মিলবে মাছ। ইলিশ ভাপা, চিংড়ি কারি, কিংবা পমফ্রেট ফ্রাই বা ভেটকি খাবারের পাতে এমনিই সুস্বাদু, সেটাই যদি দাম কম তাহলে তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।

রাহী হালদার

Budget 2024: এবারের বাজেটে সোনার পাশাপাশি আর কী কী জিনিসের দাম কমল ? দেখে নিন পুরো লিস্ট

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য তাঁর সপ্তম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন। এই বাজেটে বেশ কিছু আইটেম ভোক্তাদের জন্য সস্তা ও দামি হয়েছে। বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রথম বাজেটটি ভারতের অর্থনৈতিক ল্যান্ডস্কেপ গঠনের জন্য পরিকল্পিত হয়েছে, যা অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচি পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করে। অর্থমন্ত্রী এমন ব্যবস্থার ঘোষণা করেছেন, যা মোবাইল ফোনের দাম, সোনা, রুপোর দাম এবং তামার দাম কম করতে পারে।

এখানে সেই সামগ্রীগুলির তালিকা রইল যা দামে সস্তা হয়ে গিয়েছে –

– অর্থমন্ত্রী মোবাইল ফোন, মোবাইল চার্জারের বেসিক শুল্ক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা করেছেন।

– সোনা ও রুপোর ওপর শুল্ক কমিয়ে ৬ শতাংশ এবং প্ল্যাটিনামের ওপর ৬.৪ শতাংশ করা হয়েছে।

– তিনটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ বেসিক শুল্ক থেকে অব্যাহতি।

– এফএম সোলার প্যানেল তৈরিতে ব্যবহৃত অব্যাহতিপ্রাপ্ত মূলধনী পণ্যগুলির তালিকা প্রসারিত করারও প্রস্তাব করেছেন।

– ই-কমার্সে টিডিএস হার ১ শতাংশ থেকে ০.১ শতাংশে কমানো হয়েছে।

– ফেরোনিকেল, তামার উপর মৌলিক শুল্ক সরানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজেটের পর হুড়মুড়িয়ে কমছে সোনার দাম, আরও কমবে কি দাম ?

– নির্দিষ্ট ব্রুডস্টক, পলিচেট ওয়ার্ম, চিংড়ি এবং মাছের খাদ্যের উপর মৌলিক শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

– চিংড়ি এবং মাছের খাদ্য তৈরির জন্য বিভিন্ন উপকরণের উপর শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

– চামড়া ও টেক্সটাইল খাতে রফতানির প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্, হাঁস বা রাজহাঁসের রিয়েল ডাউন ফিলিং মেটেরিয়ালের বিসিডি কমানো হয়েছে।

– পাইপলাইনে বিদ্যমান এবং নতুন সক্ষমতা সমর্থন করার জন্য, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের উপর মৌলিক শুল্ক ৭.৫ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

– প্রতিরোধক তৈরির জন্য অক্সিজেন মুক্ত তামার উপর থেকে বেসিক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

– পারমাণবিক শক্তি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা, টেলিযোগাযোগ এবং উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্সের মতো খাতের জন্য ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির উপর শুল্ক সম্পূর্ণরূপে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের দুটিতে বিসিডি হ্রাস করা হয়েছে।

যে সামগ্রীগুলির দাম বেড়েছে তাও দেখে নেওয়া যাক –

– এফএম অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন।

– সরকার নন-বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিকের উপর শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে।

– নির্দিষ্ট টেলিকম সরঞ্জামের মৌলিক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

– সরকার ১০ লাখের বেশি মূল্যের নোটিফায়েড পণ্যের উপর ১ শতাংশ TCS ধার্য করারও প্রস্তাব করেছে।

আরও পড়ুন: আপনার কাছে কী কী স্টক আছে? বাজেট ঘোষণায় সবচেয়ে লাভবান হতে চলেছে এই কোম্পানিগুলো

– সোলার গ্লাসের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে না বলেও ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন যে, নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে বেতনভোগী কর্মীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৫০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫,০০০ টাকা করা হবে। তিনি পেনশনভোগীদের জন্য পারিবারিক পেনশনের উপর কর ডিডাকশন ১৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা করার প্রস্তাবও করেছিলেন। ২০২৩ সালের বার্ষিক বাজেটের সময়, অর্থমন্ত্রী ভারতে মোবাইল ফোন উৎপাদনকে উন্নীত করার জন্য ক্যামেরা লেন্স সহ বিভিন্ন উপাদানের আমদানি কর কমানোর ঘোষণা করেছিলেন। অর্থমন্ত্রী ফোন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির উপর করের হারও কমিয়েছিলেন। এই নীতি পরিবর্তনের লক্ষ্য কোম্পানিগুলির জন্য ভারতে ফোন তৈরি করা সস্তা করা।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ দেখিয়েছে যে, ভারতের জিডিপি এই বছর ৬.৫-৭% এর মধ্যে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং খুচরা মূল্যস্ফীতি ২০২৩-২৪ এর মধ্যে ৫.৪%-এ নেমে এসেছে, যা আগে ৬.৭% ছিল। ২২ জুলাই, ২০২৪-এ সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের দ্বারা উপস্থাপিত অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩-২৪, ‘সেবা’ এবং ‘বৃদ্ধি’ শব্দগুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছিল। পূর্ববর্তী কয়েকটি পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাজেটের মতো, বাজেট ২০২৪ও কাগজবিহীন আকারে বিতরণ করা হয়। একটি অন্তর্বর্তী ইউনিয়ন বাজেট ২০২৪ এর ১ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হয়েছিল, কারণ দেশে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

