ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Scheme For Women: স্বনির্ভরতার বড় ঠিকানা; কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে মহিলারা পাবেন মুঠো মুঠো টাকা, দেখে নিন Gallery March 28, 2024 Bangla Digital Desk সময় বদলাচ্ছে। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহিলারাও সমস্ত কাজে এগিয়ে আসছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে বিনিয়োগের প্রতি ঝোঁকও বাড়ছে তাঁদের। আজকের দিনে বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের বিকল্প পাওয়া যায়। তবে আজ কথা বলা যাক মহিলাদের জন্য কয়েকটি সেরা বিনিয়োগ বিকল্প প্রসঙ্গে। যেগুলি দীর্ঘ মেয়াদে ভাল পরিমাণ রিটার্ন দিতে সক্ষম। এই প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়। টাকার দরকার আছে সবারই, বিনিয়োগও এক সার্বজনীন পদ্ধতি। তাহলে এখানে পুরুষ আর নারীর তফাত কেন করা হচ্ছে? এই প্রেক্ষাপট নিতান্তই সামাজিক। একটা সময়ে নারীর ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করত পরিবার। কিন্তু আধুনিক সমাজে ক্রমশই বাড়ছে সিঙ্গল নারীর সংখ্যা। তিনি সিঙ্গল মাদারও হতে পারেন বা অবিবাহিতা। কিন্তু এটুকু স্পষ্ট যে তাঁর যাবতীয় ব্যয়ভার তাঁকে নিজেকেই বহন করতে হয়। এছাড়া মহিলাদের এমন অনেক কিছুর দরকার হয়, যা একজন পুরুষের না হলেও চলে যায়। আছে সেই খরচের দিকটাও। সঙ্গে মাথায় রাখতে হয় অবসর গ্রহণের পরের জীবনের কথাও। সব মিলিয়ে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রকল্প তাই খুবই জোরালো হওয়া প্রয়োজন। যাতে বেশ ভাল মতো এক তহবিল গড়ে তোলা সম্ভব হয়। কীভাবে তা সম্ভব হতে পারে, সেটাই এবার দেখে নেওয়া যাক এক এক করে। সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড:মিউচুয়াল ফান্ডে বড় কিংবা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা যায়। আবার মোটা অঙ্কের টাকা না থাকলে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমেও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা সম্ভব। বেশির ভাগ মহিলা বিনিয়োগকারী এসআইপি বেছে নেন। এর কারণগুলি নিম্নোক্ত: ৫০০ টাকারও কম পরিমাণ অর্থ মাসিক বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এই পরিমাণ অর্থই কাঙ্ক্ষিত মিউচুয়াল ফান্ডে জমা রাখা যায়। এক বারে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ বিকল্পের পরিবর্তে বিনিয়োগকারীরা মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত সময়সীমার জন্য জমা রাখা যেতে পারে। এর থেকে ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। এখানেই শেষ নয়, এসআইপি-র আরও একটি সুবিধা আছে। সেটা হল, বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও বৈচিত্র্যপূর্ণ করতেও সাহায্য করে এসআইপি। লো থেকে মিডিয়াম রিস্ক অ্যাপেটাইটের নিরিখে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সমস্ত মহিলা বিনিয়োগকারীর জন্য আদর্শ। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড:অন্যতম নিরাপদ এবং সরকার চালিত সেভিংস প্লাস ইনভেস্টমেন্ট স্কিম হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেই সব মহিলা বিনিয়োগকারীদের জন্য এটা সেরা বিকল্প, যাঁরা একেবারেই ঝুঁকি নিতে চান না। নির্ধারিত সময়সীমার পরে একটা ভাল অঙ্কের অর্থ রিটার্ন হিসেবে পাওয়া যায়। কয়েকটি বৈশিষ্ট্য:সমস্ত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই পিপিএফ অ্যাকাউন্টের সুবিধা প্রদান করে। এটি একটি নিরাপদ বিনিয়োগ তথা সেভিংস প্ল্যান। যা সরকার দ্বারা চালিত। এতে ঝুঁকি নেই, আর ভবিষ্যতে ভাল রিটার্নও দেয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পিপিএফ বিনিয়োগের বার্ষিক সুদের হার ৭.১ শতাংশ। পিপিএফ-এর ১৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ড রয়েছে। যা আরও ৫ বছরের জন্য বাড়ানো সম্ভব।পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম বার্ষিক ৫০০ টাকা জমা রাখা যায়। পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ বার্ষিক ১৫০০০০ টাকা জমা রাখা যায়।১৯৬১-র আয়কর আইনের ৮০সি ধারার আওতায় পিপিএফ ট্যাক্স বেনিফিট প্রদান করে। ফিক্সড ডিপোজিট:আর একটা নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হল ফিক্সড ডিপোজিট। সমস্ত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানই এই সুবিধা প্রদান করে। তবে এক-এক জায়গার সুদের হার এক-এক রকম। আর ঝুঁকিও থাকে স্বল্প। ভবিষ্যতে ভাল পরিমাণ অর্থ রিটার্ন পেতে চাইলে এখানে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। কয়েকটি বৈশিষ্ট্য: বার্ষিক সুদের হার ১.৮৫ শতাংশ থেকে ৬.৯৫ শতাংশ।ন্যূনতম জমার পরিমাণ ১০০০ টাকা। ৭ দিন থেকে ১০ বছরের মেয়াদের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। সোনা:যুগ যুগ ধরে বিনিয়োগের জনপ্রিয় বিকল্প হল সোনা। গত ৫০ বছরে সোনার হিসেব দেখলে বোঝা যাবে মহিলাদের জন্য উপযোগী বিনিয়োগের মাধ্যম এই মূল্যবান ধাতু। মুদ্রাস্ফীতির সময় কিংবা মার্কেটে পতন হলেও সোনার দাম কিন্তু সব সময়ই উর্ধ্বমুখী থাকে। ন্যাশনাল পেনশন স্কিম:ভারত সরকার এই স্কিম চালু করেছে। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দ্বারা পরিচালিত। এটাও মহিলাদের জন্য বিনিয়োগের দারুন বিকল্প। অবসর গ্রহণের পরে মহিলা বিনিয়োগকারীরা হাতে যদি ভাল পরিমাণ অর্থ হাতে পেতে চান, তাহলে চোখ বুজে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। আর সবথেকে বড় কথা হল, এতে ঝুঁকি একেবারেই নেই।
ব্যবসা-বাণিজ্য Investment Tips: ২০ বছর পর ৫০ লাখ টাকার মূল্য কত হবে? ভবিষ্যতে তাতে কুলোবে তো? Gallery March 14, 2024 Bangla Digital Desk ভবিষ্যতের জন্যই সঞ্চয়। যাতে টাকাপয়সা নিয়ে ভাবতে না হয়। মোটা রিটার্নে নিশ্চিন্তে কাটে। কিন্তু বাজারদর? আজ থেকে ১৫-২০ বছর পর বাজারে বিশাল পরিবর্তন হবে। আজ যে ৫০ লাখ টাকা নিরাপদ মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে তাতে কুলোবে তো? এই প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সঞ্চয় এবং রিটার্নের দৌড়ে মুদ্রাস্ফীতিকে ভুলে গেলে চলবে না। অধিকাংশ মানুষ এই ভুলটাই করেন। ফলে আর্থিক লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। সোজা কথায়, মূদ্রাস্ফীতি বিনিয়োগ বা সঞ্চয়কে গিলে ফেলে। ৫০ লাখ টাকার মূল্য আজ থেকে ২০ বছর পর কত হবে, সেটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ লাখ টাকা ২০ বছর পর কত দাঁড়াবে: টাকার মূল্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে। কারণ বাজারদর বাড়ে। আজ থেকে ৩০ বছর আগে ১০০০ টাকার যে মূল্য ছিল, আজ তা নেই। একইভাবে আজ ৫০ লাখ টাকার যে মূল্য রয়েছে, ২০ বছর পর তা থাকবে না। ইনফ্লেশন ক্যা লকুলেটরে এই হিসেব করা যায়। প্রসঙ্গত, মুদ্রাস্ফীতি ক্যালকুলেটর বা ফিউচার ভ্যালু ক্যালকুলেটর মুদ্রাস্ফীতির হারের উপ্র ভিত্তি করে ভবিষ্যতের মূল্য গণনা করতে সাহায্য করে। এতে ২০ বছরে ৫০ লাখ বা ১ কোটি টাকার মূল্য কত দাঁড়াবে তা সহজেই গণনা করা যায়। মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ ধরে নেওয়া যাক। অবশ্য এই সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। যাইহোক, ইনফ্লেশন ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, আজ ৫০ লাখ টাকায় যে সব জিনিস পাওয়া যায়, ২০ বছর বাদে সেই জিনিস কিনতে ১ কোটি ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। ফলে যে সব বিনিয়োগকারী ২০ বছর পরে ৫০ লাখ টাকা সঞ্চয় করতে চান, তাঁদের ১.৬ কোটি টাকার লক্ষ্য নিতে হবে। একইভাবে ১ কোটি টাকার মূল্যও কমবে। ইনফ্লেশন ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৬.৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি ধরে ২০ বছর পর ১ কোটি টাকা আজকের বাজার মূল্যের ৩০ লক্ষ টাকার আশপাশে থাকবে। তাই বিনিয়োগ করার আগে মুদ্রাস্ফীতির হার মাথায় রাখার পরামর্শ দেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা।