লাইফস্টাইল Insulin for Diabetes Control: সুগারের রোগীদের কোন পর্যায়ে নিতে হয় ইনসুলিন? ওষুধ খেয়েও কি এড়ানো যায় না! জানালেন চিকিৎসক Gallery August 7, 2024 Bangla Digital Desk হাই ব্লাড সুগার বা ডায়াবেটিস এখন প্রায় প্রতি ঘরের সমস্যা৷ এটা এমন একটা রোগ যা অন্য হাজার একটা অসুখকে শরীরে টেনে আনে৷ ঠিক মতো সুগার কন্ট্রোল না করলে ভবিষ্যতে কিডনি ফেলিওর-সহ, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে৷ সেই কারণে, সুগার ধরা পড়ার পর থেকেই কোনও রকম গাফিলতি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ও খাবার-দাবার নিয়ন্ত্রণ করে সুগার কন্ট্রোলে রাখা উচিত৷ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম ছাড়াও কিছু ওষুধ খেতে হয়। এই ওষুধগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে কিছু ডায়াবেটিক রোগী সুগার নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের ডোজ নেন। অনেকেই এটা মনে করেন যে শুধুমাত্র টাইপ 1 ডায়াবেটিস রোগীদেরই ইনসুলিন প্রয়োজন হয়, টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না। তবে এই তথ্য সঠিক নয়। নয়াদিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের প্রিভেনটিভ হেলথ ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডাঃ সোনিয়া রাওয়াত নিউজ 18 কে জানান, দুই ধরনের ডায়াবেটিস আছে। টাইপ 1 ডায়াবেটিস এবং টাইপ 2 ডায়াবেটিস। যে সমস্ত মানুষ টাইপ 1 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হওয়াই বন্ধ হয়ে যায় বা খুব কম পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি হয়। সেই কারণে এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন ইনসুলিন নিতে হয়। কিন্তু, টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয়, তবে তা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই যখন কোনও ব্যক্তির প্রথম টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তখন তাঁকে সাধারণত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক ওরাল ট্যাবলেট দেওয়া হয়। তবে এ ধরনের রোগীদেরও অনেক ক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু, কখন? ডাঃ রাওয়াত বলেন যে টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ দেওয়া হয়, কিন্তু অনেক রোগীর জন্য এই ওষুধগুলি অকার্যকর হতে শুরু করে এবং তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হতে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদেরও ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। যখন কোনও ব্যক্তির ব্লাড সুগার ৩০০-৩৫০ mg/dL হয়ে যায়৷ A1C 7%- এর বেশি হয়ে যায়, তখন ২-৩ মাস ওষুধ খেয়ে দেখার পরেও যদি সুগার নিয়ন্ত্রণে না আসে এবং A1C 7%- এর নীচে না নামে, তাহলে অনেক সময় চিকিৎসকেরা সেই রোগীকে ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ এছাড়াও, ওষুধের বদলে ইনসুলিন প্রেসক্রাইব করার পিছনে রোগীদের আরও অন্যান্য কোমর্বিডিটিও খেয়াল রাখা হয়৷ যে সমস্ত রোগীর ঘন ঘন সুগার ফল করার বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার প্রবণতা থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও ইনসুলিম থেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা৷ হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হার্ট, কিডনি, লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম থেকই ইনসুলিন থেরাপি চালু করে দেওয়া লাভদায়ক প্রমাণিত হতে পারে৷ তবে কোন রোগীকে ওষুধ দেবেন এবং কখন কোন রোগীকে ইনসুলিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা শুরু হচ্ছে, তার পুরোটাই তাঁর চিকিৎসক সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন৷ প্রতিটি রোগীর ক্ষেত্রে এই প্যারামিটারগুলি এক রকম ভাবে বিবেচ্য হয় না৷ তাই সুগার থাকলে, নিয়মিত ওষুধ থান, প্রতি মাসে ফাস্টিং, পিপি এবং প্রতি তিন মাস অন্তর HbA1c পরীক্ষা করান৷ রিপোর্ট দেখিয়ে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রত্যেক মানুষের শরীর এবং রোগের ধরন ভিন্ন৷ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই পদক্ষেপ স্থির করুন৷
