Tag Archives: Happy Birthday

৬২ নট আউট! কপিল দেবের জন্মদিনে সচিন থেকে বিরাট, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার ঢেউ

#নয়াদিল্লি: ক্রিকেটের বাইবেল উইজডেনের বিচারে ভারতের একশো বছরের ইতিহাসে তিনি সেরা ক্রিকেটার। আইসিসির হল অব ফেমে জ্বলজ্বল করছে নাম। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ তিনি। সেই প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের জন্মদিন আজ। ৬২ তে পড়লেন কিংবদন্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার ঢেউ। প্রত্যেকে সম্মান এবং ভালোবাসা উজাড় করে দিচ্ছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের জন্য।


সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন,” শুভ জন্মদিন পাঁজি। প্রার্থনা করি বছরটা খুশিতে কাটুক এবং শরীর সুস্থ থাকুক”।

বিরাট কোহলি লিখেছেন,”আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে এই দিনটির শুভেচ্ছা। দারুণ একটা বছর যাক। সুস্থ থাকুন”

হরভজন সিং লিখেছেন,”কপিল দেব, আপনার জন্যই আমাদের মত ছেলেরা দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছিল। সব সময় ভালোবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি আপনার। নতুন বছর এবং জন্মদিন ভালো কাটুক”।

নভজোৎ সিং সিধু লিখেছেন,”যেদিন লর্ডস ব্যালকনি থেকে আপনি বিশ্বকাপ ধরেছিলেন, সেদিন প্রত্যেক ভারতবাসী স্বপ্ন দেখেছিল। সেরাদের মধ্যে আমরাও আসতে পারি সেটা প্রমাণ করেছিল আপনার ওই ছবিটা। আপনি সত্যিকারের নেতা”।

শিখর ধাওয়ান লিখেছেন,”ভারতের সব ক্রিকেটারদের কাছে আপনি উদাহরণ। সত্যিকারের কিংবদন্তি। জন্মদিন ভালো কাটুক”।

ইরফান পাঠান লিখেছেন,”ক্রিকেটের কিংবদন্তি তো বটেই। কিন্তু তার থেকেও ভালো মানুষ। হ্যাপি বার্থডে”।

সদ্য নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া চেতন শর্মা লিখেছেন,”মেন্টর, অধিনায়ক এবং আমার কাছে বড় দাদা। তোমাকে দেখেই শিখেছি। শুভ জন্মদিন”।

কপিল দেব শুধু তো একটা নাম নয়। একটা জীবন্ত লড়াইয়ের দলিল। প্রথম এবং একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ব্যাট হাতে পাঁচ হাজারের বেশি রান এবং বল হাতে চারশোর ওপর উইকেট। প্রথম ভারতীয় ফাস্ট বোলার যাঁর বল খেলতে হেলমেট লাগত বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের সামনে দাড়ানো ভয়ংকর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র একশো তিরাশি রানের পুঁজি নিয়ে হারানো সম্ভব কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু বিশ্বাস হারাননি কপিল দেব।

রিচার্ডস, গ্রিনিজদের হারিয়ে বিশ্ব সাক্ষী থেকেছিল টিম ইন্ডিয়ার প্রথম বিশ্ব জয়ের। বলতে হবে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দলের বিপদের সময় বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে সেই একশো পঁচাত্তর রানের ইনিংসের কথা। কপিল দেব শুধু ভারতের নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। নিজের সমসাময়িক অন্য দুই অলরাউন্ডার ইমরান খান এবং ইয়ান বোথাম দুজনেই স্বীকার করেন সেটা।

৩৪-র জন্মদিন! চোখ ধাঁধিয়ে দেবে বলি অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারির সাজবাহার, দেখুন…

#মুম্বই: ৩৪-র ঘরে পা রাখলেন বলি অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি। আমাদের তরফ থেকে রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।

কিন্তু বলতেই হয়, ছবির জগৎ যতটা না এই অভিনেত্রীর চোখ ঝলসানো সৌন্দর্যকে বার বার ব্যবহার করেছে রুপোলি পর্দায়, ততটা তাঁর অনবদ্য অভিনয় প্রতিভার দিকে নজর দেয়নি। সেই ২০০৬ সালে যখন মামুথির বিপরীতে প্রজাপতি নামের মলয়ালম ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অদিতি, তখন থেকেই এই অভিযোগ সমানে করে চলেছেন সমালোচকরা।

যদিও অদিতি প্রতিটি কাজেই দিয়ে চলেছেন তাঁর সেরাটা! ইমতিয়াজ আলির রকস্টার হোক বা সঞ্জয় লীলা বনশালীর পদ্মাবত- পরিচালকেরা নেহাতই ছোট চরিত্র তাঁর জন্য চিত্রনাট্যে রাখলেও প্রতি বলে ছয় হাঁকাচ্ছেন মেয়ে!

একই সঙ্গে বলিউডের সব নায়িকাকে তিনি টক্কর দিচ্ছেন তাঁর ধ্রুপদী ফ্যাশন স্টেটমেন্টের দিক থেকেও। যেমন এই উপরের ছবিটার কথাই ধরা যাক না কেন! হালকা নীল টাই অ্যান্ড ডাই কুর্তা, সাদা শরারা আর টেনে বাঁধা চুল- এই সাজে অদিতি যেন একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে!

বেশ বড় ঝোলা কানের গয়না আর খোলা চুল- অদিতির ফ্যাশন স্টেটমেন্টের অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে। সঙ্গে সাবেকি পোশাক। যেমন এই মাখনরঙা আনারকলি! চাইলে কিন্তু আসন্ন দিওয়ালির রাতে আপনিও নিজেকে সাজাতে পারেন এই ঘরোয়া সাজে।

পোশাকি বা ফর্ম্যাল সাজের দিক থেকেও নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে অদিতির জুড়ি নেই। যেমন এই সাদা নট-বাঁধা শার্টটার কথাই ধরুন! সঙ্গে রয়েছে মাটিতে প্রায় লুটিয়ে থাকা রয়্যাল ব্লু স্কার্টের যুগলবন্দি। এই সাজে ডেট থেকে অফিস- সামলে নেওয়া যায় সব কিছুই!

ফ্যাশনদুনিয়ার একটা বড় অংশই জুড়ে থাকে প্রিন্ট। অদিতি মূলত একরঙা বা সুতোর নকশা তোলা পোশাক পছন্দ করলেও মাঝে মাঝে প্রিন্টেড স্টাইলেও ধরা দিয়ে থাকেন। যেমন এই লাল আর কালোর মিশেলের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন গাউনটার কথা ধরা যাক! খারাপ লাগছে কি?

তবে যতই গয়না পরতে ভালোবাসুন না কেন, দরকারে অদিতি নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট একেবারে ভেঙে ফেলে নয়া রেকর্ড গড়তে জানেন। যেমন উপরের ছবিটা দেখুন না, দীপবীরের বিয়েতে এই সাজেই গিয়েছিলেন তিনি। যেখানে বাকি নায়িকারা চোখ ঝলসে দিয়েছিলেন গয়নার আলোয়, সেখানে অদিতি কোনও গয়না ছাড়াই হাল্কা গোলাপি লেহঙ্গা আর ঘন লাল জ্যাকেটের ইন্দো-ওয়েস্টার্ন সাজে মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন সবারই।

Happy Birthday ধোনি, ৪০ -র ক্যাপ্টেন কুল ভাসছেন শুভেচ্ছার বন্যায়

কলকাতা: ঝাড়খন্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, আর তারপর যা করেছেন তা ইতিহাস।তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ ক্যাপ্টেন কুল ৩৯ পেরিয়ে ৪০ পা রাখলেন মঙ্গলবার ৷ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর মাত্র নিজের পঞ্চম ম্যাচেই ১৪৮ রান করে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন আর পাঁচজনের মতো তিনি সুযোগ পেয়ে হারিয়ে যেতে আসেননি ৷ তিনি প্রমাণ করতে এসেছিলেন, ছোট শহর হলেই প্রতিভা ছোট হয় না৷ প্রতিভার কোনও ভৌগোলিক স্থানমাহাত্ম্যও থাকে না ৷ প্রতিভা হয় নিজের মতো যার বিচ্ছুরণে গোটা দুনিয়া আলোকিত হয় ৷

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনির দুটি শতরান তাঁকে জাতীয় দলে জায়গা পাকা করে দিয়েছিল ৷ সে সময়ের শিরোনাম ছিনিয়ে নেওয়া তরুণ ক্রিকেটার ভবিষ্যতের সেরা প্রতিভা হয়ে দল পরিচালনা করবেন এমনটা বুঝেছিলেন ক্রিকেটবোদ্ধারা ৷ ৭ জুলাই জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সারা বিশ্ব ৷ বিসিসিআই  ধোনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ৭০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও তাঁর ধামাকার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে ৷

 

 

মাহিকে খুঁজে পেয়েছিল বিসিসিআইয়েক প্রতিভা অনুসন্ধান বিকাশ বিভাগ৷ ধোনিকে সুযোগ দেওয়ার জন্য তাদের নিয়মবিধি শিথিল করতে হয়েছিল ৷ কারণ ধোনির প্রতিভাকে আন্তর্জাতিক মঞ্চ মাতাবে জন্য এটা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা৷

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই অজি তারকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সঙ্গে তাঁর তুলনা শুরু হয়েছিল ৷ শেষ ওভারে দেশকে ম্যাচ জেতানোর নিয়মিত অভ্যাস করে ফেলা ধোনির নাম হয়েছিল- ফিনিশার ৷ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার তিন বছরের মধ্যেই টি টোয়েন্টি ও একদিনের দলের অধিনায়ক নিযুক্ত হন তিনি ৷ তাঁর অধিনায়কত্বে ২০০৭ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে টিম ইন্ডিয়া ৷

 

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে যে ধোনি ধামাকা শুরু তারপর থেকে একের পর এক সিরিজ জিতে ২০০৯ সালে ভারতে বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক নম্বরে পৌঁছে দেন তিনি ৷ তবে ২০১১-১২ তে টানা ৮ টি হারের পর ভারত নিজের শীর্ষস্থান খোওয়ায়৷ কিন্তু ২০১১ তে ধোনি নিজের কেরিয়ারের ও ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা স্বীকৃতি পাইয়ে দেন ৷ ১৯৮৩ -র দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০১১ সালে ফের বিশ্ব ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত ৷ ২০১১ -র বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৪-০ জেতে ধোনির ভারত ৷  এরপর ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও পরের বছর  টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছয় ভারত ৷

মহেন্দ্র সিং ধোনি ৩৫০ টি একদিনের ম্যাচে ৫০.৫৭ গড়ে ১০.৭৭৩ রান করেন, যাতে ১০ টি শতরান ও ৭৩ টি অর্ধশতরান আছে ৷ একদিনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে তাঁর সর্বোচ্চ রান ১৮৩ ৷ উইকেটের পিছনে ধোনির শিকারের সংখ্যা ৪৪৪ ৷

ধোনি ৯০ টি টেস্ট ম্যাচে ৩৮.০৯ গড়ে ৪৮৭৬ রান করে ৷ তাঁর কেরিয়ারে ৬ টি শতরান রয়েছে ৷ ৩৩ টি অর্ধশতরান রয়েছে ৷ টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ রান ২২৪ ৷ টেস্টে উইকেটের পিছনে তাঁর শিকার ২৯৪ ৷ ,

ভারতের জার্সিতে ৯৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৷ ৩৭.০৬ গড়ে তার মোট রান ১৬১৭ ৷ যাতে ২ টি অর্ধশতরান রয়েছে ৷ এই ফর্ম্যাটে তাঁর স্কোর ৫৬, উইকেটের পিছনে তাঁর শিকার ৯১ ৷