জ্যোতিষকাহন AkashPradip Rituals in Karthik Month: কার্তিক মাস জুড়ে বাড়ির বিশেষ স্থানে এই দিকে জ্বালান আকাশপ্রদীপ, পূর্ণ হবে মনের অধরা ইচ্ছে! সুখ শান্তি সমৃদ্ধিতে ভরবে জীবন Gallery October 23, 2024 Bangla Digital Desk দূরের তারার পানে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকে আকাশপ্রদীপ। কিছু বছর আগেও এই ছবি চিরচেনা ছিল বাংলার ঘরে ঘরে। এখন এই রীতি ও ঐতিহ্য মলিন হয়ে এসেছে অনেকটাই। তবে কোনও কোনও বাড়ির ছাদে এখনও দেখা যায় আকাশবাতি। প্রদীপের বদলে জ্বলে বৈদ্যুতিন আলো। আশ্বিন মাসের শেষ দিন থেকে কার্তিক মাসের শেষ দিন পর্যন্ত পালিত হয় আকাশপ্রদীপ প্রজ্বলনের নিয়ম। বলছেন অযোধ্যার জ্যোতিষ বিশারদ কল্কি রাম। ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় মাস কার্তিককে বলা হয় দামোদর মাসও। এই মাসে শ্রীবিষ্ণু এবং বিগত পূর্বপুরুষকে নিবেদিত শ্রদ্ধার্ঘ্যে জ্বালানো হয় আকাশপ্রদীপ। বলা হয়, আকাশপ্রদীপের আলোয় পথ দেখে বংশধরদের কাছে ফিরে আসেন পূর্বজরা। ভগবানের কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ, দীর্ঘায়ু লাভ, কুনজর থেকে রক্ষা, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলকামনায় প্রজ্বলিত হয় দ্বিমুখী, ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী আকাশপ্রদীপ। আকাশপ্রদীপ প্রজ্বলনের জন্য আছে বিশেষ কিছু নিয়ম এবং নির্দিষ্ট মন্ত্র। একটি বড় কাঠের দণ্ড নির্মাণ করা হয়। তাতে যবাঙ্গুল পরিমাণ অষ্টকোণযুক্ত ছিদ্র করে লাগানো হয় দু’হাত লম্বা রক্তবর্ণ। লাঠির মাথায় সেই অষ্টকোণযুক্ত প্রকোষ্ঠে মন্ত্রপাঠ-সহ রাখা হয় আকাশপ্রদীপ। কার্তিক মাস জুড়ে বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে (সাধারণত ছাদে) উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে ঘি বা তেলের আকাশপ্রদীপ বা পরিবর্তে বৈদ্যুতিন বাতি জ্বালানো হয় প্রতি সন্ধ্যায়। প্রচলিত বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশপ্রদীপ অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন ঈশ্বর। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ বর্ষিত হয় তাঁদের উপর।
জ্যোতিষকাহন Karthik Month Dos & Donts: চলছে কার্তিক মাস! সূর্যাস্তের পর ভুলেও কাউকে দেবেন না এই জিনিসগুলি! দিলেই সর্বস্বান্ত! সাবধান! Gallery October 22, 2024 Bangla Digital Desk শুরু হয়ে গিয়েছে কার্তিকমাস। বৈষ্ণব মতে হেমন্তঋতুর এই মাস অত্যন্ত শুভ। পবিত্র এই মাসকে বলা হয় দামোদর মাস। এই মাসে কিছু কাজ করলে প্রচুর পুণ্য অর্জন করা যায়। বলছেন অযোধ্যার জ্যোতিষ বিশারদ কল্কি রাম। কার্তিক মাসে সূর্যাস্তের পর কিছু জিনিস কখনওই কাউকে দান করবেন না। সেগুলির মধ্যে অন্যতম লবণ এবং হলুদ। এই দুটোই মাঙ্গলিক বলে মনে করা হয়। এই দুই জিনিস কার্তিক মাসে কাউকে দান করবেন না। সূর্যাস্তের পর বাড়ির যেখানে সেখানে যেমন তেমন ভাবে ঝাঁটা রাখবেন না এই মাসে। নিজের বাড়ির ঝাঁটা বাইরের কাউকে দেবেনও না ব্যবহারের জন্য। বাড়ি লক্ষ্মীহীন ও শ্রীহীন হয়ে পড়ে। পুজোর কাজে ব্যবহৃত জিনিস যেমন শঙ্খ, বাসনপত্র-সহ উপকরণ কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। তাহলে পজিটিভ এনার্জি বেরিয়ে যাবে সংসার থেকে। চাল হল মা লক্ষ্মীর প্রতীক। যে কোনও শুভ কাজে মাঙ্গলিক প্রতীক হিসেবে আতপচাল ব্যবহার করা হয়। কার্তিক মাসে সূর্যাস্তের পর গোধূলিবেলায় চাল দান করবেন না। দিনের অন্য সময়ে দান করতে পারেন। সূর্যাস্তের পর অনাহারী কাউকে আহারও করাতে পারেন। তবে চাল দান করবেন না। অতিরিক্ত জরুরিকালীন পরিস্থিতি ছাড়া কার্তিক মাসে সন্ধ্যায় কাউকে অর্থ ধার দেবেন না। এই মাসে কারওর কাছ থেকে ধার নেবেনও না। দামোদর বা কার্তিক মাসে দেবস্থানে, বাড়ির ঠাকুরঘরে এবং তুলসিতলায় প্রদীপ প্রজ্বলন করুন। তুলসিসেবা করুন। সুগম হবে পুণ্যলাভের পথ।