সামনের মরশুমে আইপিএলের নিলামের আগে বোর্ড আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিদের নিয়ে বৈঠক করেছিল৷ অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ৩১ জুলাই আইপিএল এবং বিসিসিআই-এর মধ্যে বৈঠকে মেগা নিলামের বিষয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে৷বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) কী ভাবনা চিন্তা করছে তার ওপর অনেকটাই আলোকপাত করেছে৷ আইপিএলের মেগা নিলাম খুব তাড়াতাড়ি হচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে, বোর্ড দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে দেখা করেছিল এবং একাধিক বিষয়ে মালিকদের মতামত জানতে চেয়েছিল।মেগা নিলাম এবং প্লেয়ার রিটেনশন এই দুটি পয়েন্টেই সবচেয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ এমনকি কেকেআর এবং পঞ্জাব কিংসের মালিকরা মতানৈক্যের কারণে ঝগড়াতেও জড়িয়েছেন৷মেগা নিলাম সম্পর্কে আইপিএল মালিকদের সংরক্ষণ কতজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার বা রিটেনশনের উপায় রাখা হবে তা সরাসরি মেগা নিলামের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি দীর্ঘ এবং স্বল্পমেয়াদী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে। যদি প্রতি ৩ বছরে একটি মেগা নিলাম হয়, একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়দের জন্য বিনিয়োগ করতে সক্ষম হবে না এবং বরং স্টপ-গ্যাপ সমাধানের জন্য যাবে।আইপিএল ২০২৪ মরশুমের দুই ফাইনালিস্ট সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স এই সমস্যাটি তুলে ধরে। এই দুটি দলই মনে করেছিল যে ২০২২ সালের শেষ মেগা নিলামের পর থেকে তারা যেভাবে দল গঠন করেছে, এবং তারপর যদি তারা মাত্র ৪ জন প্লেয়ারকে ধরে রাখার অনুমতি পায় তাহলে তাদের সব ভাবনাচিন্তার ব্লু প্রিন্ট ঘেঁটে যাবে৷কিন্তু বিসিসিআই মেগা নিলাম বন্ধের পথে হাঁটবে না। ক্রিকবাজের মতে, বোর্ড আইপিএলের মেগা নিলাম বন্ধ করবে না তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগে যে সর্বাধিক ৪ জন প্লেয়ার রিটেন করার অপশন দেওয়া হত তাতে পরিবর্তন আনা হতে চলেছে৷ ৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার অনুমতি দিতে পারে বিসিসিআই৷ এছাড়াও রাইট টু ম্যাচ (RTM) ফেরানো হতে পারে, দলগুলিকে RTM এবং রিটেনশনের যৌথ উপায়ে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারে৷২০১৮ সালের মেগা নিলামের পর থেকে আর আরটিএম বিকল্পটি ব্যবহার করা হয়নি। তখন, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বাধিক ৫ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল পাশাপাশি আরটিএম ব্যবহার করে ৩ জনের বেশি ক্রিকেটারকে কেনা যেত না।আর একটি অ্যাজেন্ডায় মিটিংয়ে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হতে পারে৷ বিভক্ত কারণ সমস্ত দলের নিজস্ব পছন্দের তালিকা রয়েছে। যারা গত কয়েক বছরে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন তাঁরা আরও ধরে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন অন্যদিকে যে দলগুলি সাফল্য পায়নি তারা এই নিয়মের বদল ঘটাতে চায়৷ এমন কিছু দল আছে যারা গত ৪-৫ বছর ধরে ক্রিকেটারদের ধরে রেখেও কোনও লাভ পায়নি৷
Shah Rukh Khan in IPL Meet: বুধবার আইপিএলের সমস্ত ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে বৈঠক ছিল বোর্ডের৷ সেই বৈঠকে কি পুরো বদলে যাবে আইপিএলের খোলনলচে, আইপিএল ২০২৫ -র নিলামে কি ফের মেগা অকশন বা মেগা নিলাম হবে এই সব কিছুর দিকেই নজর ছিল সকলের৷ কিন্তু সেই মিটিংয়ে শিরোনাম ছিনিয়ে নিলেন কেকেআরের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখ খান৷কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক এবং বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান বুধবার মুম্বইতে বিসিসিআই সদর দফতরে আইপিএল মালিকদের মিটিং চলাকালীন প্রীতি জিন্টার দল পঞ্জাব কিংসের সহ-মালিক নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত তর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ সর্বভারতীয় একটি খেলার সংস্থা ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে৷প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলামের আগে কেকেআর ও পঞ্জাব কিংস প্লেয়ার রিটেনশনের সিদ্ধান্তে সহমত হয়নি৷ আইপিএল ২০২৫-র আগে একটি মেগা নিলাম হওয়া উচিত বলে শাহরুখ খান নিশ্চিত নন৷ অন্যদিকে নেস ওয়াদিয়া প্লেয়ার রিটেনশনে কতজন প্লেয়ার ধরে রাখা যাবে এই পয়েন্টটির সম্পূর্ণ সংশোধন চেয়েছিলেন৷প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ওয়াদিয়া মনে করেছিলেন যে প্রতিটি দলেরই খুব কম প্লেয়ার ধরে রাখা উচিত – আর এই বিষয়টি শাহরুখ খানের একেবারে পছন্দ হয়নি৷এদিকে কেকেআর মালিক শাহরুখ খান তাঁর বক্তব্যে পাশে পেয়েছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালিকিন কাব্যা মারানকে৷ আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজি মালিকদের বিসিসিআইয়ের সঙ্গে মেগা বৈঠকের পর ক্রিকবাজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মারান আইপিএল ২০২৫ মেগা নিলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।“একটি স্কোয়াড তৈরি করতে অনেক সময় লাগে এবং এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে৷ পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দের তৈরি হতেও বেশ কিছুটা সময় এবং বিনিয়োগ লাগে। অভিষেক শর্মাকে তাঁর পারফরম্যান্সে পৌঁছতে তিন বছর সময় লেগেছে। আপনি সম্মত হবেন যে অন্যান্য দলেও এরকম অনেক উদাহরণ রয়েছে৷” – এই মন্তব্য ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মালকিন কাব্যা মারানের৷কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল ২০২৪ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ রানার্স আপ হয়েছিল।এদিনের মেগা মিটিংয়ে অংশ নেওয়া অন্যান্য মালিকরা হলেন- দিল্লি ক্যাপিটালসের কিরণ কুমার গ্র্যান্ডি, লখনউ সুপার জায়ান্টসের সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, চেন্নাই সুপার কিংসের রূপা গুরুনাথ, এবং রাজস্থান রয়্যালসের মনোজ বাদালে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আম্বানি সহ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দলের কয়েকজন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিসিসিআই মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন।
: আজই ফের একবার বড়সড় বদল আসতে পারে আইপিএলের নিয়মে৷ বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মালিকদের মধ্যে বৈঠকটি ৩১ জুলাই মুম্বইতে বসতে হতে চলেছে৷ বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে৷ যাতে একাধিক সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় হতে পারে আলোচনার টেবল৷ তবে সবার যেদিকে নজর থাকবে তা বল প্রতিটা ফ্রাঞ্চাইজির নিলাম পার্সে কত টাকা রাখা থাকবে৷বর্তমানে প্রতিটি দলের জন্য নিলামে প্লেয়ার কেনার বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা৷ এটি এবার বৃদ্ধি পাওয়ার একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক সকলেরই গেমপ্ল্যানের ব্লু প্রিন্টে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত৷২০২৫ সংস্করণের আগে মার্কি প্লেয়ারদের নিয়েও গোলযোগ তুঙ্গে৷ যদি নিলাম পার্স বাড়ানো হয়, তবে নিলামে আরো বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়, এমনকি প্রতিষ্ঠিত নামগুলিরও প্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।নিলামে যে বিশাল পার্স নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি মালিকরা কেনাকাটা করতে আসে সেই কিটির মাপ নিয়ে দর কষাকষি বুধবারের বৈঠকের সবচেয়ে বড় অ্যাজেন্ডা হতে পারে৷ এছাড়াও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার এবং প্লেয়ার রিটেনশনের নিয়মগুলির মতো বিষয়গুলিও ঘুরিয়ে এই নিলামের টাকা বরাদ্দের উপরই নির্ভর করবে৷IPL-র 2024 সংস্করণে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। সিনিয়র ক্রিকেটার থেকে শুরু করে অভিজ্ঞ কোচ, সবাই এই নিয়মের পক্ষে ছিলেন বলে মনে হয়নি৷ কিন্তু এই বদলের নিয়মটি দর্শকদের জন্য খেলাটিকে আরও বিনোদনমূলক করে তুলেছে কিন্তু খেলোয়াড়ের এটা প্রভাবিত করেছে।ভাল অলরাউন্ডার – অক্ষর, জাদেজা এবং অন্যরা – প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা পেতে একটি পথ খুঁজেছেন তবে আরও বিকল্পের অর্থ হল ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো কেউ কেউ ২০২৪ সালে খুবই কম ম্যাচ খেলেতে পেরেছিলেন৷ ফলে তরুণ ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো খেলোয়াড়দের সামগ্রিক বিকাশের পথ অবশ্যই প্রভাবিত হয়েছিল তবে একই সময়ে, কোচদের খেলার জন্য আরও বিকল্প ছিল।বিসিসিআই বুধবার বিভিন্ন মালিকদের মতামত শুনবে তবে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও মনে করেন এটি ভারতীয় খেলোয়াড়দের উপকার করছে কারণ দলগুলি এই নিয়মের জন্য প্রয়োজন মতো একজন অতিরিক্ত ব্যাটার/বোলার খেলতে পারছে। এই বছর আইপিএলে প্রচুর হাই স্কোরিং গেম হয়েছে৷পাঁচ কি ম্যাজিক সংখ্যা হতে যাচ্ছে? এদিনের বৈঠকে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হল প্লেয়ার রিটেনশন অর্থাৎ প্লেয়ার ধরে রাখার নিয়ম – যেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত করবে একটি দল কতজন খেলোয়াড়কে মেগা নিলামের আগে ধরে রাখতে পারবে। এর পাশাপাশি, রাইট টু ম্যাচ (RTM) বিকল্পটিও কতটা কার্যকরী করা যায় তা দেখা হবে এদিনের আলোচনা সভায়৷আর একটি অ্যাজেন্ডায় মিটিংয়ে প্রবল চাঞ্চল্য তৈরি হতে পারে৷ বিভক্ত কারণ সমস্ত দলের নিজস্ব পছন্দের তালিকা রয়েছে। যারা গত কয়েক বছরে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন তাঁরা আরও ধরে রাখার জন্য চাপ দিচ্ছেন অন্যদিকে যে দলগুলি সাফল্য পায়নি তারা এই নিয়মের বদল ঘটাতে চায়৷ এমন কিছু দল আছে যারা গত ৪-৫ বছর ধরে ক্রিকেটারদের ধরে রেখেও কোনও লাভ পায়নি৷ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে ম্যাজিক নম্বর খুঁজে বের করতে হবে যা সব ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য উপযুক্ত এবং এটি পাঁচ ক্রিকেটার ধরে রাখারা বিষয় হতে পারে৷ একজন সিনিয়র ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা, যিনি একাধিক আইপিএল দলের অংশ ছিলেন, মনে করেন পাঁচ ক্রিকেটারকে রিটেন করলে প্রতিটা দলই নিজের কোর টিমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে পাশাপাশি দলে রিফ্রেশ করা নতুন ক্রিকেটারও আনতে সাহায্য করবে৷“আলোচনা থামবে না কারণ ২০২৫ মরশুমের আগে প্রতিটি দল আলাদা অবস্থানে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, যারা ভাল করেছে তারা আরও বেশি করে ধরে রাখতে চায়। কিন্তু ধরে রাখা নিলাম অবমূল্যায়ন. এবং নিলাম আইপিএল ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সামনের বছরগুলিতে, যখন ফ্যানের ঘাঁটিগুলি ভাল এবং সত্যই সমস্ত পক্ষের জন্য সিমেন্টেড হবে, তখন এটি একটি খুব ট্রান্সফার ডমিনেটেড ইকোসিস্টেম হতে পারে তবে এখন পর্যন্ত, নিলাম গুরুত্বপূর্ণ।এমনকি বিসিসিআই-এর পক্ষেও সেই ফর্মুলা খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে যা প্রতিটি দলের জন্য কাজ করে তবে আমি দৃঢ় অনুভব করি যে এটি পাঁচটি হতে পারে। এখন তারা কিভাবে করবে সেটা তাদের ডাক। আমি বলতে চাচ্ছি যে তারা কীভাবে আরটিএম বা ধরে রাখা বা বিদেশী খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করে… পাঁচটি একটি ভদ্রস্থ সংখ্যা বলে মনে হয় এবং বেশিরভাগ দলকে খুশি রাখা উচিত, “আইপিএল দলের একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা বলেছেন।