Union Budget 2024: কেমন হল নতুন বাজেট! যা জানাচ্ছেন মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষেরা

নদিয়া: কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ২০২৪-২৫ সালের বাজেট পেশ করার পরই সামনে এসেছে একাধিক পরিকল্পনা কেন্দ্রের। কৃষিতে বিশেষ নজর কেন্দ্রের, আরও কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে কি জানাচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে চাষিরা? কতটা খুশি তারা? তা জানতেই আজ আমারা পৌঁছেছিলাম তাঁদের কাছে।

কৃষিতে নজর দিয়েছে কেন্দ্র তবে কৃষকরা জানাচ্ছেন এই বাজেটে তারা খুশি নন। তারা জানাচ্ছেন, এর আগেও তাঁদের নিয়ে অনেক কথা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তার বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। তবে কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড সমন্ধে বলতে গিয়ে চাষিদের বক্তব্য, ওই কার্ড করে কোনও লাভবান হয় না চাষিরা। তারাও ওই কার্ড করে এখনও কোনও সুযোগ সুবিধে পায়নি।

আরও পড়ুন: বাজেটের পর হুড়মুড়িয়ে কমছে সোনার দাম, আরও কমবে কি দাম ?

তবে রাজ্যের সরকার চাষিদের জন্য যা পরিকল্পনা করেছে এবং যেভাবে তাঁদের সাহায্যের হাত দিনের পর দিন করছে তাতেই তারা সংসার চালাচ্ছেন। তবে তাঁদের কথা কেন্দ্রের সরকার অনেক কথাই বলে তবে তার বাস্তবায়ন হয় না।

অপরদিকে সাধারণ মুদিখানা দোকানদারেরা জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষের জন্য একটু ভাবা। আগামী দিনে ভয়ানক দিন আসছে। অপরদিকে সোনার দোকানের আধিকারিকদের মতে, সোনার মানুষের একটা স্বপ্ন। যেটা কিনতে সবাই চায়।

আরও পড়ুন: আপনার কাছে কী কী স্টক আছে? বাজেট ঘোষণায় সবচেয়ে লাভবান হতে চলেছে এই কোম্পানিগুলো

সোনার দাম কমার যে কথা আজকের বাজেটে উঠে এসেছে তাতে করে এবার মধ্যবিত্তর হাতের নাগালেই আসছে সোনা রুপো। তবে সাধারণ মানুষ খুশি নন এই বাজেটে। তারা জানাচ্ছেন সরকার আজ সাধারণ মানুষের জন্য কিছু ভাবেনি।

Mainak Debnath

“বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প চালাতে দেয় না!”- বাজেট নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ নির্মলার

নয়াদিল্লি: গত ২৩ শে জুলাই পেশ হয়েছে মোদি সরকারের তৃতীয় দফার কেন্দ্রীয় বাজেট। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের হাত ধরে নতুন আয়কর ব্যবস্থার কথা ঘোষণা হয়। এছাড়াও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ-এর মতন বিজেপি কিংবা জোট শরিক শাসিত রাজ্য গুলি একাধিক আর্থিক সাহায্য পেলেও পশ্চিমবঙ্গের মতন অবিজেপি শাসিত রাজ্য গুলি কোন সাহায্য পায়নি। এই নিয়েই বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছেন নির্মলা। মঙ্গলবার, রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: ‘কুর্সি বাঁচাও বাজেট…’ তীব্র নিশানা রাহুলের! ছুড়ে দিলেন ‘কপি পেস্ট’ কটাক্ষ

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করে বলা হয়, শুধু পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গনা, এবং পঞ্জাব যেহেতু অবিজেপি শাসিত তাই এই রাজ্যগুলিকে বাজেট থেকে বাদ রাখা হয়েছে। শুধু মাত্র বিজেপির শরিক জেডিইউ এবং টিডিপি-কে খুশি রাখার সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই বাজেটকে “অন্ধ্র-বিহার” বাজেট বলেও কটাক্ষ করে তৃণমূল।
বাজেট নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব এক্স হ্যান্ডেল (সাবেক টুইটারে) লেখেন, “দয়া করে আগে বাংলার পাওনা টাকা কেন্দ্র আমাদের দিক। কেন্দ্র থেকে এই রাজ্য ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা পায়। বেকারত্বকে লুকিয়ে রেখে এই বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা উচিত।”
এরপরে আরও একাধিক পোস্টে সুস্মিতা এটাও জানান যে এখনও পর্যন্ত নতুন জনগণনা করা হয়নি তা ছাড়া এই কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থহীন।

ঠিক একই ভাবে সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ” এই বাজেট সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ। এই বাজেটের কোনো গ্যারান্টি নেই। একটা ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার এবং ব্যর্থ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতির মতন বিষয় গুলি দূরে সরিয়ে রেখে শুধু শরিক জোটদের ঘুষ দেওয়ার জন্যই এই বাজেট।”
অন্য দিকে বিরোধীদের “কুর্সি বাঁচাও” স্লোগানের পাল্টা হিসাবে নির্মলা জানান শুধু দুটি রাজ্যের নাম সামনে আনা হচ্ছে মানে এই ন্য বাকি রাজ্য গুলি বাজেট থেকে কিছুই পায়নি।

বুধবার, রাজ্যসভায় বাজেট নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যদি কোন রাজ্যের নাম বাজেটের ভাষণে উচ্চারিত হয়নি, তাহলে কি কেন্দ্রের প্রকল্প গুলি সেই রাজ্যে পৌঁছায় না? এটা সম্পূর্ণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার বিরোধীদের একটি চক্রান্ত। এর মাধ্যে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা জনগণকে দেখাতে চাইছে শুধু দুটি রাজ্য ছাড়া বাকি কোন রাজ্য কিছুই পায়নি।”
মঙ্গলবার, কেন্দ্রের আর্থিক বাজেটে জেডিইউ ক্ষমতাসীন বিহারকে বন্যা ত্রাণ হিসাবে মোট ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টিডিপি শাসিত অন্ধ প্রদেশকে রাজ্যের রাজধানী উন্নয়নের স্বার্থে ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এবং পরবর্তীতে আরও সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এতেই কেন্দ্রকে নিশানা বিরোধীরা করেছে বিরোধীরা।

Union Budget 2024: Real Estate বিনিয়োগকারীদের বড় ধাক্কা, সম্পত্তি বিক্রিতে দিতে হবে বেশি কর, বাজেটে বদলে গেল এই নিয়ম

রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারীরা হতাশ। বাজেটে সম্পত্তি বিক্রির উপর ইনডেক্সেশন সুবিধা তুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ফলে এখন থেকে ফ্ল্যাট বা বাড়ি বিক্রি থেকে আয়ের উপর অনেক বেশি কর দিতে হবে।

বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, সম্পত্তি বিক্রির ক্ষেত্রে ইনডেক্সেশন সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। ফলে যাঁরা পুরনো বাড়ি বা সম্পত্তি বিক্রি করেন, তাঁরা আর কেনা দাম বাড়িয়ে বলতে পারবেন না। সোজা কথায়, ক্রয়মূল্য বাড়ানোর সুযোগ থাকছে না। ফলে মূলধন লাভ কমানোর উপায় থাকল না।

আরও পড়ুন: আপনার কাছে কী কী স্টক আছে? বাজেট ঘোষণায় সবচেয়ে লাভবান হতে চলেছে এই কোম্পানিগুলো

উল্লেখ্য,সম্পত্তি বিক্রয় থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন লাভের উপর ২০ শতাংশ কর ধার্য ছিল। বাজেট ঘোষণায় এলটিসিজি করের হার ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এই ইনডেক্সশন সুবিধা ছাড়াই প্রযোজ্য হবে।

বিষয়টা বোঝার জন্য একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক, এক ব্যক্তি ২০০৪ সালে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। এখন ২০২৪ সালে সেই ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে হয়েছে ১ কোটি টাকা। তিনি এই সম্পত্তি ১ কোটি টাকায় বিক্রি করলেন। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আয়কর বিভাগের সিআইআই সূচক সংখ্যার সঙ্গে ২৫ লাখ টাকার ক্রয়মূল্য বাড়াতে হবে।

বিক্রেতার ৭৫ লাখ টাকার মূল্ধন লাভ হয়েছে। এই মূলধন লাভের উপর লং টার্ম ক্যাপিটান গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হবে। ইনডেক্সেশন সুবিধার জন্যই কেনা দাম বা ক্রয়মূল্য বাড়ানো যেত। অর্থাৎ ২৫ লাখ টাকা যদি বার্ষিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে হিসেব করা হয়, তাহলে দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুন: আমদানি শুল্ক কমতেই সোনা-রুপোর দামে পতন; মধ্যবিত্তের মুখে হাসি, দেখে নিন আজকের দাম

