ব্যবসা-বাণিজ্য ITR ফাইল করতে হাতে আর ৩ দিন, অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করবেন? রইল ধাপে ধাপে নির্দেশিকা Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk আইটিআর ফাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। আগের অর্থবর্ষে একজন ব্যক্তি বা সংস্থা কত টাকা আয় করেছে, এর মাধ্যমে তা সরকারকে জানায় এবং কর প্রদান করে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩১ জুলাই। করদাতাদের মধ্যে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। আইটিআর দাখিলের জন্য হাতে আর বাকি মাত্র ৩ দিন। তবে অনেকেই এখনও আইটিআর ফাইল করেননি। অনলাইনে কীভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়, তার ধাপে ধাপে নির্দেশিকা রইল এখানে। প্রথম ধাপ: হাতের কাছে রাখতে হবে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিঅনলাইনে আইটিআর দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে হাতের কাছে কিছু নথিপত্র গুছিয়ে রাখতে হবে। সেগুলো হল – আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ফর্ম ১৬ (নিয়োগকর্তা ইস্যু করে), বিনিয়োগের প্রমাণ (পুরানো ট্যাক্স ব্যবস্থার অধীনে ডিডাকশনের দাবি করার জন্য), টিডিএস শংসাপত্র, ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস থেকে সুদের শংসাপত্র, এবং মূলধন লাভের বিবৃতি। দ্বিতীয় ধাপ: ইনকাম ট্যাক্স ই-ফাইলিং পোর্টালে সাইন আপইনকাম ট্যাক্স ই-ফাইলিং পোর্টালে সাইন ইন করতে হবে।নতুন ইউজার হলে ‘রেজিস্টার ইওরসেলফ’ অপশনে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। জমা দিতে হবে প্যান কার্ড।অন্যরা পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা লিখে সাইন ইন করতে পারবেন। তৃতীয় ধাপ: আইটিআর ফর্ম বাছাইআয়ের উৎসের উপর ভিত্তি করে যথাযথ আইটিআর ফর্ম বেছে নিতে হবে।বেতনভোগী ব্যক্তি, যাঁদের আয় ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত, তাঁদের জন্য রয়েছে আইটিআর ১ (সহজ) ফর্ম। ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের যাঁরা ব্যবস্থা বা পেশা ছাড়া অন্য উৎস থেকে আয় করেন, তাঁদের জন্য আইটিআর ২ ফর্ম।ব্যক্তি বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের যাঁরা ব্যবসা বা পেশা থেকে আয় করেন তাঁদের আইটিআর ৩ ফর্ম পূরণ করতে হবে।ব্যবসা ও পেশা থেকে অনুমানমূলক আয়ের ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে আইটিআর ৪ ফর্ম। চতুর্থ ধাপ: বিস্তারিত তথ্যনাম, প্যান নম্বর, ঠিকানার মতো ব্যক্তিগত তথ্য লিখতে হবে।দিতে হবে বেতন, বাড়ির মালিকানা, মূলধন লাভ এবং অন্যান্য আয়ের বিবরণ। ধারা ৮০সি, ৮০ডি বা অন্য বিভাগের আওতায় প্রযোজ্য ছাড় হলে লিখতে হবে।নিশ্চিত করতে হবে সমস্ত টিডিএস তথ্য এবং অগ্রিম ট্যাক্স পেমেন্ট যেন সঠিক হয়। পঞ্চম ধাপ: ফর্ম যাচাইসমস্ত প্রয়োজনীয় ক্ষেত্র সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে এবং কোথাও কোনও ভুল নেই, নিশ্চিত করতে প্রতিটি ট্যাবে ‘ভ্যালিডেট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ষষ্ঠ ধাপ: গণনা এবং কর পরিশোধট্যাক্স লায়াবিলিটি গণনা করতে ‘ক্যালকুলেট ট্যাক্স’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধের জন্য বেছে নিতে হবে ‘ই-পে ট্যাক্স’ বাটন। সপ্তম ধাপ: যাচাই এবং জমাআধার ওটিপি, নেট ব্যাঙ্কিং বা সিপিসি-তে একটি স্বাক্ষরিত ITR-V ফ্যাক্স করে রিটার্ন যাচাই করে নিতে হবে। এরপর ক্লিক করতে হবে ‘সাবমিট’ অপশনে। তাহলেই আইটিআর রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ITR ফাইলের সময় এই ৬টি বিষয় মাথায় রাখুন, নাহলে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর বিভাগ Gallery June 26, 2024 Bangla Digital Desk আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। হাতে আর কয়েকদিন বাকি। আইটিআর ফাইল করার সময় সব কিছু মাথায় থাকে না। ভুল হয়ে যায়। তখন নোটিস পাঠায় আয়কর বিভাগ। তাই আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় এই ৬ জিনিস মাথায় রাখতেই হবে। প্রথম, নিজের আয় অনুযায়ী সঠিক ফর্ম বাছাই করতে হবে। আয়কর বিভাগের পোর্টালে বিভিন্ন আয় গ্রুপের জন্য একাধিক