লাইফস্টাইল Insulin For Diabetes: ইনসুলিন নিচ্ছেন? এই ভুল করলেই মারাত্মক বিপদ, অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এই বিষয়গুলো– Gallery May 9, 2024 Bangla Digital Desk ইদানীং ঘরে ঘরে বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পর-ও যখন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তখন ইনসুলিন নিতে হয়। আপনি যদি নিয়মিত ইনসুলিন নেন, তবে অবশ্য-ই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন, নয়তো হীতে বিপরীত হতে পারে– যখন অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন বেরোয় না, তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হয়৷ তবে সতর্ক থাকতে হবে ইনসুলিনের মাত্রা সম্পর্কে। আপনার নির্দিষ্ট ডোজ-এর উপর-নীচ হয়ে গেলেই মারাত্মক বিপদ হতে পারে। একবার ইনসুলিন নিলে সারা জীবন দিতে হয়—এটি ভুল ধারণা। কিছু ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে, যেমন—অপারেশনের আগে, গর্ভাবস্থায়, ডায়াবেটিস খুব বেড়ে গেলে ইনসুলিন শুরু করে প্রয়োজনে তা আবার বন্ধ করে ওষুধে ফিরে আসা যায়। ইনসুলিন সাধারণত চামড়ার নীচে দেওয়া হয়। দুই আঙুল দিয়ে চামড়া টেনে ধরে ৪৫-৯০০ কোণে সূঁচ প্রবেশ করাতে হবে, সূঁচ পুরোটা ঢোকাতে হবে। যেসব জায়গায় ইনসুলিন দেওয়া যায়- পেটের চামড়া ইনসুলিন দেওয়ার জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা, নাভি বাদ দিয়ে এবং নাভির উপরে-নীচে দুই আঙুল বাদ দিয়ে পুরো পেটে একেক দিন একেক জায়গায় ইনসুলিন দেওয়া যায়। এছাড়া ইনসুলিন দেওয়া যায় ঊরুর বাইরের পাশে, বাহুর বাইরের পাশে ইনসুলিন নিলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে ঠিকই, কিন্তু তাই বলে যা-ইচ্ছে খাচ্ছেন, এমনটা করলে চলবে না। আপনাকে ডায়াবেটিক ডায়েট মেনেই চলতে হবে। ইনসুলিন নিয়ে খাবার না খেলে বা অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে ব্লাড সুগার কমে গিয়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, এটি প্রতিরোধ করার জন্য ইনসুলিন নিয়ে আধাঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই খেতে হবে এবং অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না। যখন ইনসুলিন নিচ্ছেন, তখন নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে হবে। শর্করার মাত্রা কম-বেশি হলে সেই বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিনের মাত্রাও কমবেশি করতে হবে। অনেকের ক্ষেত্রেই ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা দেয়, অর্থাৎ, ইনসুলিন নিয়েও সুগার কমে না। সেক্ষেত্রে এক্সারসাইজ করতে হবে। ব্যায়াম করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়। ইনসুলিন কখনো ডিপফ্রিজে রাখা যাবে না। নরমাল ফ্রিজে রাখতে হবে। সরাসরি সূর্যালোক বা অত্যধিক তাপমাত্রায় ইনসুলিন রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত অব্যবহৃত ইনসুলিন নরমাল ফ্রিজে রাখুন। ব্যবহৃত ইনসুলিন কম তাপমাত্রায় রাখা যাবে, যা অত্যধিক গরম নয়, কিন্তু ইনসুলিনের নীচে দানা দানা পড়ে গেলে ব্যবহার করা উচিত না। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার বেশি ইনসুলিন ফ্রিজের বাইরে রাখলে কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, ইনজুলিন যেন জমে না যায়। একবার খোলার পর ইনসুলিন ২৮ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না। ইনসুলিন নেওয়ার আগে রং, ফ্লুইডিটি খতিয়ে দেখে নিন। ইনসুলিন নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সুচ বদলাতে হবে। না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ইনসুলিনের ডোজ নিতে হবে সময় মেনে। যদি নিতে ভুলে যান, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।