এর সঙ্গে সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের খরচের জন্য ইনডেক্সেশনের আওতায় ছাড় পাওয়া যেত। সেটাও উঠে গেল। এই পরিস্থিতিতে ৭৫ লাখ টাকা লাভে ক্রয়মূল্য বৃদ্ধি এবং মেরামতি খরচ সহ মূলধন লাভ কমে যায়। এই কারণে কম কর দিতে হচ্ছে।

সম্পত্তি বিক্রি থেকে মূলধন লাভের উপর কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে, তবে ইনডেক্সেশন সুবিধা তুলে দিয়ে। কর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের উপর করের বোঝা বাড়বে। সম্পত্তিতে বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা বড় ধাক্কা।

Abhishek Banerjee: ‘জো হামারে সাথ…,’ লোকসভায় শুভেন্দুর মন্তব্য তুলে বঞ্চনার জোরাল অভিযোগ, শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি অভিষেকের

নয়াদিল্লি:  চলতি বাজেট অধিবেশনে প্রথমবার সংসদে বক্তৃতা করলেন তৃণমূল নেতা তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য থেকে শুরু করে বাংলাকে বঞ্চনা, অভিষেকের বক্তৃতায় উঠে এল রেলের সুরক্ষার প্রসঙ্গও৷

এদিন বক্তৃতার শুরুতেই চব্বিশের কেন্দ্রীয় বাজেটের তুমুল সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা৷ বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ কেন্দ্রীয় আর্থিক প্যাকেজ বরাদ্দ করার প্রসঙ্গে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘গতকালের (মঙ্গলবার বাজেট পেশের পরে) পরে একটা বিষয় পরিষ্কার৷ জোট মানেই তোষণের রাজনীতি৷’’

এক্ষেত্রে, শুভেন্দু অধিকারীর বলা সাম্প্রতিক একটি মন্তব্যেরও সংসদে উল্লেখ করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ৷ দিন কয়েক শুভেন্দু তাঁদের দলীয় কনভেনশনে বক্তৃতাকালীন, মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানের পরিবর্তন করে বলেছিলেন ‘জো হামারে সাথ, হাম উসকে সাথ’৷ এদিন শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের উল্লেখ করে অভিষেক অভিযোগ করেন, বিজেপির নিজের দলের নেতারাই বৈষম্যের নীতি মেনে চলেন৷

আরও পড়ুন: ‘যদি অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে…,’ শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে এবার সরাসরি স্পিকারকে চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর!

বাংলার আর্থিক বঞ্চনা প্রসঙ্গে অভিষেক সংসদে অভিযোগ তোলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছরে বিজেপি বাংলাকে শুধু বঞ্চনাই করেনি, বাংলার নামও খারাপ করছে৷ অর্থমন্ত্রীকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলতে বলুন, বাংলায় ২০২১ সালে হারের পর কত টাকা দিয়েছে। কাগজ দেখতে চাইছি, এরা কাগজ দেখাতে চাইছে না। আর এরাই গোটা দেশের থেকে সিএএর নামে কাগজ দেখতে চেয়েছিল। এই হল বিজেপি৷’’

তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ‘‘এটিআর জমা করার পরও টাকা দেওয়া হয়নি। টাকা চাইতে এসে সাংসদদের আটক করা হয়েছে। মহিলারা সাংসদরাও বাদ যাননি৷’’

অভিষেক দাবি করেন, বিজেপি দেশের সাধারণ মানুষকে ‘অচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে৷ সাধারণ মানুষ, মহিলা এমনকি দিনমজুরদেরও প্রতারণা করা হয়েছে৷ তৃণমূল নেতার কটাক্ষ বাজেটের ‘U’-এর অর্থ ‘Unemployment’৷ মোদির জমানায় দেশের বেকারত্ব বর্তমানে ৯.৪ শতাংশে পৌঁছেছে৷

আরও পড়ুন: বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে শারীরিক নিগ্রহ? বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে

এছাড়া, সংসদে বিজেপির মহিলা সাংসদের সংখ্যার উল্লেখ করা থেকে শুরু করে শাসকদলের সংখ্যালঘু প্রতিনিধি শূন্য থাকা সবই উঠে আসে তৃণমূল নেতার কথায়৷ তোলেন রেলের সুরক্ষার প্রসঙ্গও৷ সবশেষে, অভিষেকের মন্তব্য, ‘‘এই বাজেটে একটা জিনিসই মূল্যবৃদ্ধির থেকে বাড়ছে, সেটা হল বিজেপির ব্রোকেন প্রমিসেস৷’’

Stock Market: আপনার কাছে কী কী স্টক আছে? বাজেট ঘোষণায় সবচেয়ে লাভবান হতে চলেছে এই কোম্পানিগুলো

বাজেট ঘোষণার পর থেকেই টালমাটাল শেয়ার বাজার। মূলধন লাভ কর একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ফিউচার এবং অপশন ট্রেডারদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, সোনা ও রুপোর উপর আমদানি শুল্ক কমানোয় হাসি ফুটেছে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের মুখে।
বাজেট ঘোষণার পর থেকেই টালমাটাল শেয়ার বাজার। মূলধন লাভ কর একধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ফিউচার এবং অপশন ট্রেডারদের মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, সোনা ও রুপোর উপর আমদানি শুল্ক কমানোয় হাসি ফুটেছে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীদের মুখে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, বাজেটে কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, এমএসএমই-কে সহায়তা প্রদান এবং মধ্যবিত্তের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৪-২৫ পূর্ণাঙ্গ বাজেট থেকে লাভ ঘরে তুলবে বেশ কিছু কোম্পানি। তাদের শেয়ারের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে চলেছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন, বাজেটে কর্মসংস্থান, দক্ষতা বৃদ্ধি, এমএসএমই-কে সহায়তা প্রদান এবং মধ্যবিত্তের ক্ষমতায়নের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে ২০২৪-২৫ পূর্ণাঙ্গ বাজেট থেকে লাভ ঘরে তুলবে বেশ কিছু কোম্পানি। তাদের শেয়ারের দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে চলেছে।
যেমন টাইটান। সোনা, রুপোর দাম কমায় লাভবান হবে তারা। আবার আইটিসি-র শেয়ারের দামও আগামী দিনে বাড়তে চলেছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজেটে টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত রেখেছেন নির্মলা। ফলে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে।
যেমন টাইটান। সোনা, রুপোর দাম কমায় লাভবান হবে তারা। আবার আইটিসি-র শেয়ারের দামও আগামী দিনে বাড়তে চলেছে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাজেটে টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত রেখেছেন নির্মলা। ফলে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে।
বিনিয়োগকারীদের আইটিসি-র শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছে Jefferies। ৫৮৫ টাকা লক্ষ্য মূল্য রাখা হয়েছে। ১৭ শতাংশ লাভের অনুমান করছে ব্রোকারেজ সংস্থা। তাদের কথায়, “টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত থাকায় সবচেয়ে বেশি লাভ হবে আইটিসির।“জেফরিস মনে করছে, ২০২৬-এর মার্চ মাস পর্যন্ত জিএসটি করও একই থাকবে। মর্গ্যান স্ট্যানলিও আইটিসি-র শেয়ারের দাম বৃদ্ধির অনুমান করছে। তাদের মতে, টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত থাকার কারণে আইটিসির ব্যবসা আরও বাড়বে।
বিনিয়োগকারীদের আইটিসি-র শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছে Jefferies। ৫৮৫ টাকা লক্ষ্য মূল্য রাখা হয়েছে। ১৭ শতাংশ লাভের অনুমান করছে ব্রোকারেজ সংস্থা। তাদের কথায়, “টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত থাকায় সবচেয়ে বেশি লাভ হবে আইটিসির।“জেফরিস মনে করছে, ২০২৬-এর মার্চ মাস পর্যন্ত জিএসটি করও একই থাকবে। মর্গ্যান স্ট্যানলিও আইটিসি-র শেয়ারের দাম বৃদ্ধির অনুমান করছে। তাদের মতে, টোব্যাকো ট্যাক্স অপরিবর্তিত থাকার কারণে আইটিসির ব্যবসা আরও বাড়বে।
আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে টাইটান উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে ম্যাককুয়ারি। তাদের দাবি, FY26 এবং FY27E শেয়ার প্রতি আয় ১ শতাংশ এবং ২ শতাংশ বাড়তে চলেছে। সিএলএসএ বলেছে, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে সোনার দামও কমবে, যা টাইটানের জন্য ইতিবাচক।
আমদানি শুল্ক হ্রাসের কারণে টাইটান উপকৃত হবে বলে জানিয়েছে ম্যাককুয়ারি। তাদের দাবি, FY26 এবং FY27E শেয়ার প্রতি আয় ১ শতাংশ এবং ২ শতাংশ বাড়তে চলেছে। সিএলএসএ বলেছে, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে সোনার দামও কমবে, যা টাইটানের জন্য ইতিবাচক।
পাশাপাশি বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে প্রত্যক্ষ কর হ্রাসের কারণে সম্ভাব্য সঞ্চয় বাড়বে। সংগঠিত খাতের কর্মীরা আরও বেশি ডায়রেক্ট ট্রান্সফার বেনিফিটের সুবিধা পাবেন।
পাশাপাশি বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে প্রত্যক্ষ কর হ্রাসের কারণে সম্ভাব্য সঞ্চয় বাড়বে। সংগঠিত খাতের কর্মীরা আরও বেশি ডায়রেক্ট ট্রান্সফার বেনিফিটের সুবিধা পাবেন।
এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও প্রভাবিত হবে বলে মনে করছে সিএলএসএ। উপকৃত হতে চলেছে অ্যাভিনিউ সুপার, জোম্যাটো, টাইটান, ভিবিএল, আইটিসি এবং নেসলের মতো কোম্পানি। আবার সোনা, রুপোর মতো ধাতুর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলির জন্য এই বাজেট ইতিবাচক বলে মনে করছে ফিলিপক্যাপ।
এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিও প্রভাবিত হবে বলে মনে করছে সিএলএসএ। উপকৃত হতে চলেছে অ্যাভিনিউ সুপার, জোম্যাটো, টাইটান, ভিবিএল, আইটিসি এবং নেসলের মতো কোম্পানি। আবার সোনা, রুপোর মতো ধাতুর সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলির জন্য এই বাজেট ইতিবাচক বলে মনে করছে ফিলিপক্যাপ।

