কলকাতাঃ ভূতের গল্প শুনতে তো বেশ ভালই লাগে। কিন্তু অনেকেই দাবি করেন যে, কখনও কখনও তাঁরা ভূতের দেখাও পেয়েছেন। আবার হামেশাই কেউ কেউ এ-ও দাবি করেন যে, তাঁরা ভূত-প্রেতের রহস্যজনক ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁরা মানসিক ভাবে দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে কেতু গ্রহও দুর্বল অবস্থানে থাকে। যার ফলে সেই ব্যক্তি ভ্রমের মধ্যে থাকেন।
রাঁচির জ্যোতিষী সন্তোষ কুমার চৌবে (রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত)-র জ্যোতিষবিদ্যায় ১৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি লোকাল ১৮-এর কাছে বলেন, কারও কেতু খারাপ অবস্থানে থাকলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। প্রথমে তাঁর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং সব সময় তাঁর মানসিক অবস্থা ভাল থাকে না। বারবার তাঁর মধ্যে ভূত-প্রেতের বিভ্রম দেখা দেয়।
কেতুর সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগ রয়েছে
সন্তোষ কুমার লোকাল ১৮-এর কাছে বলেন, কেতু মূলত এমন একটা গ্রহ, যার সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের যোগ রয়েছে। আর কেতুর অবনতি হলে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। আর কেতু দ্বারা প্রভাবিত মানুষ অতিরিক্ত ভাবেন, অসংলগ্ন কথা বলেন, কারও ভূমিকায় অভিনয় করেন, নিজেকে দোষারোপ করেন, অন্যদের বিষয়ে রায়দান করেন এবং ভুলভুল ভাবে কোনও কোনও জিনিস ধরে নেন।
এই বিষয়গুলি এড়িয়ে চলাই ভাল
সন্তোষ কুমার বলেন, যাঁদের জীবনে কেতু খারাপ অবস্থানে থাকে কিংবা যাঁরা কেতুর দ্বারা প্রভাবিত, তাঁদের সব সময় নিজের কাজে মনোনিবেশ করা উচিত। কারও জীবন কিংবা ব্যক্তিত্ব নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা উচিত নয়। কারও পিছনে তাঁর সমালোচনা করাও চলবে না। অতিরিক্ত গালগল্প বন্ধ করতে হবে। যেসব বিষয় কেতুর অবস্থানকে আরও খারাপ করে দেয়, সেগুলিকেও এড়িয়ে চলা ভাল।
গণেশ মন্ত্র অত্যন্ত কার্যকর
সন্তোষ কুমারের বক্তব্য, কারওর রাশিচক্রে কেতু দুর্বল অবস্থানে থাকলে সেই অবস্থান মজবুত করার জন্য গণেশ মন্ত্র জপ করা উচিত। এর পাশাপাশি প্রতিদিন মেডিটেশন করা আবশ্যক। এতে মন শান্ত হবে। নিজেকে এবং নিজের বিষয়গুলিকে বুঝতেও সক্ষম হবেন।