ফর্ম রয়েছে। সেখান থেকে নিজের জন্য সঠিক ফর্ম বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়, আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় নিজের আয়-ব্যয় সম্পর্কিত কোনও তথ্য লুকোলে চলবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত তথ্য জানাতে হবে। শুধু তাই নয়, সব তথ্য যেন সঠিক হয়, মাথায় রাখতে হবে সেই বিষয়টাও। তৃতীয়, নিজের নাম, নম্বর, প্যান কার্ডের বিবরণ ইত্যাদি নথিতে যেমনটা আছে সেটাই ফর্মে লিখতে হবে। কোনও রকম ভুল হলে আইটিআর বাতিল হয়ে যেতে পারে। এই সম্পর্কে কোনও বিভ্রান্তি থাকলে আয়কর অফিসে যোগাযোগ করা উচিত। চতুর্থ, ব্যাঙ্কের বিস্তারিত বিবরণ যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। এতে কোনও ভুল হলে আইটিআর বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রিটার্ন দাখিল করার সময় সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে অর্জিত সুদও দেখাতে হয়। অনেকেই মনে করেন, এটা সামান্য আয়। কিন্তু নিজের আয়-ব্যয় সম্পর্কিত ছোটখাটো তথ্যও ফর্মে জানানো উচিত। আইটিআর ফাইল করার পর আয়কর আইনের ধারা ৮০টিটিএ-এর আওতায় বার্ষিক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিডাকশন দাবি করা যায়। পঞ্চম, সন্তানের নামে বিনিয়োগ: সন্তানের নামে কোথাও বিনিয়োগ করলে আইটিআর ফাইলে তার হিসেব দিতে হবে। সন্তানের নামে অ্যাকাউন্ট খুললেও বকলমে তা অভিভাবকরাই চালান। সন্তানের নামে বিনিয়োগ থেকে যদি সুদ মেলে তাহলে সেটা ব্যক্তির আয়ে যোগ হবে। সন্তানের আয় যোগ করার পর ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দাবি করা যায়। ষষ্ঠ, আইটিআর ফাইল করার পর ইভিসি বা ইলেকট্রনিক ভেরিফিকেশন করানো বাধ্যতামূলক। এখানে কোনও ভুল যেন না হয়, সেটা মাথায় রাখতে হবে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ITR ফাইল করার শেষ তারিখ কবে দেখুন, সময় পেরিয়ে গেলে দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা Gallery June 25, 2024 Bangla Digital Desk অর্জিত আয় এবং আয়ের উপর দেওয়া করের হিসেব সরকারকে জানাতে ব্যক্তি, কোম্পানি এবং অন্যান্য করদাতাদের প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সময়সীমা পেরিয়ে গেলে জরিমানা দিতে হয়। আইটিআর দাখিল করার শেষ তারিখ বা নির্ধারিত তারিখ নির্ভর করে করদাতা কোন বিভাগে পড়ছেন তার উপর। যেমন বেতনভোগী ব্যক্তি বা অন্যান্য করদাতা, যাঁদের অ্যাকাউন্ট অডিট করার প্রয়োজন নেই, তাঁদের ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আবার যাঁদের অ্যাকাউন্ট অডিট করা প্রয়োজন কিন্তু স্থানান্তর মূল্য প্রযোজ্য নয়, তাঁদের আইটিআর দাখিল করতে হয় ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। যে করদাতাদের ধারা ৯২ই-এর অধীনে রিপোর্ট দিতে হয়, তাঁদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। প্রত্যেক করদাতাদের জন্য বিলম্বিত আইটিআর দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর। সংশোধিত আইটিআর-ও ৩১ ডিসেমম্বরের মধ্যে দাখিল করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে করদাতার উপর জরিমানা আরোপ করা হয়। শুধু তাই নয়, ফাইলিং ফি বা জরিমানা ছাড়া অন্যান্য কর সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন করদাতা। বলে রাখা ভাল, আইটিআর ফাইল করার তারিখ বা সময়সীমা হল আসলে আইটিআর ফাইল করার শেষ তারিখ। যদিও আইটিআর নির্ধারিত তারিখ বা শেষ তারিখের পরে ফাইল করা যেতে পারে তবে জরিমানা দিতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর আইটিআর দাখিল করলে আয়কর আইন ১৯৬১-এর ধারা ২৩৪এফ-এর আওতায় জরিমানা ধার্য করা হয়। বর্তমানে বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করার জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যে করদাতাদের করযোগ্য আয় ৫ লাখ টাকার কম তাঁদের ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। ধারা ২৩৪এ-এর আওতায় জরিমানার উপর সুদও আরোপ করা হতে পারে। অগ্রিম ট্যাক্স পেমেন্ট স্থগিত বা পরিশোধে বিলম্ব হলে সুদের উপর জরিমানা প্রযোজ্য হতে পারে। ধারা ২৩৪এ/বি/সি-র আওতায় শাস্তিমূলক সুদ প্রতি মাসে ১ শতাংশ।