ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax : ITR ফাইল করার পরেও নোটিস? কোন কোন কারণে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর? জেনে নিন বিশদে Gallery September 18, 2024 Bangla Digital Desk আয়কর নোটিস এলে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দিতে হবে। সেই সঙ্গে পেশ করতে হবে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। আসলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন ফাইল করলে আয়কর বিভাগের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এড়ানো যায়। আসলে এক অর্থবর্ষের মধ্যে যদি কারও মোট রোজগার করযোগ্য আয়ের আওতায় আসে, তাহলে আইটিআর ফাইল করতে হবে। Representative Image করদাতারা যদি সময়ের মধ্যে রিটার্ন ফাইল না করেন, তাহলে আয়কর দফতর তাঁদের নোটিস পাঠাতে পারে। তবে অনেকে ডেডলাইনের মধ্যে আইটিআর ফাইল করলেও ট্যাক্স নোটিস পান অনেক করদাতাই। কিন্তু ট্যাক্স নোটিস আসার সম্ভাব্য কারণগুলি কী কী হতে পারে, সেটাই জেনে নেওয়া যাক। করদাতার বর্ণিত আয় এবং আসল আয়ের মধ্যে অসঙ্গতি: যাঁরা কর ফাঁকি দিতে চান, তাঁদের উপর সদাই নজর রাখে আয়কর দফতর। ফলে কর্তৃপক্ষের যদি সন্দেহ হয় যে, করদাতা দ্বারা বর্ণিত আয় এবং তাঁর আসল আয়ের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে, তাহলে তাঁর কাছে নোটিস আসতে পারে। প্রচুর টাকার লেনদেনের কথা না লেখা: যদি উচ্চ দরের লেনদেনের কথা আইটিআর-এ উল্লিখিত না থাকে, তাহলে ট্যাক্স আধিকারিকদের নজরদারির আওতায় পড়তে হবে। এই লেনদেনের মধ্যে অন্যতম হল – প্রচুর নগদ জমা, সম্পত্তি অথবা বিলাসবহুল দ্রব্য ক্রয় ইত্যাদি। অসম্পূর্ণ ডকুমেন্টেশন: আইটিআর ফাইলিংয়ের সময় প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি অ্যাটাচ না করলে আয়কর আধিকারিকদের থেকে নোটিস পেতে পারেন। তাই সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা করতে হবে। দেরিতে ফাইলিং কিংবা নন-ফাইলিং: আইটিআর সময়ে ফাইল না করলে কিংবা সেটা একেবারেই ফাইল না করলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর। বারবার স্ক্রুটিনি: আয়কর দফতর এলোমেলো ভাবে ফাইল সিলেক্ট করে। যেগুলির ট্যাক্স রিটার্নের স্ক্রুটিনি করা হয়। ট্যাক্স রিটার্ন সঠিক ভাবে সময়ে ফাইল করা হলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। অতিরিক্ত ডিডাকশন: কেউ যদি অতিরিক্ত ডিডাকশন দাবি করেন, তাহলে ইনকাম ট্যাক্স আধিকারিকরা আরও স্ক্রুটিনির জন্য নোটিস পাঠাবেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন: সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এক অর্থবর্ষে ১০ লক্ষ টাকার বেশি জমা বা লেনদেন করা যায় না। এটাই সীমা। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫০ লক্ষ টাকা। একক লেনদেনে ২ লক্ষ টাকার বেশি জমা বা তোলা যাবে না। এক্ষেত্রেও আয়কর বিভাগ নোটিস ধরাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য Income Tax Notice: স্বামীর কাছ থেকে মাসের খরচার টাকা নেওয়ার জন্য আয়কর নোটিস পেতে পারেন স্ত্রী ? জেনে নিন Gallery March 29, 2024 Bangla Digital Desk কেউ যদি নিজের স্বামীর কাছ থেকে গৃহস্থালির খরচের জন্য প্রতি মাসে টাকা পান বা স্বামী যদি স্ত্রীকে উপহার হিসাবে কিছু দেন, তাহলে কি তার উপর ট্যাক্স দিতে হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আয়ের ওপর স্ত্রীকে কোনও কর দিতে হবে না। কর বিশেষজ্ঞ শরদ কোহলি সিএনবিসি আওয়াজকে বলেছেন যে, এই অর্থ শুধুমাত্র স্বামীর আয় হিসাবে দেখা হবে। যাই হোক, স্ত্রীর কর দেওয়ার প্রশ্ন তখনই উঠবে, যখন তিনি এই টাকা কোথাও বিনিয়োগ করবেন। বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয়ের উপর স্ত্রীকে কর দিতে হবে। বছর থেকে বছরের ভিত্তিতে গণনা করা বিনিয়োগ আয় স্ত্রীর আয় হিসাবে বিবেচিত হবে, যার উপর কর দিতে হবে। এটি লক্ষ্যণীয় যে একটি সীমা অতিক্রম করে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে জরিমানা করার বিধানও রয়েছে। শরদ কোহলির মতে, আয়করের ধারা 269SS এবং 269T-এর অধীনে, ২০ হাজার টাকার বেশি নগদ লেনদেনে জরিমানা দেওয়ার বিধান রয়েছে। তবে রক্তের সম্পর্ক বা নিকটাত্মীয়রাও এই নিয়ম থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রীসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয়কে এ নিয়মের বাইরে রাখা হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে কর দিতে হতে পারে। কর দিতে হবে না –যদি কোনও ব্যক্তি তার স্ত্রীকে টাকা বা উপহার দেন, তাহলে স্ত্রীকে কোনও কর দিতে হবে না। এই উপহার বা নগদ পরিমাণ শুধুমাত্র স্বামীর উপার্জনে যোগ করা হবে। এর উপর করের দায় শুধুমাত্র স্বামী বহন করবেন। স্ত্রীকে আপেক্ষিক বিভাগে রাখা হয়েছে, তাই তাঁর উপহার লেনদেনের উপর কোন কর নেই। যেখানে বিনিয়োগের উপর কর দিতে হবে –স্ত্রী যদি স্বামীর দেওয়া অর্থ FD, SIP, স্টক মার্কেট, সোনা, সম্পত্তি বা অন্য কোনও বিকল্পে বিনিয়োগ করেন, তাহলে সেখান থেকে যে রিটার্ন পাবেন তার ওপর তাঁকে ট্যাক্স দিতে হবে। এই বিনিয়োগের আয়ের উপর মূলধন লাভ বিভিন্ন সময়কাল অনুযায়ী প্রযোজ্য। অতএব, সব ধরনের বিনিয়োগের উপর ট্যাক্স সমান হবে না।