Budget 2024 Reactions: পূর্ণাঙ্গ বাজেট কেমন লাগল? প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেন নামীদামি শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীরা

কলকাতা: অবশেষে পেশ হয়ে গেল চলতি বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট। কেমন হল সেই বাজেট। তা নিয়েই মন্তব্য করলেন দেশের নামীদামি ব্যবসায়ী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস-এর একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সিইও অনিল জি. ভার্মা (Anil G. Verma, Executive Director & CEO, Godrej & Boyce):

নয়া সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে রয়েছে ভারসাম্য। আসলে কৃষি, কর্মসংস্থান, ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড সার্ভিসেস, আরবান ডেভেলপমেন্ট, এনার্জি, ইনফ্রাস্ট্রাকাচার, ইনোভেশন ও আরঅ্যান্ডডি এবং নেক্সট জেনারেশন রিফর্মসের মতো ৯টি প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সরকার খুবই সূক্ষ্ম ভাবে অর্থনীতির চাহিদাগুলির মধ্যে সমতা বজায় রেখেছে। অর্থবর্ষ ২৫-এর রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৫.১% থেকে ৪.৯% কমানো অত্যন্ত ইতিবাচক। ক্যাপেক্স ব্যয় ১১.১ লক্ষ কোটি টাকা। যা অপরিবর্তিতই রয়েছে। আর এর থেকেই স্পষ্ট যে, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিনিয়োগের উপর জোর দিচ্ছে সরকার।

আরও পড়ুন– টেক অফের সময়েই দুর্ঘটনা ! নেপালে ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ল বিমান

আবার ১৪৮ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান-সহ এমপ্লয়মেন্ট এবং এমপ্লয়েবিলিটিকে এক বড় পূর্ণতা দেওয়া হয়েছে। যা এই সময়ের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একটি নতুন স্কিমের কথা ঘোষণা হয়েছে। যা আগামী ৫ বছরে প্রায় ১ কোটিরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে ৫০০টি সেরা সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে। ছোট মডিউলার রিঅ্যাক্টরগুলি বিকাশের জন্য প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করার জন্য সরকারের যে অভিপ্রায়, তা ভারতের শক্তির মিশ্রণে পারমাণবিক শক্তির গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য একটি ভাল পদক্ষেপও বটে। তাছাড়া মহাকাশ প্রযুক্তির প্রচারের জন্য ১০০০ কোটি টাকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড ভারতের উন্নতিশীল মহাকাশ সেক্টরে বেসরকারি খাতের বৃহত্তর মাপের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য একটি ভাল পদক্ষেপ। আসলে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য বিশ্বসেরার আসনে বসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের। বাজেট একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিকাশের দিকে পথ প্রশস্ত করতে পরিচালিত হয়েছে। এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে বৃহত্তর প্রাইভেট সেক্টরগুলির অংশগ্রহণকে আরও উৎসাহিত করা হবে। আবার অর্থবর্ষ ২৬-এ ৪.৫% রাজস্ব ঘাটতিতে রাজকোষের গতিপথও বজায় রাখবে। এমএসএমই-কে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ ভারতের জিডিপিতে ৩০% অবদানকারী অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতের উপর চাপ কমাতে পারে। ৫০,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ টাকায় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি এবং নতুন ব্যবস্থার অধীনে ট্যাক্স স্ল্যাবের অনুকূল পরিবর্তন গ্রাহকদের হাতে নিষ্পত্তিযোগ্য আয় বৃদ্ধি করবে। যা কনজাম্পশনকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এটি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বৃহত্তর বেসরকারি বিনিয়োগের দিকে প্রয়োজনীয় প্রেরণা প্রদান করবে।

আরও পড়ুন– নতুন ব্যবস্থায় আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হল, আর কী কী ঘোষণা বাজেটে? দেখে নিন এক নজরে

গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপ বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।

FICCI প্রেসিডেন্ট ডঃ অনীশ শাহ (FICCI President Dr Anish Shah):

বাজেট ২০২৪-২৫ প্রসঙ্গে ড. অনীশ শাহ বলেন যে, বিকাশ-ভিত্তিক বাজেট পেশ করার জন্য সম্মানীয় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে এফআইসিসিআই। আসলে এই বাজেট রাজস্ব শৃঙ্খল বজায় রাখার পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি চাহিদা উদ্দীপনা এবং মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে কর্মকাণ্ড প্রদান করেছে। এই বাজেট অন্তর্ভুক্তিমূলক। কারণ গুণমানসম্পন্ন চাকরি এবং দক্ষতা তৈরির উপর এতে জোর দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষি এবং পরিষেবা-সহ উৎপাদনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করেছে। আবার পলিসি ঘোষণার ক্ষেত্রেও রয়েছে ধারাবাহিকতা। কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে যে বিষয়গুলি আরও একবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে, সেগুলি হল – সহ-সরল ভাবে ব্যবসা করার উপর জোর, উৎপাদন বৃদ্ধি, গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব, প্রযুক্তির ব্যবহার, মহিলাদের সহায়তা, কৃষক ও এমএসএমই এবং স্থায়িত্বের প্রচার।
তিনি আরও বলেন যে, বাজেটের লক্ষ্যে থাকা ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে এফআইসিসিআই-এর মূল অগ্রাধিকারগুলির। আর এই বাজেটে এফআইসিসিআই-এর অনেক পরামর্শ বিবেচনা করা হয়েছে দেখে আমরা খুশি। এর মধ্যে অন্যতম হল – কৃষি গবেষণা বৃদ্ধি, উৎপাদনের কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা, গ্রিন ইকোনমির প্রচারের পাশাপাশি উৎপাদনমূলক প্রতিযোগিতার উন্নতি।

বেদান্ত লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল (Anil Agarwal, Chairman, Vedanta Ltd):

তিনটি উদ্ভাবনী কর্মসংস্থান-সম্পর্কিত স্কিম-সহ কর্মসংস্থানের উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী। অ্যাঞ্জেল ট্যাক্স বিলুপ্তির ফলে আমাদের স্টার্ট-আপ এবং তরুণ উদ্যোগপতিদের খুবই ভাল হবে। আসলে এঁরাই তো পরে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবেন। আইবিসি রেজোলিউশনের গতি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ১২০০০টি ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য এবং আরও অনেক চাকরির দিকে পরিচালিত করবে। আর আমি ক্রিটিক্যাল মিনারেলস মিশন সংক্রান্ত বিষয়ে ঘোষণা দেখেও বেশ আপ্লুত। খনির দিকটা ভারতের আরও এক্সপ্লোর করা উচিত। আর ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরেই এইসব ধাতুর প্রক্রিয়া করতে হবে।

রেমন্ড-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌতম হরি সিংহানিয়া (Gautam Hari Singhania, Chairman and Managing Director, Raymond):

বাজেটে ঘোষিত ৯টি প্রায়োরিটি সেক্টরে বিনিয়োগ দেশের অগ্রগতির প্রতি সরকারের অঙ্গীকারের একটি প্রমাণ। আর এটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। দেশের সামগ্রিক সমষ্টিগত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে সরকারের নজর রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল – আগামী বছরের মধ্যেই রাজস্ব ঘাটতি জিডিপি-র ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা, সমস্ত শিল্পক্ষেত্রে প্রাথমিক শুল্ক হ্রাস, নতুন কর ব্যবস্থা আনয়ন। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আর ভারসাম্যপূর্ণ ও দ্রুত অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এই বাজেটে। আবার রিয়েল এস্টেটের দিক থেকে দেখতে গেলে এর মধ্যে রয়েছে – হোম লোনের ডিডাকশন লিমিট বৃদ্ধি, কনসেশনাল রেটে বিল্ডারদের জিএসটি পরিশোধ করার সুবিধা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা আরবান ২.০-র মাধ্যমে সাশ্রয়ী এবং মাঝারি আয়ের হাউজিং। ফলে যাঁরা সাশ্রয় মূল্যে বাড়ি কিনতে চান, তাঁদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। আর এর ফলে ডেভেলপাররা সাশ্রয়ী হাউজিং প্রকল্পে মনোযোগ দেবেন এবং তার পাশাপাশি হাউজিংয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে।

মাহিন্দ্রা হলিডেজ অ্যান্ড রিসর্টস ইন্ডিয়া লিমিটেড-এর এমডি ও সিইও মনোজ ভাট (Manoj Bhat, MD & CEO, Mahindra Holidays and Resorts India Ltd):

এই বাজেট আর্থিক বিচক্ষণতা, বিনিয়োগেরপ বিকাশ, কর্মসংস্থান প্রদান এবং অর্থনীতির বিকাশকে উৎসাহিত করার উপর জোর দিয়েছে। উন্নত সংযোগ এবং পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া অভ্যন্তরীণ পর্যটন ক্ষেত্রকে ব্যাপক ভাবে উপকৃত করবে। ধর্মীয় পর্যটন বিকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়ার ফলে বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে।

ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও দেবদত্ত চাঁদ (Debadatta Chand, Managing Director & CEO, Bank of Baroda):

অর্থনৈতিক সমীক্ষার মূল বিষয়গুলির পরিপূরক হয়ে উঠেছে এই কেন্দ্রীয় বাজেট। সেই সঙ্গে তা অর্থনীতির মধ্যমেয়াদী উন্নয়নের উপরেও স্পষ্ট ভাবে জোর দিয়েছে। কৃষি, স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং এমএসএমই-র উপর জোর দেওয়া এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিই হয়ে উঠবে আগামী বছরগুলিতে সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বাজেটের সামগ্রিক আকার অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট থেকে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজেটে রাজস্ব বিচক্ষণতার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় অভিপ্রায় দেখানো হয়েছে এবং বছরের জন্য রাজস্ব ঘাটতি ৪.৯% নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই কর্মকাণ্ড বিকাশকে স্থিতিশীল রাখবে। আর তা শুধু অর্থনীতির জন্যই দৃঢ় হবে না, বরং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের জন্যও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এভাবেই এফআরবিএম-এর লক্ষ্য অনুযায়ী অর্থবর্ষ ২৬-এ তা ৪.৫ শতাংশের মাত্রা স্পর্শ করবে। অর্থবছরের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- সামগ্রিক মোট ঋণ এবং নেট ঋণ প্রায় একই স্তরে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটের মতোই রাখা হয়েছে। এর অর্থ হল যে, এটি বাজারের জন্য কার্যত নিরপেক্ষ লিক্যুইডিটি এবং বন্ড। যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র বাজেট থেকে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখতে পারে। যা লিক্যুইডিটির উপর নিরপেক্ষ প্রভাবকে ছাড়িয়ে যাবে। প্রথমত একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের মাধ্যমে এমএসএমই-র উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর এমএসএমই-র ক্ষেত্রে যে কোনও সহায়তা শুধু জিডিপি-ই নয়, কর্মসংস্থানের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দ্বিতীয়ত রিটেল লেভেলে শিক্ষা ঋণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যা সময়োপযোগী স্কিল তৈরিতে সাহায্য করবে। তৃতীয়ত, বাজেট বক্তৃতায় রিকভারি স্থান পেয়েছে। এমনকী, ডেট রিকভারি ট্রাইব্যুনালের উপরেও জোর দেওয়া হবে। চতুর্থত, ভারসাম্যপূর্ণ আঞ্চলিক উন্নয়ন লক্ষ্যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আরও সংযোগ স্থা়পন করাও অন্তর্ভুক্ত। যা ব্যাঙ্কিংকে আরও সার্বজনীন করতে সাহায্য করবে। আর সব শেষে, হাউজিংকে উৎসাহিত করার জন্য বাজেটের পুনরাবৃত্তির অর্থ হল, গ্রামীণ এবং শহর উভয় স্তরেই এই কর্মসূচি পালনে ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

গ্যারওয়্যার টেকনিক্যাল ফাইবারস লিমিটেডের সিইও শুজউল রেহমান (Shujaul Rehman, CEO, Garware Technical Fibres Limited):

অর্থমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন যে, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং জলবায়ু-সহনশীলজাত উদ্ভাবনের জন্য কৃষি গবেষণার রূপান্তর আমাদের কৃষি খাতের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা একেবারেই সঠিক। গ্যারওয়্যার টেকনিক্যাল ফাইবারস-এ আমরাও উদ্ভাবনী এবং স্থায়ী সমাধান প্রদান করে এই দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যা কৃষি দক্ষতা এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।

সাউথ সিটি প্রজেক্টস (কলকাতা) লিমিটেড-এর ম্যানেজিং পার্টনার এবং বিটিএল ইপিসি লিমিটেড, শ্রাচী এগ্রিমেক-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবি টোডি (Ravi Todi Managing Director at BTL EPC Ltd, Shrachi Agrimech | Managing Partner, South City Projects (Kolkata) Ltd)

ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের মাধ্যমে এমএসএমই-র সহায়তা বাড়ানোর ঘোষণা এবং একটি নতুন গ্যারান্টি ফান্ড চালু কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ব্যাঙ্ক ফিনান্সিংয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের অনুমতি দিয়ে এবং স্ট্রেসড লোনের জন্য গ্যারান্টি ফান্ডে অ্যাক্সেস প্রদান করার মাধ্যমে সরকার এমএসএমই-গুলির জন্য আরও ব্যাপক এবং অ্যাক্সেসযোগ্য সহায়তা নিশ্চিত করছে। এটি কেবল তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতাই বাড়াবে না, বরং এর পাশাপাশি এই খাতে বিকাশ এবং স্থিতিশীলতাকেও উন্নীত করবে।